Ajker Patrika

গাজীপুরে পিটিয়ে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চুরির অপবাদ দিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কারখানার ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গতকাল সোমবার রাতে ও আজ মঙ্গলবার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাগমারা এলাকার হাটমাদনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৩০) ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার পাটগ্রামে এলাকার বেলাল হোসেন ওরফে বেলাল (৪৩)। তাঁরা উভয়ে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার হরিনাচালা সেলিমনগরে অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওসি বলেন, শফিকুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার হাসান মাহমুদ মিঠুন (২৮) নামের ওই কারখানার এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তাঁর রিমান্ড শুনানির বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত আগামী রোববার ধার্য করেছেন। অন্য জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

অপরদিকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১ গাজীপুরের পোড়াবাড়ির কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার কে এম এ মামুন খান চিশতী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি সিকিউরিটি গার্ড বেলাল হোসেন ওরফে বেলালকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নগরীর বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা থেকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বেলাল র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে জানান তিনি। পরে তাঁকে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

তথ্যমতে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী কাশিমপুর রোডে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হৃদয়কে (১৯) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ৮টা থেকে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি জানাজানি হলে কারখানা ও আশপাশের কারখানার শ্রমিকেরা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। পুলিশ কারখানা থেকে হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।

হৃদয় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন হারিনাবাড়ী এসরারনগর হাউজিং এলাকায় মিরাজের বাড়িতে মা-বোনসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গ্রিনল্যান্ড ফ্যাক্টরিতে ডাইং সেকশনের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে ‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত