Ajker Patrika

পুলিশের হাতে মাদক পাওয়া গেলে চাকরি থাকবে না: আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশের হাতে মাদক পাওয়া গেলে চাকরি থাকবে না: আইজিপি

পুলিশ কোনো সদস্যদের হাতে মাদক পাওয়া গেলে তাঁর চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ বুধবার পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘আইজিপিস এক্সামপ্লারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটের মধ্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। 

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেওয়া হয়। আর পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক গ্রহণের প্রমাণ থাকলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে মামলাও হবে। পুলিশ সদস্যদের হাতে মাদক থাকলেই চাকরি থাকবে না।’ 

আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকি। যারা মাদকাসক্ত তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে কেউ চাকরি পাবে না।’ 

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক। মাদকবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ জয়ী হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে যেভাবে, মাদক নিয়ন্ত্রণেও সেভাবে সফল হতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জঙ্গি-মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি রয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছি।’ 

স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত পুলিশ গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছি। থানাকে প্রতিটি মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যাতে সবাই নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশির ভাগ থানায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে, যা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য সেবা দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের জীবন দিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেটি প্রমাণ করেছে।’ 

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কাজ স্মার্ট পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছি। নিয়োগ প্রত্যাশীরা ঘরে বসে আবেদন করতে পারছে। কোথায় পরীক্ষা, সেটা জানতে পারছে। ফলাফলও ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কোনো দালাল বা ফড়িয়া এর মধ্যে নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।’ পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব তথা নারী ও শিশুবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।’ 

এর আগে, ৪৮৮ জনকে আইজিপিস এক্সামপ্লারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ বা আইজিস ব্যাজ ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের মামলায় গ্রেপ্তার ১

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি 
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলায় ফজলুর রহমান (২৫) নামের এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নকলা থানা ও শেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফজলুকে গ্রেপ্তার করে।

ফজলু নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ছাত্রদলের কর্মী বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফজলুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

৫ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে যান উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫)। ওই সময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ছাত্রদল কর্মী ফজলুর রহমান। কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কাছে কৃষি প্রণোদনা বিএনপির কোন কোন নেতাকে দেওয়া হয়েছে জানতে চান এবং ছাত্রদলের ভাগ তাঁকে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কৃষি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি মোবাইল ফোনে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমানকে জানালে কাইয়ুম আরও ক্ষিপ্ত হন এবং কথা বলার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কৃষি কর্মকর্তার গালে থাপ্পড় মারেন। পরে কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তাকে টেনেহিঁচড়ে অফিসকক্ষের বাইরে নেন। পরে কাইয়ুম ও ফজলুর রহমান মিলে মারধর করতে থাকলে আশপাশের লোকজন গিয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিয়ে ওই দিন কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও সদস্য ফজলুকে অভিযুক্ত করে নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে। এর পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান কাইয়ুম ও ফজলু। পরদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কাইয়ুমকে দলীয় পদ-পদবি ও সাধারণ সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন জানান, নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলার আসামি ফজলুর রহমানকে ঢাকার আদাবর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাহাত হাসান কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ছাত্র-জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ছাত্র-জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা। পরে গুলিস্তানের রমনা ফিলিং স্টেশনে এনে তাঁকে মারধর করে কাছেই একটি মার্কেটে এক ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখা হয়। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক ব্যক্তির নাম মো. মুবিন। মুবিনের গ্রাম চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মোস্তফা ব্যাপারী। মুবিন জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে কেরানীগঞ্জে নিজেদের বেকারিতে কাজ করেন।

আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক মো. মুবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল, এ জন্য আমাকে মারধর করেছে।’ পোস্ট শেয়ারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে ভালো লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো লাগে না।

নারায়ণগঞ্জ জেলার গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মেহেবুবা আক্তার জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রথমে আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে মার্কেটের ভেতরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ চলে গেলে আবার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিস্তানের একটি জায়গা থেকে প্রথমে তাঁকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার সন্দেহে আটক করা হয়। তাঁর ফোন চেক করে দেখা যায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শেয়ার করেছেন। পরে তাঁকে ছাত্র-জনতা আটক করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁকে আটক করা হয়েছে, তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন। তাঁর ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল এবং তিনি আওয়ামী লীগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ক্লিপসও ছিল। এ জন্য তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

খুলনা প্রতিনিধি
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার তেরখাদা উপজেলা থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই উপজেলার মধুপুরে একটি বাড়ির সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তেরখাদা সদর ইউনিয়নের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রউফ ফকিরের বাড়িতে তিনটি লাল কৌটা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় ওয়ালিদ নামের এক ব্যক্তি।

তিনি প্রতিদিনের মতো কোচিং করানোর উদ্দেশ্যে সকাল সোয়া ৬টার দিকে বাড়ির পাশে পৌঁছালে ঘরের সানসেটের ওপর লাল রঙের কৌটা দেখতে পান, যা বোমাসদৃশ মনে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দিলে তেরখাদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।

এর কিছুক্ষণ পর উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে কচুগাছের নিচে আরও একটি লাল কৌটা দেখতে পান এক পথচারী নারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কৌটাটি উদ্ধার করে। একই দিনে তেরখাদা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ‘ঢাকা লকডাউন’ শিরোনামে কিছু লিফলেটও টানিয়ে যায়।

অপর দিকে বুধবার রাতে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পারহাজিগ্রাম কাটাশিয়া বাজার এলাকায় ইউপি সদস্য বেল্লাল মোল্লার বাড়ির প্রবেশপথে তিন দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে এলে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও বিকট শব্দে আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়।

এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার করা বস্তুগুলো বালতিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হচ্ছে এবং ঘটনাটির উৎস ও উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে কফর উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়খাতা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কফর উদ্দিন বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মৃত আবুল হোসেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কফর উদ্দিন বড়খাতা বাজার রেলগেট পথ হয়ে হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা ৬৬ নম্বর ডাউন কমিউটার দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কফর উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বড়খাতা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। স্টেশনের পাশে মাঝেমধ্যে রাতে থাকতেন। পরিবারের লোকজনেরা তাঁর চিকিৎসা করেও সুস্থ করতে পারেননি। তাঁকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করলেও তিনি বাড়িতে থাকতেন না।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালমনিরহাট থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত