Ajker Patrika

দুর্নীতির মামলায় কারাগারে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মোস্তাক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্নীতির মামলায় কারাগারে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মোস্তাক 

প্রকল্পের সার্ভার ও ইউপিএস কেনায় ১৫ কোটি টাকার অনিয়ম করার অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোস্তাক আহমেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর এই এ আদেশ দেন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নাজির আকন্দ নাকিব তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ‌‘পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্রসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডাক বিভাগের ‘পোস্ট-ই-সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দ করা ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনে তা ব্যবহার না করে, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯-এর ২৩ ধারা লঙ্ঘন পূর্বক সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন।

প্রকল্পের অধীন ৫০০টি এইচপিই এমএল ৩০ ও উইনার ব্র্যান্ডের ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করা হয়। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোয় বিতরণ করা হয়। এ ঘটনা তদন্তের জন্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

ওই তদন্তেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনো কোনো মালামাল প্রকল্প সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়েছে। টেশিসের টঙ্গী, গাজীপুর অফিসে এসব যন্ত্রপাতি অফিসে অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত পড়ে আছে। এমনকি প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত এসব যন্ত্র কোনোটিই ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেশিন ও যন্ত্রাংশ প্যাকেটজাত অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে এসব মেশিন কি কাজে ব্যবহার করা হবে, তার কোনো নির্দেশনা ডাক বিভাগের প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে আঞ্চলিক অফিসকে না দেওয়ায় এসব যন্ত্র কোনো কাজে আসেনি।

আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ নারী পাইলটের লাশ উদ্ধার

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
নিহত রিয়ানা আবজাল। ছবি: সংগৃহীত
নিহত রিয়ানা আবজাল। ছবি: সংগৃহীত

মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গত শনিবার ১৩ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে যাত্রা শুরু করেন। বোটটি বেলা ১টার দিকে সুন্দরবনের ঢাংমারি খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপর স্থানীয় বোটের সহায়তায় ১২ জন ট্যুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজনকে (রিয়ানা আবজাল) উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে বোটে থাকা এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবগত করেন। তার ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ৩ দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার জয়মনি এলাকার সাইলোর জেটিসংলগ্ন পশুর নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটক রিয়ানা আবজালের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

জানা গেছে, রিয়ানা আবজাল তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। রিয়ানার বাবা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা। তিনি পেশায় বিমানবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। আর রিয়ানা বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। স্বামীসহ বসবাস করতেন আমেরিকায়। গত মাসের মাঝামাঝি আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন রিয়ানা। ২০২১ সালে রিয়ানার বিয়ে হয় আমেরিকাপ্রবাসী স্বামীর সঙ্গে। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না।

এদিকে স্ত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর গতকাল রোববার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ানাকে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানুষের ডাকে জঙ্গল থেকে ছুটে আসে শিয়াল

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি 
কৃষক গিয়াস উদ্দিন ডাক দিলেই ছুটে আসে ‘লালু’। ছবি: আজকের পত্রিকা
কৃষক গিয়াস উদ্দিন ডাক দিলেই ছুটে আসে ‘লালু’। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।

পেশায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের থেকে আলাদা নির্জন পরিবেশে বসবাস করেন। গরু, ছাগল, মুরগি, ভেড়ার পাশাপাশি তাঁর বিশেষ সঙ্গী এখন একটি শিয়াল, যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘লালু’। প্রায় এক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের এক বন্ধু বনের ভেতর থেকে একটি সদ্য চোখ ফোটা শিয়াল ছানাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পান। সেই ছানাটিকে বাড়িতে এনে লালনপালনের দায়িত্ব নেন গিয়াস উদ্দিন। এর পর থেকেই লালু তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

এখন লালুর বয়স এক বছরের বেশি। সে রান্না করা ভাত, তরকারি, মাংস, পাউরুটি, বিস্কুট—সবই খেতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় লালু থাকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের ভেতরে। মাঝে মাঝে বনে চলে গেলেও গিয়াস উদ্দিনের ডাক শুনলেই ছুটে ফিরে আসে।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘লালুকে ছোট থেকে লালন করছি। তার প্রতি মায়া জন্মেছে। মনে হয়, যেন সে আমার বন্ধু। ফসলের খেতে কাজ করতে গেলে সে পাশে বসে থাকে। আমি যেখানেই যাই, সে আমাকে খুঁজে বের করে সেখানে হাজির হয়।’

প্রতিবেশী মো. আজিজুল বলেন, ‘দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ। মানুষের এত কাছে এসে বন্য প্রাণীর এমন আচরণ বিরল। শিয়ালটি গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বাস করে বলেই সে মানুষের সঙ্গেই থাকে।’

তবে বন্য প্রাণীকে এত কাছাকাছি রাখা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিয়াল রেবিস ভাইরাস বহন করতে পারে, যা জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিপজ্জনক। এ ছাড়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণের দিক থেকেও বন বিভাগকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’

প্রকৃতি ও মানবতার এই অদ্ভুত সহাবস্থান এখন সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। কেউ একে দেখছেন এক অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প হিসেবে, কেউবা ভাবছেন এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুর সাফারি পার্কে উগান্ডার জাতীয় পাখির ছানার জন্ম

প্রতিনিধি, শ্রীপুর
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।

জানা গেছে, পার্কে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আছে। এর আগে এরা ডিম দিলেও ছানা হয়নি। এবারই প্রথম ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। কিছু দিন আগে ছানাটির জন্ম হয়। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝোপের আড়ালে এটিকে রেখে যত্ন নিচ্ছে। চলতি সপ্তাতে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি আর ছানাটির একত্রে বিচরণ বেড়েছে। এখনো স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। ছানাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখছে এই পাখির জুটি।

পার্ক সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি ডিম পাড়ে। এরপর আরও দুটি ডিম পাড়ে। এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষ এদের বিষয়ে আলাদা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ায়। পার্কে ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে এক কোণে স্ত্রী পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে গেলে পুরুষ পাখিও ডিমে তা দেয়। পালা করেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। তবে তিনটি ডিমের মধ্যে একটি ছানার জন্ম হয়।

পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সোহাগ হাসান জানান, সারা দিন অ্যাভিয়ারির ঘন জঙ্গলের ভেতরেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানা নিয়ে লুকিয়ে থাকে। তবে দুপুরের দিকে পাখি দুটি বাচ্চা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য আশপাশে বিচরণ করে। এ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মাঝখানে হাঁটতে দেখা যায় ছানাটিকে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি সাফারি পার্কে ২০১৩ সালের দিকে আনা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার ডিম পাড়লেও বাচ্চা টিকেনি। তিনি দাবি করেন, এবারই প্রথম দেশে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা হলো। উন্মক্ত পরিবেশে এই পাখি ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরপর তারা সঙ্গী বাছাই করে। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একবার জুটি বাঁধলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে প্রথমবার গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। আশা করি, বাচ্চাটি সারভাইভ করবে। এই পাখির জুটি আরও সুখবর দেবে বলে আমি আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত