নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ২৯ জানুয়ারি পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান মায়ের জিম্মায় দুই শিশু থাকবে বলে রায় দেন। পরদিন শিশুদের মায়ের জিম্মায় দেওয়ার জন্য ডিক্রি দেন। গতকাল বুধবার ঢাকা জেলা জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বাবা ইমরান শরীফ। বিচারক এ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
পারিবারিক আদালত ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে তাদের মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় দিয়েছেন বলে আপিলে উল্লেখ করেছেন ইমরান শরীফ।
আজ বৃহস্পতিবার ইমরান শরীফের আইনজীবী নুরুল ইসলাম মিলন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
ইমরান শরীফের আপিলে উল্লেখ করা হয়, পারিবারিক আদালত আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এবং বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে রায় দিয়েছেন। শিশুরা যেখানে বাবার কাছে থাকতে চায়, সেখানে আদালত বাস্তবতা বিবেচনা না করে রায় দিয়েছেন।
আপিলে আরও বলা হয়, শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের কাছ থেকে মা নাকানো এরিকোর হেফাজত মানসিক ও শারীরিকভাবে নিরাপদ। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, শিশুরা তাদের বাবার কাছে থাকতে পছন্দ করে। সুতরাং, বাবাই দুই সন্তানের জিম্মাদার হবেন।
এর আগে পারিবারিক আদালতের রায়ে বলা হয়, দুই শিশু জাপানে বড় হচ্ছিল। তারা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। সেখানেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বলে আদালত মনে করেন। তাই তাদের নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করবেন তার বাবা এই দাবি বাদীর প্রতিকূলে নিষ্পত্তি করা হলো। দুই শিশুর মা একজন চিকিৎসক। সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব তার। তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতায় ভুগছেন বাদীর এই অভিযোগ তাঁর বিপক্ষে নিষ্পত্তি করা হলো। বাদী ইমরান শরীফ একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তাঁকে প্রায়ই দেশের বাইরে যাতায়াত করতে হয়। বাংলাদেশের দুই সন্তানকে রেখে বাদী দেশ-বিদেশে যান। আদালত মনে করেন দুই শিশুর জন্য এটা নিরাপদ নয়। শিশুদের দাদি ৭৫ বছর বয়স্ক। তিনি নিজেই নিজের দেখাশোনা করতে অপারগ। এ ক্ষেত্রে শিশুরাও তাঁর কাছে নিরাপদ নয়। আদালত মনে করেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য মা অধিক নিরাপদ।
কাজেই বাবার দুই শিশুর হেফাজত দাবি করা আদালত তাঁর প্রতিকূলে নিষ্পত্তি করলেন। এসব বিবেচনায় আদালত বাদীর মামলা খারিজ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এরিকো নাকানোর স্বামী ইমরান জাপান থেকে দেশে আসেন। এরপর মেয়েদের অভিভাবক দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। তাদের ফিরে পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। পরে আদালতের নির্দেশে শিশু দুটিকে তেজগাঁওয়ে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয় কিছুদিন। সব পক্ষের শুনানি নিয়ে ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট গুলশানের ফ্ল্যাটে মায়ের হেফাজতে শিশুদের রাখার আদেশ দেন। কিন্তু এই দেশেই সন্তানদের নিয়ে থাকতে হবে বলে হাইকোর্ট বলেন।
ইমরান শরীফ আদালতকে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় তিনি মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশেই বসবাস করবেন। তাঁর শিশুসন্তানদের অভিভাবক হিসেবে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু মা ভিনদেশি, তাই তিনি একমাত্র অভিভাবক।
এই আদালতে মামলা চলাকালীন তাঁর সাবেক স্ত্রী বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টও মেয়েদের বাংলাদেশে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই সন্তান নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে জাপানি নারী নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয় গত ২৯ ডিসেম্বর।
গত ২৯ জানুয়ারি পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান মায়ের জিম্মায় দুই শিশু থাকবে বলে রায় দেন। পরদিন শিশুদের মায়ের জিম্মায় দেওয়ার জন্য ডিক্রি দেন। গতকাল বুধবার ঢাকা জেলা জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বাবা ইমরান শরীফ। বিচারক এ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
পারিবারিক আদালত ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে তাদের মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় দিয়েছেন বলে আপিলে উল্লেখ করেছেন ইমরান শরীফ।
আজ বৃহস্পতিবার ইমরান শরীফের আইনজীবী নুরুল ইসলাম মিলন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
ইমরান শরীফের আপিলে উল্লেখ করা হয়, পারিবারিক আদালত আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এবং বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে রায় দিয়েছেন। শিশুরা যেখানে বাবার কাছে থাকতে চায়, সেখানে আদালত বাস্তবতা বিবেচনা না করে রায় দিয়েছেন।
আপিলে আরও বলা হয়, শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের কাছ থেকে মা নাকানো এরিকোর হেফাজত মানসিক ও শারীরিকভাবে নিরাপদ। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, শিশুরা তাদের বাবার কাছে থাকতে পছন্দ করে। সুতরাং, বাবাই দুই সন্তানের জিম্মাদার হবেন।
এর আগে পারিবারিক আদালতের রায়ে বলা হয়, দুই শিশু জাপানে বড় হচ্ছিল। তারা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। সেখানেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বলে আদালত মনে করেন। তাই তাদের নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করবেন তার বাবা এই দাবি বাদীর প্রতিকূলে নিষ্পত্তি করা হলো। দুই শিশুর মা একজন চিকিৎসক। সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব তার। তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতায় ভুগছেন বাদীর এই অভিযোগ তাঁর বিপক্ষে নিষ্পত্তি করা হলো। বাদী ইমরান শরীফ একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তাঁকে প্রায়ই দেশের বাইরে যাতায়াত করতে হয়। বাংলাদেশের দুই সন্তানকে রেখে বাদী দেশ-বিদেশে যান। আদালত মনে করেন দুই শিশুর জন্য এটা নিরাপদ নয়। শিশুদের দাদি ৭৫ বছর বয়স্ক। তিনি নিজেই নিজের দেখাশোনা করতে অপারগ। এ ক্ষেত্রে শিশুরাও তাঁর কাছে নিরাপদ নয়। আদালত মনে করেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য মা অধিক নিরাপদ।
কাজেই বাবার দুই শিশুর হেফাজত দাবি করা আদালত তাঁর প্রতিকূলে নিষ্পত্তি করলেন। এসব বিবেচনায় আদালত বাদীর মামলা খারিজ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এরিকো নাকানোর স্বামী ইমরান জাপান থেকে দেশে আসেন। এরপর মেয়েদের অভিভাবক দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। তাদের ফিরে পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। পরে আদালতের নির্দেশে শিশু দুটিকে তেজগাঁওয়ে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয় কিছুদিন। সব পক্ষের শুনানি নিয়ে ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট গুলশানের ফ্ল্যাটে মায়ের হেফাজতে শিশুদের রাখার আদেশ দেন। কিন্তু এই দেশেই সন্তানদের নিয়ে থাকতে হবে বলে হাইকোর্ট বলেন।
ইমরান শরীফ আদালতকে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় তিনি মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশেই বসবাস করবেন। তাঁর শিশুসন্তানদের অভিভাবক হিসেবে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু মা ভিনদেশি, তাই তিনি একমাত্র অভিভাবক।
এই আদালতে মামলা চলাকালীন তাঁর সাবেক স্ত্রী বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টও মেয়েদের বাংলাদেশে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই সন্তান নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে জাপানি নারী নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয় গত ২৯ ডিসেম্বর।
আজ ২০ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
২৩ মিনিট আগেএক সময়ে পথে পথে ছুটে চলা ‘লেইস ফিতা ফেরিওয়ালারা’ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহর ও গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে নারীদের শখের সাজসজ্জার জিনিস বিক্রি করতে এখন আর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ তা বিলুপ্তির পথে।
৩৪ মিনিট আগেচাঁদপুর শহরের একমাত্র বাইপাস সড়ক হচ্ছে ‘চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক’। শহরের যানজট নিরসনে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার হলেও দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় এখন মরণ ফাঁদে ফরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের পীরগাছায় ঘাঘট নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ভেসে উঠেছে শিশু নাজিমের (৭) মরদেহ। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডুবে যাওয়ার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগে