তানজিল হাসান, মুন্সিগঞ্জ
মাত্র ১১১ পাঠক-সদস্য নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার। সদস্য বাড়াতে কোনো উদ্যোগও নেয় না কর্তৃপক্ষ। পাঠক বাড়াতেও কোনো প্রচার নেই। পাঠক-সদস্যকে স্বাভাবিক মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে সুশীল সমাজের মানুষেরা বলছেন, ভালো বই না থাকা এবং সদস্য হতে জটিল প্রক্রিয়ার কারণে গ্রন্থাগারে সদস্য বাড়ছে না। অন্যদিকে গ্রন্থাগারের ৩৬ হাজার বইয়ের মধ্যে মাত্র ১২ হাজার বই পাঠকের পড়ার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। জায়গার অভাবে ২৪ হাজার বই প্রদর্শনের সুযোগ পায় না গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। এই ২৪ হাজার বই স্টোর রুমে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে পাঠ তো পরের কথা, বইগুলো দেখতেই পারেন না পাঠকেরা।
এ ছাড়া গ্রন্থাগারে পাঠকের জন্য ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য তিনটি কম্পিউটার থাকলেও সবগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একটিও ব্যবহার করতে পারছেন না পাঠকেরা। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে যেসব বই রয়েছে, সেগুলোও খুব মানসম্মত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে পাঠক কমে গেছে। সম্প্রতি একাধিকবার মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায় পাঠকের সংখ্যা নগণ্য। একসঙ্গে কখনো ১০ জনের বেশি পাঠককে দেখা যায়নি গ্রন্থাগারে। তবে উপস্থিত পাঠকদের বেশির ভাগই চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে আসেন।
চাকরির প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে পাঠ করতে আসা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘যদিও এখানে পড়ার পরিবেশটা ভালো কিন্তু, চাকরির প্রস্তুতি-সংক্রান্ত আরও ভালো মানের বই রাখা উচিত। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা কম্পিউটারগুলো ঠিক করে দিলে আমরা ব্যবহার করতে পারি।’ আমজাদ হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে অনেক বইপত্র রয়েছে। তবে আমরা মূলত চাকরির প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে আসি।’
এদিকে গ্রন্থাগারগুলোতে পাঠক কমে যাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, মুন্সিগঞ্জ শাখার সভাপতি ও ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মুজিব রহমান বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে আমি একবার বলেছিলাম, পাঠককে আকৃষ্ট করতে হলে প্রথমেই আপনাদের উচিত কিছু বই পুড়িয়ে ফেলা। কারণ, গ্রন্থাগারে যেসব বই আছে তা খুবই নিম্নমানের, পাঠযোগ্য নয়। পাঠকেরা সেগুলো পড়ে কোনো আনন্দ পায় না। তা ছাড়া সরকারি গ্রন্থাগারে বই ইস্যু করে বাসায় নিতে হলে কিছু টাকা জামানত রাখতে হয়। এতে অনেকেই আগ্রহী হয় না।’
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি অনলাইন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকে। তাই তারা বই পাঠে সময় দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে যদি বর্তমান প্রজন্মের কাছে গ্রন্থাগারগুলো আরও আকর্ষণীয় হয় তাহলে পাঠক বাড়বে। বই না পড়ার কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি বাণিজ্যিক চিন্তাধারার হয়ে গড়ে উঠছে। তাই আমাদের ভালোর জন্যই গ্রন্থাগার-সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে হবে। অনলাইন পড়াশোনাও হয়তো কেউ কেউ করছে।’
মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, জায়গা ও শেলফের অভাবে প্রায় ২৪ হাজার বই স্টোর রুমে রাখা হয়েছে। সেগুলো পাঠক পড়তে পারে না। তবে পাঠকের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। গ্রন্থাগারের এমএলএসএস লিটন মিয়া জানান, চার বছর আগে তিনটি কম্পিউটার দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ দেয় মাত্র চার মাস আগে। ব্যবহারের অভাবে কম্পিউটারগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গ্রন্থাগারিক বলেন, ‘কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার কারণে পাঠকেরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু গ্রন্থাগারে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া আছে। পাঠকেরা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারে। আর ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়ার কারণে কম্পিউটার সেবা আর দিচ্ছি না।’ গ্রন্থাগারে লোকবলের বিষয়ে গ্রন্থাগারিক বলেন, ৯টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে ৩ জন কর্মরত আছেন। তার মধ্যে একজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এ ছাড়া, ক্যাটালগার, কম্পিউটার, নাইটগার্ডসহ ৬টি পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
মাত্র ১১১ পাঠক-সদস্য নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার। সদস্য বাড়াতে কোনো উদ্যোগও নেয় না কর্তৃপক্ষ। পাঠক বাড়াতেও কোনো প্রচার নেই। পাঠক-সদস্যকে স্বাভাবিক মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে সুশীল সমাজের মানুষেরা বলছেন, ভালো বই না থাকা এবং সদস্য হতে জটিল প্রক্রিয়ার কারণে গ্রন্থাগারে সদস্য বাড়ছে না। অন্যদিকে গ্রন্থাগারের ৩৬ হাজার বইয়ের মধ্যে মাত্র ১২ হাজার বই পাঠকের পড়ার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। জায়গার অভাবে ২৪ হাজার বই প্রদর্শনের সুযোগ পায় না গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। এই ২৪ হাজার বই স্টোর রুমে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে পাঠ তো পরের কথা, বইগুলো দেখতেই পারেন না পাঠকেরা।
এ ছাড়া গ্রন্থাগারে পাঠকের জন্য ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য তিনটি কম্পিউটার থাকলেও সবগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একটিও ব্যবহার করতে পারছেন না পাঠকেরা। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে যেসব বই রয়েছে, সেগুলোও খুব মানসম্মত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে পাঠক কমে গেছে। সম্প্রতি একাধিকবার মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায় পাঠকের সংখ্যা নগণ্য। একসঙ্গে কখনো ১০ জনের বেশি পাঠককে দেখা যায়নি গ্রন্থাগারে। তবে উপস্থিত পাঠকদের বেশির ভাগই চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে আসেন।
চাকরির প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে পাঠ করতে আসা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘যদিও এখানে পড়ার পরিবেশটা ভালো কিন্তু, চাকরির প্রস্তুতি-সংক্রান্ত আরও ভালো মানের বই রাখা উচিত। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা কম্পিউটারগুলো ঠিক করে দিলে আমরা ব্যবহার করতে পারি।’ আমজাদ হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে অনেক বইপত্র রয়েছে। তবে আমরা মূলত চাকরির প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগারে আসি।’
এদিকে গ্রন্থাগারগুলোতে পাঠক কমে যাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, মুন্সিগঞ্জ শাখার সভাপতি ও ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মুজিব রহমান বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে আমি একবার বলেছিলাম, পাঠককে আকৃষ্ট করতে হলে প্রথমেই আপনাদের উচিত কিছু বই পুড়িয়ে ফেলা। কারণ, গ্রন্থাগারে যেসব বই আছে তা খুবই নিম্নমানের, পাঠযোগ্য নয়। পাঠকেরা সেগুলো পড়ে কোনো আনন্দ পায় না। তা ছাড়া সরকারি গ্রন্থাগারে বই ইস্যু করে বাসায় নিতে হলে কিছু টাকা জামানত রাখতে হয়। এতে অনেকেই আগ্রহী হয় না।’
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি অনলাইন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকে। তাই তারা বই পাঠে সময় দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে যদি বর্তমান প্রজন্মের কাছে গ্রন্থাগারগুলো আরও আকর্ষণীয় হয় তাহলে পাঠক বাড়বে। বই না পড়ার কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি বাণিজ্যিক চিন্তাধারার হয়ে গড়ে উঠছে। তাই আমাদের ভালোর জন্যই গ্রন্থাগার-সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে হবে। অনলাইন পড়াশোনাও হয়তো কেউ কেউ করছে।’
মুন্সিগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, জায়গা ও শেলফের অভাবে প্রায় ২৪ হাজার বই স্টোর রুমে রাখা হয়েছে। সেগুলো পাঠক পড়তে পারে না। তবে পাঠকের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। গ্রন্থাগারের এমএলএসএস লিটন মিয়া জানান, চার বছর আগে তিনটি কম্পিউটার দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ দেয় মাত্র চার মাস আগে। ব্যবহারের অভাবে কম্পিউটারগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গ্রন্থাগারিক বলেন, ‘কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার কারণে পাঠকেরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু গ্রন্থাগারে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া আছে। পাঠকেরা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারে। আর ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়ার কারণে কম্পিউটার সেবা আর দিচ্ছি না।’ গ্রন্থাগারে লোকবলের বিষয়ে গ্রন্থাগারিক বলেন, ৯টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে ৩ জন কর্মরত আছেন। তার মধ্যে একজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এ ছাড়া, ক্যাটালগার, কম্পিউটার, নাইটগার্ডসহ ৬টি পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
লক্ষ্মীপুরে জেলা স্টেডিয়ামের পাশে রাশেদা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় ইমন হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান যোগীর ঘোপায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে যৌথ অভিযান চালায়।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় নিজ প্রতিষ্ঠানে ভূটিয়ারকোণা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশুর নাম সাইম (৪) ও লাবিব (২)। তারা আপন দুই ভাই। তারা চরমজিদ গ্রামের রেনু বাজারের উত্তর পাশে কুট্টিয়াবাড়ির সাহেদের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে