নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা উভয়ই বাংলা বিধায় নাগরিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে সার্থকভাবে প্রয়োগের একটি ভাষা। রাষ্ট্রের আইন ও শাসন বিভাগের মতো বিচার বিভাগে আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন আজও যথাযথভাবে হয়নি। অধস্তন আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন হলেও উচ্চ আদালতের ব্যবহারিক ভাষা এখনো ইংরেজি। ফলে জনগণ নিজ ভাষায় আইনি প্রতিকার, রায় বা আদেশ পাওয়ার জন্যই মূলত আর্থিক ব্যয় ও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। বাংলায় বিচারকাজ না হওয়ায় সাধারণ জনগণ মাতৃভাষায় বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে একদিকে ভাষার জন্য আমাদের অর্জন লুণ্ঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিচারিক ফলাফল বিচারপ্রার্থীদের মনে দুর্বোধ্যতার জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আজ শনিবার হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘চাইলে রাতারাতিই আদালতের সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন সম্ভব। এটা জনগণকে চাইতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ভাষার বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে। আর আদালতের ভাষা কতটুকু সহজবোধ্য করা যায়, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।’
বাংলা ভাষার প্রচলনে বিচারকদের প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ জানিয়ে সিনিয়র জেলা জজ (অব.) ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘বাংলায় বিচার লেখার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে হয়তো বিচারকেরা আগ্রহী হবেন।’
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসী। সভায় আরও আলোচনায় অংশ নেয় দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, কলামিস্ট ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ, লেখক ও প্রাবন্ধিক ফিরোজ আহমেদ, কলামিস্ট ও গবেষক রাখাল রাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পর আজকে আমরা এই দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি, এর দায় আমাদের পূর্বপুরুষদের এবং সমকালীনদের। অথচ স্বাধীনতাযুদ্ধের সূতিকাগারই ছিল এই ভাষা আন্দোলন। আমরা দাঁড়িয়েছি, কতটা পারব তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।’
প্রসঙ্গত, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন করা হলেও দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় কার্যবিধিতে অধস্তন আদালতের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। উচ্চ আদালতে ২০১২ সালে হাইকোর্ট বিধিমালা, ১৯৭৩ সংশোধনের মাধ্যমে হাইকোর্টে এবং আপিল বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষা ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় মেমো অব আপিল, আবেদনপত্র ইত্যাদি দাখিল বা বিজ্ঞ বিচারপতিদের সাবলীলভাবে বাংলা ভাষায় তাঁদের রায় লেখার সব রকম বাধা অপসারিত হয়েছে। বর্তমানে ইংরেজির পাশাপাশি কিছুটা বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে, তবে এর সংখ্যা খুবই কম।
বাংলাদেশের মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা উভয়ই বাংলা বিধায় নাগরিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে সার্থকভাবে প্রয়োগের একটি ভাষা। রাষ্ট্রের আইন ও শাসন বিভাগের মতো বিচার বিভাগে আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন আজও যথাযথভাবে হয়নি। অধস্তন আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন হলেও উচ্চ আদালতের ব্যবহারিক ভাষা এখনো ইংরেজি। ফলে জনগণ নিজ ভাষায় আইনি প্রতিকার, রায় বা আদেশ পাওয়ার জন্যই মূলত আর্থিক ব্যয় ও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। বাংলায় বিচারকাজ না হওয়ায় সাধারণ জনগণ মাতৃভাষায় বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে একদিকে ভাষার জন্য আমাদের অর্জন লুণ্ঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিচারিক ফলাফল বিচারপ্রার্থীদের মনে দুর্বোধ্যতার জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আজ শনিবার হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘চাইলে রাতারাতিই আদালতের সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন সম্ভব। এটা জনগণকে চাইতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ভাষার বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে। আর আদালতের ভাষা কতটুকু সহজবোধ্য করা যায়, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।’
বাংলা ভাষার প্রচলনে বিচারকদের প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ জানিয়ে সিনিয়র জেলা জজ (অব.) ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘বাংলায় বিচার লেখার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে হয়তো বিচারকেরা আগ্রহী হবেন।’
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসী। সভায় আরও আলোচনায় অংশ নেয় দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, কলামিস্ট ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ, লেখক ও প্রাবন্ধিক ফিরোজ আহমেদ, কলামিস্ট ও গবেষক রাখাল রাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পর আজকে আমরা এই দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি, এর দায় আমাদের পূর্বপুরুষদের এবং সমকালীনদের। অথচ স্বাধীনতাযুদ্ধের সূতিকাগারই ছিল এই ভাষা আন্দোলন। আমরা দাঁড়িয়েছি, কতটা পারব তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।’
প্রসঙ্গত, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন করা হলেও দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় কার্যবিধিতে অধস্তন আদালতের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। উচ্চ আদালতে ২০১২ সালে হাইকোর্ট বিধিমালা, ১৯৭৩ সংশোধনের মাধ্যমে হাইকোর্টে এবং আপিল বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষা ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় মেমো অব আপিল, আবেদনপত্র ইত্যাদি দাখিল বা বিজ্ঞ বিচারপতিদের সাবলীলভাবে বাংলা ভাষায় তাঁদের রায় লেখার সব রকম বাধা অপসারিত হয়েছে। বর্তমানে ইংরেজির পাশাপাশি কিছুটা বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে, তবে এর সংখ্যা খুবই কম।
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে তীব্র ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘আপনারে কে এখানে বসাইছে, আমি তার কইলজা খুলিয়ালামু। আপনার কইলজাও খুলমু।’
৩ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছে জাপানের ১১০ সদস্যের একটি বিনিয়োগকারী দল। ব্র্যাক ইপিএলের উদ্যোগে জাপানি প্রতিনিধিদলটি সোনারগাঁয়ের অনন্য স্থাপত্যকীর্তি প্রাচীন পানাম নগরী, বড় সরদার বাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর পরিদর্শন করে।
১২ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুল মান্নান (৭০) নামের এক ব্যাটারিচালিত টমটমের চালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খন্দকার নিশাত নামের স্কুলশিক্ষক আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে
১ ঘণ্টা আগে