সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকা সাভারে একটি হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের দুদিন পর নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে র্যাব তাঁকে আটকের পর আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। আজ রোববার দুপুরে ওই নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই থানায় মামলা করা হয়। অন্যদিকে নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর নাম—আকলিমা খাতুন (২৬)। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চুনখেলা গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। তিনি গত দশ দিন ধরে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামীর নাম তারেক। তবে তারেকের সঙ্গে আকলিমার কোনো যোগাযোগ নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের সামনে এসে প্রসব বেদনা নিয়ে ঘুরছিলেন আকলিমা। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরতরা দেখতে পেয়ে তাঁকে গাইনি বিভাগে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে স্বজন কেউ আছে কি না, জানতে চাইলে আকলিমা বলেন, পেছনে লোক আছে, আসবে। স্বামীর বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে নাম বলেন। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তখনো পরিবারের কেউ না আসায় চিকিৎসকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। জন্মের পরে নবজাতকের শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় নিজের শিশুকে হত্যা করেন আকলিমা।
আকলিমার পাশের বেডের রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্তান জন্মের পর থেকেই সন্তানের প্রতি উদাসীন ছিলেন আকলিমা। শিশুটির ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া ও শিশুকে রেখে কিছুক্ষণ পরপর একেক দিকে চলে যেতেন তিনি। এ ছাড়া বাচ্চার মৃত্যুর পর আকলিমার চোখে-মুখেও কোনো অপরাধবোধ কিংবা সন্তান হারানোর দুঃখের ছাপ ছিল না।
পাশের বেডের রোগীর স্বজন সুলতানা ও আরিফা আক্তার প্রাপ্তি জানান, বাচ্চাকে নিজের বুকের সঙ্গে জোরে চেপে রেখেছিলেন ওই নারী। এভাবে রেখেছেন কেন জানতে চেয়ে শিশুটিকে ঠিকমতো নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এ সময় শিশুটিকে বুক থেকে সরিয়ে নেন আকলিমা। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটি হেলে পড়ে। পরে তারা দেখতে পান শিশুটি মারা গেছে।
শিশু বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন রঞ্জু হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখতাম বাচ্চাটার মা বাচ্চাকে ঠিকমতো দুধ খাওয়াত না, যত্ন নিত না। আশপাশের অন্যরা খেয়াল রাখত বাচ্চার। সবাই ভাবত কেন এমন করছে বাচ্চার মা। আমি নিজেও বাচ্চার মায়ের মোবাইল থেকে তার স্বামীর মোবাইল নম্বর খোঁজার চেষ্টা করেছি। তবে তাঁর মোবাইলে কোনো নম্বর সেভ (সংরক্ষণ) করা নাই। আজকে একটু বাইরে গিয়েছি, এসে শুনি তিনি নাকি বাচ্চাকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে মেরে ফেলেছেন।’
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইনচার্জ তামান্না আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আকলিমা। তার কোনো স্বজন আমরা পাইনি। তার ফোনেও কোনো নম্বর সেভ করা পাইনি। তিনি যে উল্টাপাল্টা কথা বলছিলেন তা আমরা বুঝতে পারছিলাম, তবে তিনি যে পাগল নন তা আমরা বুঝেছি। পরে শ্বাসকষ্ট থাকায় নবজাতককে আমরা শিশু ওয়ার্ডে পাঠাই। সেখানে শুনেছি নিজের বাচ্চাকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে মেরে ফেলেছেন আকলিমা।’
অভিযুক্তের নিকট আত্মীয়স্বজন না পাওয়ায় এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তের ভাড়া বাসার মালিক মো. রিপন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১০ দিন আগে আমার এক ভাড়াটিয়া দানেজ আলী দম্পতির রুমে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ওই নারী। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি কে? সেই ভাড়াটিয়া আমাদের জানিয়েছিল, আকলিমা তাদের আত্মীয় ,৮-১০ দিন থেকে চলে যাবে।’
আকলিমা যে গর্ভবতী ছিলেন তা তিনি জানতেন না বা কাউকে বলেনি। তার কথাবার্তা বা আচার ব্যবহারে পাগল মনে হয়নি বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাদরুজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আকলিমাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাড়ির মালিক কেন মামলার বাদী হয়েছেন জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই সাদরুজ জামান বলেন, আকলিমার স্বামীর সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। নিকট আত্মীয়ও পাওয়া যায়নি তাই জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন বাড়ির মালিক।
ঢাকা সাভারে একটি হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের দুদিন পর নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে র্যাব তাঁকে আটকের পর আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। আজ রোববার দুপুরে ওই নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই থানায় মামলা করা হয়। অন্যদিকে নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর নাম—আকলিমা খাতুন (২৬)। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চুনখেলা গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। তিনি গত দশ দিন ধরে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামীর নাম তারেক। তবে তারেকের সঙ্গে আকলিমার কোনো যোগাযোগ নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের সামনে এসে প্রসব বেদনা নিয়ে ঘুরছিলেন আকলিমা। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরতরা দেখতে পেয়ে তাঁকে গাইনি বিভাগে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে স্বজন কেউ আছে কি না, জানতে চাইলে আকলিমা বলেন, পেছনে লোক আছে, আসবে। স্বামীর বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে নাম বলেন। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তখনো পরিবারের কেউ না আসায় চিকিৎসকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। জন্মের পরে নবজাতকের শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় নিজের শিশুকে হত্যা করেন আকলিমা।
আকলিমার পাশের বেডের রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্তান জন্মের পর থেকেই সন্তানের প্রতি উদাসীন ছিলেন আকলিমা। শিশুটির ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া ও শিশুকে রেখে কিছুক্ষণ পরপর একেক দিকে চলে যেতেন তিনি। এ ছাড়া বাচ্চার মৃত্যুর পর আকলিমার চোখে-মুখেও কোনো অপরাধবোধ কিংবা সন্তান হারানোর দুঃখের ছাপ ছিল না।
পাশের বেডের রোগীর স্বজন সুলতানা ও আরিফা আক্তার প্রাপ্তি জানান, বাচ্চাকে নিজের বুকের সঙ্গে জোরে চেপে রেখেছিলেন ওই নারী। এভাবে রেখেছেন কেন জানতে চেয়ে শিশুটিকে ঠিকমতো নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এ সময় শিশুটিকে বুক থেকে সরিয়ে নেন আকলিমা। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটি হেলে পড়ে। পরে তারা দেখতে পান শিশুটি মারা গেছে।
শিশু বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন রঞ্জু হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখতাম বাচ্চাটার মা বাচ্চাকে ঠিকমতো দুধ খাওয়াত না, যত্ন নিত না। আশপাশের অন্যরা খেয়াল রাখত বাচ্চার। সবাই ভাবত কেন এমন করছে বাচ্চার মা। আমি নিজেও বাচ্চার মায়ের মোবাইল থেকে তার স্বামীর মোবাইল নম্বর খোঁজার চেষ্টা করেছি। তবে তাঁর মোবাইলে কোনো নম্বর সেভ (সংরক্ষণ) করা নাই। আজকে একটু বাইরে গিয়েছি, এসে শুনি তিনি নাকি বাচ্চাকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে মেরে ফেলেছেন।’
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইনচার্জ তামান্না আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আকলিমা। তার কোনো স্বজন আমরা পাইনি। তার ফোনেও কোনো নম্বর সেভ করা পাইনি। তিনি যে উল্টাপাল্টা কথা বলছিলেন তা আমরা বুঝতে পারছিলাম, তবে তিনি যে পাগল নন তা আমরা বুঝেছি। পরে শ্বাসকষ্ট থাকায় নবজাতককে আমরা শিশু ওয়ার্ডে পাঠাই। সেখানে শুনেছি নিজের বাচ্চাকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে মেরে ফেলেছেন আকলিমা।’
অভিযুক্তের নিকট আত্মীয়স্বজন না পাওয়ায় এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তের ভাড়া বাসার মালিক মো. রিপন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১০ দিন আগে আমার এক ভাড়াটিয়া দানেজ আলী দম্পতির রুমে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ওই নারী। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি কে? সেই ভাড়াটিয়া আমাদের জানিয়েছিল, আকলিমা তাদের আত্মীয় ,৮-১০ দিন থেকে চলে যাবে।’
আকলিমা যে গর্ভবতী ছিলেন তা তিনি জানতেন না বা কাউকে বলেনি। তার কথাবার্তা বা আচার ব্যবহারে পাগল মনে হয়নি বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাদরুজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আকলিমাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাড়ির মালিক কেন মামলার বাদী হয়েছেন জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই সাদরুজ জামান বলেন, আকলিমার স্বামীর সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। নিকট আত্মীয়ও পাওয়া যায়নি তাই জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন বাড়ির মালিক।
নদ-নদীতে পানি বাড়ায় রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক বাড়িঘর। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মার পানি কমছে। এর ফলে ভাঙন আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নদীপারের মানুষ। এদিকে রংপুরের পীরগাছায় অর্ধশত পরিবার এখন নদীভাঙনের কারণে অসহায় দিন পার করছে
১১ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই ডেঙ্গুর হটস্পট রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
১৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের রামু উপজেলা সদর থেকে বাঁকখালী নদীর তীরের তিন কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে গেলেই রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের জাদিপাড়া। সড়কের পাশ ঘেঁষে ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন লাওয়ে জাদি (প্যাগোডা)।
২০ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার ৮৮৭.৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সালেহ ফয়সাল (২৭), মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও মাসুম রানা (৩২)।
২ ঘণ্টা আগে