উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
খিলক্ষেতের পাতিরা ‘নতুন বাজার জামে মসজিদ’ সংলগ্ন এলাকার ওই কারখানাটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানের পর কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান। এতে সহযোগিতা করে র্যাব-১, উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পাতিরা মো. মাসুমের ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের চোখ দিয়ে তৈরি মো. মাহবুব নামের এক ব্যক্তি এ কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিল। কারখানায় অভিযানকে কেন্দ্র করে আশপাশে উৎসুক জনতা এসে ভিড় জমিয়েছে।
অভিযানকালে ওই কারখানা থেকে ২৫০০ কেজি ওজনের ৫০ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল, ১২ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা দানাদার প্লাস্টিক, ৫৭৫ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ফিলার, ২ বস্তা পলিথিন দানা, ২৫ কেজি কালার মাস্টার ব্যাচ, পলিথিনের ৭টি বড় রোল ও ১৭টি ছোট রোল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগেও এই কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরও আবার চলছিল একই কার্যক্রম।’
অবৈধ পলিথিন কারখানার বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্য না দেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘কারখানাটি বন্ধ হলে আমাদের লাভ কি? চালু থাকলে লাভ আছে। কারখানা থেকে আমাদের পলিথিন দেয়। সেগুলোতে আমরা মাছ-মাংস ভরে ফ্রিজে রাখতে পারি। তা ছাড়া অন্যান্য কাজে পলিথিন ব্যবহার করতে পারি।’
কারখানাটির হেলপার আনন্দ মিয়া ওরফে মোবারক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন মাস ধরে ১৩ হাজার টাকা বেতনে কাজ করি। নিষিদ্ধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে আমরা করি।’
শ্রমিক মো. রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট নয় মাস ধরে ১৪ হাজার টাকা বেতনে পলিথিন কারখানার মেশিন চালাই। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা পলিথিন তৈরি করি। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩০০-৪০০ কেজি পলিথিন তৈরি করি।’
তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল তৈরির কারখানায় তিনজন ও পলিথিন তৈরির কারখানায় চারজন শ্রমিক কাজ করি।’
শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলিথিন তৈরির পর ১৫ কেজি হলে সেগুলো সিমেন্টের বস্তায় ভরা হয়। তারপর অটোরিকশা বা সিএনজিতে করে গাজীপুরের টঙ্গীতে নিয়ে বিক্রি করা হয়।’
অভিযানে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পাতিরা এলাকার এই নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এই পলিথিন কারখানাটি দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছিল। একটিতে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল উৎপাদন এবং আরেকটিতে কাঁচামাল থেকে পলিথিন তৈরি করা হতো।’
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলিথিন তৈরির কারখানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এসব পলিথিন ও কাঁচামালগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানের জিম্মায় ধ্বংস করার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানকালে কারখানার মালিক মো. মাহবুব ও তার ম্যানেজার পলাতক রয়েছে। আমরা শুধু কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের পেয়েছি। কিন্তু মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কারণ, তারা জানেন, অবৈধ কারখানায় যেকোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
খিলক্ষেতের পাতিরা ‘নতুন বাজার জামে মসজিদ’ সংলগ্ন এলাকার ওই কারখানাটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানের পর কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান। এতে সহযোগিতা করে র্যাব-১, উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পাতিরা মো. মাসুমের ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের চোখ দিয়ে তৈরি মো. মাহবুব নামের এক ব্যক্তি এ কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিল। কারখানায় অভিযানকে কেন্দ্র করে আশপাশে উৎসুক জনতা এসে ভিড় জমিয়েছে।
অভিযানকালে ওই কারখানা থেকে ২৫০০ কেজি ওজনের ৫০ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল, ১২ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা দানাদার প্লাস্টিক, ৫৭৫ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ফিলার, ২ বস্তা পলিথিন দানা, ২৫ কেজি কালার মাস্টার ব্যাচ, পলিথিনের ৭টি বড় রোল ও ১৭টি ছোট রোল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগেও এই কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরও আবার চলছিল একই কার্যক্রম।’
অবৈধ পলিথিন কারখানার বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্য না দেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘কারখানাটি বন্ধ হলে আমাদের লাভ কি? চালু থাকলে লাভ আছে। কারখানা থেকে আমাদের পলিথিন দেয়। সেগুলোতে আমরা মাছ-মাংস ভরে ফ্রিজে রাখতে পারি। তা ছাড়া অন্যান্য কাজে পলিথিন ব্যবহার করতে পারি।’
কারখানাটির হেলপার আনন্দ মিয়া ওরফে মোবারক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন মাস ধরে ১৩ হাজার টাকা বেতনে কাজ করি। নিষিদ্ধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে আমরা করি।’
শ্রমিক মো. রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট নয় মাস ধরে ১৪ হাজার টাকা বেতনে পলিথিন কারখানার মেশিন চালাই। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা পলিথিন তৈরি করি। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩০০-৪০০ কেজি পলিথিন তৈরি করি।’
তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল তৈরির কারখানায় তিনজন ও পলিথিন তৈরির কারখানায় চারজন শ্রমিক কাজ করি।’
শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলিথিন তৈরির পর ১৫ কেজি হলে সেগুলো সিমেন্টের বস্তায় ভরা হয়। তারপর অটোরিকশা বা সিএনজিতে করে গাজীপুরের টঙ্গীতে নিয়ে বিক্রি করা হয়।’
অভিযানে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পাতিরা এলাকার এই নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এই পলিথিন কারখানাটি দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছিল। একটিতে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল উৎপাদন এবং আরেকটিতে কাঁচামাল থেকে পলিথিন তৈরি করা হতো।’
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলিথিন তৈরির কারখানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এসব পলিথিন ও কাঁচামালগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানের জিম্মায় ধ্বংস করার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানকালে কারখানার মালিক মো. মাহবুব ও তার ম্যানেজার পলাতক রয়েছে। আমরা শুধু কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের পেয়েছি। কিন্তু মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কারণ, তারা জানেন, অবৈধ কারখানায় যেকোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
২ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
২ ঘণ্টা আগে