Ajker Patrika

জিয়ার শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে: দীপু মনি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
জিয়ার শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে: দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা ৭৫ পরবর্তীতে দেখেছি, একজন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিয়েছে; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নিধনে সে ছিল সিদ্ধহস্ত। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পরে প্রথমে খুনি মোস্তাকের সরকার, তারপর স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছিল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে নির্বিচারে। মুক্তিযোদ্ধা নিধনের মহোৎসব চলেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করা হয়েছে।’ 

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

দীপু মনি বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে যুদ্ধাপরাধীদের সমাজে, রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শহীদের রক্তরঞ্জিত পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে। তাঁদের বসানো হয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়ে সম্মানিত করার চেষ্টা হয়েছে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; অথচ এই দেশটিতো খুনির দেশ ছিল না, এখনো নয়।’ 
 
দীপু মনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে একে একে ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়ে ‘জয় বাংলা’ ও ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে; নিষিদ্ধ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াকে। তখন ইতিহাসের বিকৃতি দেখেছি প্রতি পদে পদে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের সকল চেষ্টা সেদিন হয়েছে। জয় বাংলার বদলে পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ বেতারকে বদলে রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছে।’ 

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিধাতা তৈরিই করেছেন এই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। সে জন্যই এক সাগর শোক পাড়ি দিয়ে, সেই শোককে তিনি শক্তিতে রূপান্তরিত করে এই দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন দীর্ঘকাল। যখন মানুষ তাকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন তিনি দেশকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। আবার নব উদ্যমে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে তার মুক্তির লক্ষ্যে, জাতির পিতার দেখানো পথে, তার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা অর্জনের লক্ষ্যে।’ 
 
জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিনিয়র সহসভাপতি সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর। 

রাতে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে বীরত্বের সঙ্গে গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত করার চিত্রনাট্য প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬, ভারতে ১০

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত