Ajker Patrika

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের ঘটনায় কমিটি গঠনে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৬
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের ঘটনায় কমিটি গঠনে রুল

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত নিম্ন আদালতে হাইকোর্টের রায়ের নথি পৌঁছায়নি। নথিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটির তদন্ত হওয়া দরকার। আদালত জানতে চান নথি কোথা থেকে হারিয়েছে?’ আইনজীবী বলেন, ‘পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথি পাওয়া যায়নি। তখন আদালত রুল জারি করেন।’ 

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন। নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রিট করেন করা হয়। রিটে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।

আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এত দিনেও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’  

sohel_chow_jan_1গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। 

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত