Ajker Patrika

স্কুল চলাকালীন খসে পড়ল পলেস্তারা, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
স্কুল চলাকালীন খসে পড়ল পলেস্তারা, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে একটি সরকারি স্কুলের সিলিং থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওভোগের লক্ষ্মীনারায়ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা ঘটে। 

স্কুলটির দ্বিতীয় তালার একটি কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ার পর ছাদের ধস ঠেকাতে তিনটি বাঁশ দাঁড় করিয়ে রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে শিশুদের অভিভাবক স্কুল গেটে এসে ভিড় জমান। 

সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল ভবনটি অনেকটাই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। দোতলা ভবনটি রং করা হলেও এর সিঁড়ি ও দেয়াল দেখলেই বোঝা যায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ। 

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলের দেয়ালপলেস্তারা খসে পড়া কক্ষটির দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সিলিং এর ধস ঠেকাতে বাঁশের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে দোতলার সবগুলো কক্ষের পাঠদান কার্যক্রম। কেবল নিচতলায় চলছে স্কুলের পাঠদান। তবে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠাতে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের। 

স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রমা রানী বলেন, ‘আমার পোলায় ক্লাস টুতে পড়ে। এলাকার মানুষের কাছে শুনলাম স্কুল বিল্ডিং ভাইংগা পড়ছে। কানতে কানতে দৌড়ায়া আইসি। আইসা দেখি বিল্ডিং ভাঙে নাই, ছাদের এক অংশ ভাইঙা নিচে পড়ছে। আমি আমার পোলারে আর স্কুলে পাঠামু না। অন্য কোনো স্কুল ভর্তি করায়া দিমু। এই বিল্ডিঙের অবস্থা ভালো না।’ 

পলেস্তারা খসে পড়ার খবর শুনে অভিভাবকেরা স্কুলে ভিড় করেনস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘স্কুলটি দেওভোগ আখড়ার জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছিল। কোনো সরকারি অনুদানে বানানো হয়নি। এলাকাবাসীর অর্থায়নে এই বিল্ডিং হয়েছে। বর্তমানে স্কুলের জমি নিয়ে মামলা চলায় নতুন ভবন তৈরি করতে পারছে না। দুইবার বরাদ্দ এসেও ফিরে গেছে। সেই কারণে স্কুলের অবস্থা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। স্কুল জমির মামলা শেষ হলে দ্রুত নতুন ভবনের কাজ শুরু করা সম্ভব হতো।’ 

এ বিষয়ে নাসিকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘দোতলার ওই রুমটা আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পাশের দুইটা রুমে ক্লাস চলত। আজকে যেহেতু পলেস্তারা ভেঙে গেছে, তাই দোতলা পুরোটা বন্ধ রেখেছি। স্কুলের সমস্যা সমাধানের জন্য আমি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নাসিক মেয়রের সঙ্গে কথা বলব। বিকল্প কোথায় পাঠদান কার্যক্রম চালানো যায় সেই বিষয়ে আমার চেষ্টা চলছে। ‘

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত