নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে জানালার কাচ। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। আজ বুধবার আইনজীবী সমিতি ভবনের তিনতলার সম্মেলন কক্ষের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা মো. অজি উল্লাহর নেতৃত্বে নতুন উপকমিটি গঠনের পর বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা সম্মেলন কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সম্পাদক পদের ভোট গণনা শুরু করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বারের সহসভাপতি শফিক উল্লাহ ভূঁইয়া এবং নির্বাচিত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকিরও।
আওয়ামী সমর্থকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। এ সময় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি সমর্থক কয়েকজন আইনজীবী ওই কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ওই সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমিতির ওই কক্ষেই নির্বাচনের ব্যালটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা ছিল।
এদিকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের গঠিত নির্বাচনী সাব-কমিটির সব কাজকে অবৈধ বলে দাবি করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিই ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তিনি শিগগিরই বাকি কাজ শেষ করবেন।’
এর আগে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা ছাড়াই গত ১২ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে লাগানো হয় নেমপ্লেট। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কার্যনির্বাহী কমিটির সবগুলো পদে নেমপ্লেট লাগানোর পর ১৩ এপ্রিল তা খুলে ফেলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। নেমপ্লেট লাগানো নিয়ে ফেসবুকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি পোস্ট করতে দেখা যায়। একপক্ষ অভিনন্দন জানালেও অপরপক্ষ প্রতিবাদ জানান। ১৩ এপ্রিল দুপুরে দুই পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা সম্পাদকের নেমপ্লেট খুলতে গেলে বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ সময় কয়েকজন সামান্য আহত হন।
ফলাফল ঘোষণায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে গত ৬ এপ্রিল সাবেক সভাপতি–সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করে কার্যনির্বাহী কমিটি। এরপর একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২০২৩ সেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ ও ১৬ মার্চ। ভোট গণনা শেষে ১৭ মার্চ রাতে ফল ঘোষণা করতে গেলে সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিযোগ নাকচ করে ফলাফল ঘোষণা করতে চাইলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ওই সময় আব্দুন নূর দুলাল লিখিতভাবে ভোট পুনরায় গণনার আবেদনও করেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ৬২৩ জন। আর দুই দিনে ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৯৮২ জন। মূলত সম্পাদক পদে ভোটের হিসাব নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ভোট গণনার সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালের সমর্থকেরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে ওই সময়ই পদত্যাগপত্র দেন তিনি। আর এতেই আটকে যায় ভোটের ফল ঘোষণা।
সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এই ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইনজীবীরা। জানা যায়, ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়। তাতে দেখা যায়, সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল এগিয়ে, আর সম্পাদকসহ ৮টি পদে এগিয়ে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে জানালার কাচ। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। আজ বুধবার আইনজীবী সমিতি ভবনের তিনতলার সম্মেলন কক্ষের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা মো. অজি উল্লাহর নেতৃত্বে নতুন উপকমিটি গঠনের পর বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা সম্মেলন কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সম্পাদক পদের ভোট গণনা শুরু করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বারের সহসভাপতি শফিক উল্লাহ ভূঁইয়া এবং নির্বাচিত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকিরও।
আওয়ামী সমর্থকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। এ সময় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি সমর্থক কয়েকজন আইনজীবী ওই কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ওই সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমিতির ওই কক্ষেই নির্বাচনের ব্যালটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা ছিল।
এদিকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের গঠিত নির্বাচনী সাব-কমিটির সব কাজকে অবৈধ বলে দাবি করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটিই ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তিনি শিগগিরই বাকি কাজ শেষ করবেন।’
এর আগে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা ছাড়াই গত ১২ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে লাগানো হয় নেমপ্লেট। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কার্যনির্বাহী কমিটির সবগুলো পদে নেমপ্লেট লাগানোর পর ১৩ এপ্রিল তা খুলে ফেলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। নেমপ্লেট লাগানো নিয়ে ফেসবুকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি পোস্ট করতে দেখা যায়। একপক্ষ অভিনন্দন জানালেও অপরপক্ষ প্রতিবাদ জানান। ১৩ এপ্রিল দুপুরে দুই পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা সম্পাদকের নেমপ্লেট খুলতে গেলে বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ সময় কয়েকজন সামান্য আহত হন।
ফলাফল ঘোষণায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে গত ৬ এপ্রিল সাবেক সভাপতি–সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করে কার্যনির্বাহী কমিটি। এরপর একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২০২৩ সেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ ও ১৬ মার্চ। ভোট গণনা শেষে ১৭ মার্চ রাতে ফল ঘোষণা করতে গেলে সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিযোগ নাকচ করে ফলাফল ঘোষণা করতে চাইলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ওই সময় আব্দুন নূর দুলাল লিখিতভাবে ভোট পুনরায় গণনার আবেদনও করেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ৬২৩ জন। আর দুই দিনে ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৯৮২ জন। মূলত সম্পাদক পদে ভোটের হিসাব নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ভোট গণনার সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালের সমর্থকেরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে ওই সময়ই পদত্যাগপত্র দেন তিনি। আর এতেই আটকে যায় ভোটের ফল ঘোষণা।
সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এই ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইনজীবীরা। জানা যায়, ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়। তাতে দেখা যায়, সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল এগিয়ে, আর সম্পাদকসহ ৮টি পদে এগিয়ে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতি তাঁর সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে।
১৮ মিনিট আগেপাহাড় ও বনের মিশেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। তবে এ অঞ্চলের বনভূমির চিত্র আর আগের মতো নেই। একসময়ের বিশাল বনভূমি এখন অনেকটাই উজাড় হয়ে গেছে। বনের মূল্যবান গাছের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত ঠাঁই নিয়েছে করাতকলে।
৩২ মিনিট আগেখুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে আটবার। কিন্তু এর নির্মাণকাজ গত ৯ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ চলছে ধীরগতিতে। মাটি ভরাট বাকি থাকাসহ কিছু ভবন অসম্পূর্ণ রয়েছে। ফলে গত মে এবং পরে জুলাই মাসে সময় নির্ধারণ করা হলেও গণপূর্ত বিভাগ কারাগারটি...
৩৮ মিনিট আগেরাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ক্যাম্পাসের জন্য যে ২০৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার এক কোণে একটি খামার ছিল হাফিজুলের। সেটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই হাফিজুলই এখন ক্যাম্পাসের হর্তাকর্তা। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও অনুযায়ী, তাঁর নির্দেশেই ক্যাম্পাস থেকে কাটা হয়েছে সহস্রাধিক গাছ।
১ ঘণ্টা আগে