Ajker Patrika

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে বৈষম্যের শিকার ঋষি সম্প্রদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে বৈষম্যের শিকার ঋষি সম্প্রদায়

বাংলাদেশে আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঋষি সম্প্রদায় একটি। এই সম্প্রদায়ের মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা দাবি করার মতো দক্ষতা এবং জ্ঞানের অভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। সামাজিক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা কারণে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়ন সুপারিশমালা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএইডের অর্থায়নে গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা (জিবিএসএস) এ সভার আয়োজন করে।

সভায় জানানো হয়, ঢাকা শহর এবং আশপাশের ২৬টি এলাকায় প্রায় তিন লাখ ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। যাদের অধিকাংশই দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। জন্মপরিচয়ের কারণে তাদের বেশির ভাগই আদি পেশা জুতা তৈরি বা জুতা সেলাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এই সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার বিশেষত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সুপেয় পানি, নিরাপদ আবাসন, কর্মসংস্থান এবং বিভিন্ন ভাতা সুবিধার মতো পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। বছরের পর বছর রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনের প্রার্থীরা সংখ্যালঘু কমিশনের মতো আইন এবং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ অবধি সে সবের বাস্তবায়ন হয়নি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা দীপু মনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রদানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নের মূলধারায় ঋষি, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু করার আমি তা করব। ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষদের দক্ষ করে তুলতে হবে, তারা যেন পর্যাপ্ত শিক্ষা পায়, চাকরি করে, ব্যবসা করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনে নীতিমালার সংশোধন ও সংযোজন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থার (জিবিএসএস) চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজেদা বানু। আলোচনায় আরও অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ, কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ক্যাটি ক্রোক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল প্রমুখ। সভায় জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আত্মকর্মসংস্থান প্রভৃতি বিষয়ে ঋষিসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।

জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা এবং ঋষিদের অধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংখ্যালঘুদের বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে ঋষি সম্প্রদায়ের জন্য অধিক অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রাখাসহ পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত