Ajker Patrika

ঢাকায় মার্কেট দখলের চেষ্টায় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

  • নজর চাঁদার ৫০ কোটি টাকায়
  • দখলে এগিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন
  • সামনে রাখা হচ্ছে বিএনপির লোককে
  • আরেক চক্রে পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলাম
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ১৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় ৫৭টি মার্কেট। এসব বিপণিবিতানসহ ওই এলাকায় ১১ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দোকান ও মার্কেট থেকে প্রতি মাসে বিভিন্ন সেবা খাত ও সার্ভিস চার্জের নামে ৪৫-৫০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। পরিবর্তিত আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই বড় অঙ্কের অর্থের ভাগ পেতে মার্কেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে মাঠে নেমেছে দেশের কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হামলা করে ইতিমধ্যে বেশির ভাগ মার্কেট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই নিউমার্কেট ও নিউ এলিফ্যান্ট রোড এলাকার মার্কেট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও তাদের অনুসারীরা। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমেই বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে তালা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতাদের ফোনে বা তলব করে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে নেতাদের অনেকে মার্কেটে যাওয়াই বন্ধ করে দেন। এরপর সন্ত্রাসীরা একে একে বিভিন্ন মার্কেট তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং নিজেদের পছন্দের লোক বসায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতাদের ভয় দেখিয়ে লিখিত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার ৫৭টি মার্কেটের পরিচালনা কমিটিতেই হয় সন্ত্রাসীরা নিজেদের লোক বসিয়েছে, না হয় আগের কমিটি গোপনে আপস করে টিকে আছে।

কেস স্টাডি গাউসুল আজম মার্কেট

মোতালেব মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ২০০০ সালের শেষ দিকে নীলক্ষেতের গাউসুল আজম সুপার মার্কেট নামের বিপণিবিতানটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে সেখানে ৮৪২টি দোকান রয়েছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি মোতালেব মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাবুল। বাবুল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মার্কেটটিতে তালা দেয়। পরে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে সে তালা খোলা হলেও ঘটনা শেষ হয়নি। এরপর থেকে মোতালেব ও বাবুলকে অপরিচিত ব্যক্তিরা হুমকি দিতে থাকে। আতঙ্কে বাবুল আর মার্কেটে ফেরেননি। মোতালেব হুমকির মধ্যেই নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন সরদারের মধ্যস্থতায় মার্কেটে যান। এরপরও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি পেতে থাকায় বিএনপির তরুণ প্রজন্মের এক শীর্ষ নেতার দ্বারস্থ হন মোতালেব মিয়া। মোতালেব মিয়া জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে তিনি রাজধানীর বাংলামোটরে বিএনপির ওই নেতার অফিসে যান। নেতা তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে মোতালেবের পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলাম। মোতালেব মিয়ার দাবি, তাঁর কোনো কথা না শুনেই বিএনপির নেতা বলেন, ‘কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে মার্কেট চালান।’ তিনি মোতালেবকে আর কথা বলতে দেননি।

বিএনপির ওই নেতার সুপারিশ করা কামাল হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন। পিচ্চি হেলালের ঘনিষ্ঠ কামাল একসময় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।

সেদিনের ঘটনার বিষয়ে মোতালেব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি বিএনপির নেতার কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলামকে দেখে ভয় পেয়ে যান। এদিকে বিএনপির নেতার সমর্থন পেয়ে কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে গাউসুল আজম সুপার মার্কেট দখলে নিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। আগের সাধারণ সম্পাদক বাবুলকে হুমকি দিয়ে এ মর্মে লিখিত নিয়ে নেন তিনি।

এ বিষয়ে বদিউজ্জামান বাবুল বলেন, ক্রমাগত হুমকির মুখে তিনি মার্কেটে আসা বন্ধ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

কামাল হোসেন এখন নিয়মিত মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির অফিসে বসেন। এই মার্কেট থেকে প্রতি মাসে অবৈধ দোকানভাড়া, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, মার্কেটের কর্মীসহ বিভিন্ন খাতে অন্তত ৫০ লাখ টাকা তোলা হয়। এসব বাবদ কিছু অর্থ পরিশোধ করে বাকিটা নিজেদের পকেটে রাখে মার্কেট পরিচালনা কমিটি।

কামাল হোসেনকে মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মেনে নিয়েই সভাপতি মোতালেব মিয়া আবার মার্কেটে যাওয়া শুরু করেন। এ অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর মার্কেটে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে তিনি কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। তবে কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি হামলা করেননি; বরং মোতালেব মিয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন খবর পেয়ে হাজারীবাগের কিছু ছেলে এসে তাঁকে ধরেছিল। তিনি খবর পেয়ে এসে মোতালেবকে উদ্ধার করেন।

দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ইমন

এলাকার সব মার্কেটের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সদস্যরা জানিয়েছেন, দখলে এগিয়ে রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন। অন্যদিকে ইমামুল হাসান হেলাল (পিচ্চি হেলাল), সুইডেন আসলাম এবং কয়েক সন্ত্রাসী জোট বেঁধে আরেকটি বলয় সৃষ্টি করেছে। তবে ইমনের প্রভাবের সঙ্গে তারা পেরে উঠছে না। ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকার ছাত্রদল ও যুবদলের প্রভাবশালী নেতারা ইমনের সঙ্গে রয়েছেন। কয়েকটি মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতা ও পুলিশের সূত্র বলেছে, নিয়ন্ত্রণ দখলের পর মার্কেটগুলোর পরিচালনা কমিটির সামনে রাখা হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। নেপথ্যে থাকছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।

পিচ্চি হেলালের ভাই ওয়াহেদুল হাসান দীপু এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। ১০ জানুয়ারি রাতে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে হামলার শিকার হন দীপু এবং ইপিএস কম্পিউটার সিটির মাল্টিপ্ল্যান শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব এহতেসামুল হক। দীপু এ ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে আসামি করেছেন।

ওয়াহেদুল হাসান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ক্রমাগত চাঁদা দাবি করে আসছিল একটি চক্র। সেপ্টেম্বরে একদিন আমার অফিসে মুন্না, এ কে এম চঞ্চল ও খোকন নামের কয়েকজন আসে। তারা এসে ‘ক্যাপ্টেন কথা বলবে’ বলে একটি ফোন ধরিয়ে দেয় আমাকে। ওপাশ থেকে আমাকে বলা হয়, ‘ওরা যেভাবে বলে, সেভাবে মার্কেট চালাও।’ আমি ফোন রাখার পর ওই লোকদের কাছে ‘ক্যাপ্টেন’ কে জানতে চাই। তারা বলে, ‘ইমন ভাই’।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটে পিচ্চি হেলালের আপন ভাই থাকায় এখনো এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি ইমন। তবে নিউমার্কেটসহ গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তিনি। মার্কেটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইমনের সঙ্গে পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

নিউ এলিফ্যান্ট রোডে পিচ্চি হেলালের ভাই দীপুর ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে নিউমার্কেট থানায় হামলা চালায় অনুসারীরা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকা’কে বলেন, মিথুনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যয় পুলিশের

বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মার্কেটের নিয়ন্ত্রণের লড়াই নিয়ে যতগুলো অভিযোগ পুলিশের কাছে এসেছে, সব কটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু লোক নীরবে আঁতাতও করছে, সেখানে তো পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে না। তবে সবকিছু পুলিশের নজরদারিতে আছে। ছোট সন্ত্রাসী, বড় সন্ত্রাসী কিংবা শীর্ষ সন্ত্রাসী—যে-ই হোক, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৫ নেতা বহিষ্কার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ পরিপত্র। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ পরিপত্র। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান (হিরন), যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম খোকন, সদস্য মাসুদ পারভেজ কার্জন এবং গৌরীপুর পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সুজিত কুমার দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান পলাশ।

তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরিপত্রটি দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নেতারা দলের অভ্যন্তরে সহিংসতা, রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা বিএনপির শৃঙ্খলা ও নীতির পরিপন্থী। এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এই বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কঠোর বার্তা দিল।

উল্লেখ্য, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হিরন সমর্থকেরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। রোববার দুই পক্ষই আলাদা স্থানে সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় মনোনয়নপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা হিরনের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল সমর্থক ছাত্রদল নেতা তানজিন আহমেদ আবিদ (২৪) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এদিকে রাতে দুই পক্ষই আলাদা একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করে আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই: নুর

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
পথসভায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
পথসভায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাহিরগোলা চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ছিল। সেই আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে ভিন্নমত দমনে জামায়াত-বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর চালিয়েছিল অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন। তাদের নেতা-কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেওয়া হয়েছিল মামলা। করা হয়েছিল তাদের ঘরছাড়া। সর্বশেষ এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ দেশের সচেতন নতুন প্রজন্ম, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের সঙ্গে যোগ হয়ে ছাত্র-জনতার মিলিত অভ্যুত্থানে এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নাই হয়ে গেছে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘আপনাদের কারও সন্তান, কারও ভাই এই তরুণেরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অসাধ্যকে সাধন করেছে, তা গত ৫০ বছরে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারির রাজনীতি চলেছে তাতে সাধারণ মানুষ, আমজনতা নেতাদের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। নেতাদের জন্য লাশ হয়েছে। কিন্তু নেতায়-নেতায় ঠিকই থাকে। নেতায়-নেতায় ফোনে কথা হয়, আলাপ-আলোচনা হয় আর কর্মীরা রাস্তাঘাটে মারামারি করে জীবন দেয়। তাই জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামীর রাজনীতি ও বাংলাদেশের গতিপথ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে এ দেশের নতুন প্রজন্ম ও সাহসী তরুণেরা।’

নুর আরও বলেন, ‘যে তরুণেরা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল, এই পরিবর্তন এনেছিল, সেই তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশা আল্লাহ।’

পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হানিফ খান সজিব, সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী মাসুদ রানা মোন্নাফ এবং সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী আসনে মো. সুরুজ্জামান সরকারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান নুরুল হক নুর।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদের সদস্য মো. হানিফ খান সজিব এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মোন্নাফ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক রুমন বসুনিয়া ও উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল মিয়াসহ অনেকে বক্তব্য দেন এ পথসভায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি রেজিস্ট্রার ও রাকসু জিএসের উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডা: ‘বিএনপি নেতা’দের সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি  
বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে রাবি রেজিস্ট্রার রাকসু জিএসের দিকে তেড়ে আসেন। ছবি: সংগৃহীত
বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে রাবি রেজিস্ট্রার রাকসু জিএসের দিকে তেড়ে আসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ এবং রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দিন আম্মারের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সেই বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার জন্ম দেয়।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে জরুরি কাজে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মার। সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁকে জানানো হয়, রেজিস্ট্রার ‘বিএনপি নেতা’দের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত আছেন। আম্মার এরপর ভেতরে প্রবেশ করে তাঁর কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার ও তাঁর মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়।

জিএস সালাউদ্দিন আম্মার জানান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের একটি ফাইল নিয়ে জটিলতা ছিল, যা উপাচার্যের স্বাক্ষরের পরও রেজিস্ট্রার দপ্তরে আটকে ছিল। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি প্রথমবার কল করলেও রেজিস্ট্রার ধরেননি। দ্বিতীয়বার সরাসরি দপ্তরে গেলে তাঁর পিএস তাঁকে জানান যে রেজিস্ট্রার ‘মহানগর বিএনপির’ নেতাদের সঙ্গে মিটিং করছেন।

আম্মার বলেন, ‘আমি সেখানে গেলে তখনো বলে বিএনপির প্রোগ্রাম চলছে। এখন ভেতরে যাওয়া যাবে না। তারপর আমি ভেতরে ঢুকে যাই। গিয়ে বললাম এই চিঠিটা কখন ইস্যু হচ্ছে? তখন উনি বলল আজকে। তারপর বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হলো।’

সালাহউদ্দিন আম্মার আরও বলেন, ‘রেজিস্ট্রার প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। উনি মেয়েদের হলের আন্দোলনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। আজ (গতকাল) একপর্যায়ে তিনি আমার দিকেও তেড়ে আসেন। যিনি ভিডিও করছিল তাঁর দিকেও তেড়ে এসে ফোনটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভিডিওতেও স্পষ্ট দেখা যায়—তিনি আমাকে বারবার “গেট আউট” বলে চিৎকার করছেন এবং বলছেন, “এটা আমার কক্ষ, তুমি এখানে কেন?” আমি যদি কোনো অপ্রয়োজনীয় কাজে সেখানে যেতাম, তাহলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতাম না। আমাকে জানানো হয়েছিল, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করছেন। তাই দায়িত্বের জায়গা থেকে আমি বিষয়টি যাচাই করতে গিয়েছিলাম। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাকসুতে নির্বাচিত হইনি; আমি নির্বাচিত হয়েছি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার জন্য।’

অন্যদিকে অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, ‘চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি নিয়োগ বিষয়ে গতকাল (শনিবার) একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা কার্যকর করা নিয়ে আমি আজকে (রোববার) সকাল থেকেই কাজ করছিলাম। এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে এনসিপির রাজশাহী মহানগরের নতুন কমিটির নেতারা আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলেন। ওনারা সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন আজ। ওনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় বাইরে দুজন ডিন অপেক্ষা করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারও দেখা করার জন্য এসেছিল। তাকেও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে অপেক্ষা না করে বেয়াদবি করে হঠাৎ আমার চেম্বারে ঢুকে পড়ে। তার দাবি, আমি নাকি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সভাপতি নিয়োগের চিঠি আটকে রেখেছি। অথচ সকাল থেকেই আমরা বিষয়টির সুরাহা করার জন্য কাজ করছিলাম। ওই সময়ও নতুন সভাপতির নিয়োগ অনুমোদন হওয়ার পরের কাজ করছিল অন্যরা।’

রেজিস্ট্রার আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় সে হঠাৎ চেম্বারে ঢুকে পড়ে। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সভাপতি নিয়োগ হবে। এখানে তাঁর কাজ কী? রাকসুর ভিপি সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য এক সপ্তাহ আগে আমাকে মেসেজ দিয়েছে। আমি এখনো বেচারাকে রিপ্লাই দিতে পারিনি। আর এই ছেলে সব জায়গায় গিয়ে মাতব্বরি করে। একটা বেহায়া ছেলে। ভিডিওতেই এর প্রমাণ রয়েছে। আমি তাকে গেট আউট বলে বের করে দিয়েছি। সে কেন একটা অফিস অর্ডার নিয়ে কথা বলতে যাবে? এটা তো আমি বরদাশত করব না। ছাত্র রিলেটেড কোনো বিষয় হলে সে যেতে পারে।’

এ ঘটনায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোবাশ্বের রাজ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সালাউদ্দিন আম্মার ও রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার সময় সেখানে বিএনপির কেউ ছিল না। আমার উপস্থিতিতে রাজশাহী মহানগর এনসিপির নেতৃত্ব ছিল। আমরা সেখানে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রেজিস্ট্রার স্যারের পিএস সম্ভবত আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মী ভেবে তাদের ইনফর্ম করে। এখান থেকেই ভুল-বোঝাবুঝির সূচনা হয়।’

এদিকে, জিএস আম্মার বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আম্মার ও শিক্ষক পরস্পরকে ধমকাচ্ছেন, বিএনপির নাম টেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, অথচ সেখানে বিএনপির কেউই ছিল না। এনসিপির সঙ্গে নিয়মিত দেখা যায় আম্মারকে, অথচ আজ তিনি তাদের চিনলেন না। গণতান্ত্রিক সমাজে যে কেউ আলোচনা করতেই পারে, এতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো অনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রমিক দল সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিক্ষোভ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
মোন্তাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি ও জলাশয় দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল (ইনসেটে মোন্তাজ আহমেদ)। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোন্তাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি ও জলাশয় দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল (ইনসেটে মোন্তাজ আহমেদ)। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোন্তাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি ও জলাশয় দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, শ্রমিক দলের সভাপতি পরিচয় ব্যবহার করে মোন্তাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, এলাকায় সালিসের নামে অর্থ আদায়, জমি ও জলাশয় দখল, থানায় দালালি এবং নিজ দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁর কারণে মূলগ্রাম ইউনিয়নসহ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করেন, মোন্তাজ আহমেদের অপকর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক নেতা-কর্মী দলীয় কর্মসূচি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুত দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে মোন্তাজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশ থেকে মূলগ্রাম ইউনিয়নে তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাব্বত মল্লিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মোন্তাজ বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় ও ভুক্তভোগীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। অমৃতকুণ্ডা হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, রেলবাজার এলাকায় শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়। শ্রমিকেরা আপত্তি জানালে তাদের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়। এসব অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে। এসব কারণে অনেকেই দল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।’

তবে শ্রমিক দল সভাপতি মোন্তাজ আহমেদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং কিছু ব্যক্তি অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ট্রাক ও যানবাহন থেকে টাকা নিচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর আমি তাদের নিষেধ করেছি। এ কারণে তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। আমাদের ইজারা নেওয়া হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত