নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবছর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাক্কালে আয়োজক কমিটি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নীতিমালা তৈরি করে। যার কোনো কপি লেখক, প্রকাশক ও সাংবাদিক কাউকে দেওয়া হয় না। এই অদৃশ্য নীতিমালা মূলত লেখক-প্রকাশকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন অজুহাতে নানা প্রকাশনীকে হয়রানি করে জানিয়ে বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধ করা উচিত বলে জানিয়েছেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে লেখকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং আসন্ন বইমেলায় আদর্শকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাহবুব রহমান বলেন, ‘বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনের পর জাতির মননের প্রতীক হিসেবে গড়ে ওঠার যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বর্ধমান হাউস থেকে বাংলা একাডেমি হয়েছে, আজকের বাংলা একাডেমি সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গণবিরোধী নুরুল আমিনের অবস্থানেই রয়ে গিয়েছে। এর আগে মেলা চলাকালে স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও আমরা দেখেছি। আমরা বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানাই।’
মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘যেখানে সংবিধানের ৩৯নং ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেক, বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বাংলা একাডেমি কোন যুক্তিতে সংবিধানবিরোধী অবস্থান নেয়? বাংলা একাডেমি বলছে, আদর্শর বই বাংলা একাডেমির স্টল বরাদ্দের নীতিমালা পরিপন্থী। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই নীতিমালা মনগড়া ও পরিবর্তনশীল।’
মাহবুব রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘১৫ জানুয়ারি মেলা কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র নেই। তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা কবিরের কাছেও কোনো কাগজপত্র আসেনি। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট মেলা কমিটিতে থাকা চারজন প্রকাশক প্রতিনিধিও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কমিটির মিটিংয়েও আদর্শর স্টল বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাংলা একাডেমির ডিজিকে চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর পাইনি। ১৭ জানুয়ারি আরেকটি চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠিরও কোনো উত্তর পাইনি।’
ব্যক্তির অর্জিত জ্ঞান, উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতাকে বইয়ের মাধ্যমে সমষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই আদর্শর প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘পাণ্ডুলিপি নির্বাচন এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষসহ যেকোনো বিদ্বেষ ও কুৎসামূলক লেখা আদর্শ কঠোরভাবে পরিহার করে। আদর্শ তার পাণ্ডুলিপি পরিকল্পনা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক পাঠ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’
আদর্শ স্টল না পেলে ৩ শতাধিক লেখক এবং লক্ষাধিক পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জানিয়ে মাহবুব রহমান আরও বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ধারদেনা করে আদর্শ লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। অনেকগুলো বই প্রেসে, বাঁধাইখানায় আটকে আছে। বইগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ২০১৯ সালেও বাংলা একাডেমি আদর্শের স্টল বন্ধ রেখেছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে স্টল বরাদ্দ দিতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে মাহবুব রহমান জানান, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেখক ও প্রকাশকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত রাখতে হবে, অবিলম্বে আদর্শকে এর প্রাপ্যতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিতে হবে, আদর্শর যে তিনটি বইয়ের ব্যাপারে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে, সেগুলো মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রির পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে, গ্রন্থমেলায় আদর্শসহ সব প্রকাশক-লেখকদের হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে গ্রন্থমেলার দায়িত্ব সব প্রকাশকের সমন্বয়ে গঠিত প্রকাশক গিল্ডের হাতে তুলে দিতে হবে।
উল্লেখ, এবারের বইমেলায় জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’, ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ এবং ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’—এই তিনটি বইকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ঐতিহ্যবাহী আদর্শ প্রকাশনীকে মেলায় স্টল বরাদ্দ দেয়নি।
প্রতিবছর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাক্কালে আয়োজক কমিটি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নীতিমালা তৈরি করে। যার কোনো কপি লেখক, প্রকাশক ও সাংবাদিক কাউকে দেওয়া হয় না। এই অদৃশ্য নীতিমালা মূলত লেখক-প্রকাশকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন অজুহাতে নানা প্রকাশনীকে হয়রানি করে জানিয়ে বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধ করা উচিত বলে জানিয়েছেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে লেখকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং আসন্ন বইমেলায় আদর্শকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাহবুব রহমান বলেন, ‘বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনের পর জাতির মননের প্রতীক হিসেবে গড়ে ওঠার যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বর্ধমান হাউস থেকে বাংলা একাডেমি হয়েছে, আজকের বাংলা একাডেমি সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গণবিরোধী নুরুল আমিনের অবস্থানেই রয়ে গিয়েছে। এর আগে মেলা চলাকালে স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও আমরা দেখেছি। আমরা বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানাই।’
মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘যেখানে সংবিধানের ৩৯নং ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেক, বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বাংলা একাডেমি কোন যুক্তিতে সংবিধানবিরোধী অবস্থান নেয়? বাংলা একাডেমি বলছে, আদর্শর বই বাংলা একাডেমির স্টল বরাদ্দের নীতিমালা পরিপন্থী। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই নীতিমালা মনগড়া ও পরিবর্তনশীল।’
মাহবুব রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘১৫ জানুয়ারি মেলা কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র নেই। তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা কবিরের কাছেও কোনো কাগজপত্র আসেনি। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট মেলা কমিটিতে থাকা চারজন প্রকাশক প্রতিনিধিও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কমিটির মিটিংয়েও আদর্শর স্টল বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাংলা একাডেমির ডিজিকে চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর পাইনি। ১৭ জানুয়ারি আরেকটি চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠিরও কোনো উত্তর পাইনি।’
ব্যক্তির অর্জিত জ্ঞান, উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতাকে বইয়ের মাধ্যমে সমষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই আদর্শর প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘পাণ্ডুলিপি নির্বাচন এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষসহ যেকোনো বিদ্বেষ ও কুৎসামূলক লেখা আদর্শ কঠোরভাবে পরিহার করে। আদর্শ তার পাণ্ডুলিপি পরিকল্পনা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক পাঠ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’
আদর্শ স্টল না পেলে ৩ শতাধিক লেখক এবং লক্ষাধিক পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জানিয়ে মাহবুব রহমান আরও বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ধারদেনা করে আদর্শ লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। অনেকগুলো বই প্রেসে, বাঁধাইখানায় আটকে আছে। বইগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ২০১৯ সালেও বাংলা একাডেমি আদর্শের স্টল বন্ধ রেখেছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে স্টল বরাদ্দ দিতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে মাহবুব রহমান জানান, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেখক ও প্রকাশকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত রাখতে হবে, অবিলম্বে আদর্শকে এর প্রাপ্যতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিতে হবে, আদর্শর যে তিনটি বইয়ের ব্যাপারে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে, সেগুলো মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রির পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে, গ্রন্থমেলায় আদর্শসহ সব প্রকাশক-লেখকদের হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে গ্রন্থমেলার দায়িত্ব সব প্রকাশকের সমন্বয়ে গঠিত প্রকাশক গিল্ডের হাতে তুলে দিতে হবে।
উল্লেখ, এবারের বইমেলায় জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’, ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ এবং ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’—এই তিনটি বইকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ঐতিহ্যবাহী আদর্শ প্রকাশনীকে মেলায় স্টল বরাদ্দ দেয়নি।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে তেলবাহী খালি একটি ট্রেন ঘোরানোর সময় চালকের ভুলে লাইনচ্যুত হয়েছে। শনিবার (১০ মে) বেলা দেড়টায় শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ মিনিট আগেহবিগঞ্জ সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদের ভারতের পুশ ইন করার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন অবস্থান নিয়েছে বিজিবি। প্রায় ১০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্ত এলাকায় এখনো কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবিষ্যৎ অনাকাঙ্ক্ষিত পর
৫ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সাপের কামড়ে কাজলী বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত কাজলী বেগম ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
১২ মিনিট আগেখুলনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আমিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলু হাওলাদারের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
১৬ মিনিট আগে