Ajker Patrika

যেসব অভিযোগ থেকে সাজা হলো তারেক-জোবাইদার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ২০: ৪৯
যেসব অভিযোগ থেকে সাজা হলো তারেক-জোবাইদার

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আজ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়; সঙ্গে জরিমানাও করা হয়।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা খান ওরফে জোবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমানকে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য ২০০৭ সালের ২৯ মে দুদক নোটিশ দেয়। ২০০৭ সালের এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেওয়া নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ২০০৭ সালের ৭ জুন তারেক রহমান তাঁর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন।
হিসাব বিবরণী দাখিলের পর দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে, তারেক রহমান তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ টাকা ৩৭ পয়সার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু পরস্পর যোগসাজশে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকা ৩৭ পয়সা জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

মামলার এজাহারে তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তালিকা দিয়েছেন। ওই সব সম্পদের মধ্যে বগুড়ার গাবতলী থানার শৌলাকান্দি মৌজায় ২.০১ একর জমি, রাজধানীর বনানীর প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শাখায় জোবাইদা রহমানের নামে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআর এবং বনানী ঢাকা ব্যাংকের শাখায় তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমানের নামে ২০ লাখ টাকার একটি এফডিআর রয়েছে।

তারেক রহমান সম্পদের তথ্য গোপনের বিষয়ে এজাহারে বলা হয়, দৈনিক দিনকালের মালিকানার ৪ লাখ ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৪ টাকা, রহমান সিপার্স বিডি লিমিটেডের ১০০টি শেয়ার, ইউনিটেক্স পেপার লিমিটেডের ১৫০টি শেয়ার, বসুন্ধরা গ্রুপের বারিধারা প্রকল্পে মেয়ে জাইমা রহমানের নামে ১০ কাঠা জমি, গাজীপুর সদর থানাধীন ৬৬ শতাংশ জমি, একই থানায় সাড়ে ১২ শতাংশ জমি, এবি ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় ৪৭ হাজার ২৩৭ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় ৪ হাজার ২১০ টাকা ও এবি ব্যাংক নবাবপুর শাখায় ২৫৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তারেক রহমান।

তদন্ত শেষ করে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমান ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন, যার সবই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। ওই সম্পদসহ মোট ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।

এতে বলা হয়, ডা. জোবাইদা ও ইকবাল মান্দ বানু তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পত্তিকে নিজেদের অর্জিত বলে প্রমাণের চেষ্টা করে তারেক রহমানকে সহযোগিতা করেছেন।

এ ছাড়া তারেক রহমান তাঁর মেয়ে জাইমা রহমানের নামে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড বনানী শাখায় ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকার এফডিআর খোলেন। ওই টাকার কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। তারেক রহমান ক্রয়কৃত এফডিআরগুলো তিনি কখনো আয়করের নথিতে প্রদর্শন করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

আকাশ প্রতিরক্ষায় কে এগিয়ে, পাকিস্তান কি ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম

শ্রীনগরের কাছে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ, ভারতের নাকি পাকিস্তানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত