Ajker Patrika

১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ জামিন মেলেনি এহসান গ্রুপ চেয়ারম্যানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ জামিন মেলেনি এহসান গ্রুপ চেয়ারম্যানের

প্রতারণা করে গ্রাহকদের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় জামিন মেলেনি এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসানের। আজ সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁর জামিন আবেদন ফেরত দেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাগীব আহসান ও তাঁর দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতে রাগীব আহসানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতারণার তিনটি মামলায় জামিন চেয়েছিলাম। এখন অবকাশকালীন কোর্ট চলছে। বিষয়টি জরুরি না হওয়ায় আমাদের নিয়মিত আদালতে যেতে বলা হয়েছে।’

এহসান গ্রুপের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৯টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি মামলায় এরই মধ্যে এহসান গ্রুপের সব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা জজ আদালত। সিআইডির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে হাজার হাজার মানুষকে নিঃস্ব করেছে এহসান গ্রুপ। গ্রুপের কর্ণধার মুফতি রাগীব আহসান ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এসব কাজ করেন।

এদিকে এহসান গ্রুপে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতেন কুয়াকাটার হুজুর ওরফে হেলিকপ্টার হুজুর হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। প্রতারণার মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এহসান গ্রুপের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হলে কুয়াকাটা হুজুরের বক্তব্যও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি এহসান গ্রুপের প্রশংসা করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

এক ওয়াজ মাহফিলে হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘এহসান গ্রুপ নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। এরপরও অনেকে (এহসান গ্রুপ) বিরূপ মন্তব্য করবে। তাদের মন্তব্য নিয়ে আমরা সময় নষ্ট করতে রাজি না। গুনাহের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে সুদ খাওয়া। আল্লাহ আমাদের এই গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। আর এই গুনাহ থেকে হেফাজতের জন্য আমার বন্ধু মুফতি রাগীব আহসান এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। এহসান গ্রুপ শুধু পিরোজপুরের নয়, গোটা জগতের জন্য রহমত। আমি নিজে এহসান পরিবারের একজন সদস্য, আলহামদুলিল্লাহ।’

জানা গেছে, রাগীব আহসান ২০০৭ সালে ইমামতির পাশাপাশি একটি এমএলএম কোম্পানিতে ৯০০ টাকা বেতনে চাকরি করতেন। সেখান থেকে প্রতারণা কৌশল রপ্ত করে নিজে ব্যবসায় নামেন। ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের আড়ালে চালাতেন ব্যবসায়িক প্রচার। তাঁর অধীনে কাজ করত ৩০০ মাঠকর্মী, যাদের বেশির ভাগই ছিল বিভিন্ন মসজিদের ইমাম। এসব মাঠকর্মীদের নির্ধারিত বেতন ছিল না। তবে বিনিয়োগ সংগ্রহ করলে তাঁদের ২০ শতাংশ হারে কমিশন দেওয়া হতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভিসা ছাড়া পাকিস্তান সফরের চুক্তি হতে পারে শিগগির

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর, আবারও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড

সাদাপাথর লুট: ৫১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত