Ajker Patrika

রিমান্ড শেষে কারাগারে মমতাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৩ মে আদালতে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ফাইল ছবি
১৩ মে আদালতে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ফাইল ছবি

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে মমতাজের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, মমতাজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানা যায়। এই আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশ/আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নিপীড়নে ক্যাডার বাহিনীকে উৎসাহিত করতেন।

মামলার এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক আসামিদের নির্দেশে, প্ররোচনায় এবং মদদে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররাসহ মমতাজের ক্যাডাররা বেপরোয়াভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশ/আন্দোলনে আক্রমণ করে নির্বিচারে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের ছোড়া গুলিতে মো. সাগর গুলিবিদ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানা যায়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

গত ১৩ মে আদালতে হাজির করে তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ১২ মে দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন মো. সাগর। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাগর গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর বুকে গুলি লেগে পেছন দিকে বের হয়ে যায়। তাঁর মা বিউটি আক্তার তাঁকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই দিন রাত ৩টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মরদেহের সন্ধান পান তিনি। পরে সন্তানের মরদেহ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ঘটনায় গত বছর ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলার মমতাজ বেগম ৪৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতন কাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে

ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট, পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত