Ajker Patrika

‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আপত্তি নেই আ.লীগের’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৬: ৪৭
‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আপত্তি নেই আ.লীগের’

আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আগামী নির্বাচন, রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আওয়ামী লীগের বিশ্বাস, নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সরকারবিরোধী আন্দোলনের কোনো ইস্যু না পেয়ে, দর-কষাকষি করে সুবিধা নিতেই বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছে। নির্বাচনী মাঠ গরম করতে চাইছে।’

অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, পরাজিত হলে ভোটের ফলাফল না মানা এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলেও মন্তব্য তাঁর। সবাই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়াটা ভালো লক্ষণ নয় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সভায় বক্তারা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এ দেশের যেকোনো সংকটে বেশি আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কাজেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশের মৌলবাদীদের আস্ফালন এখনো আছে। তার চেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, তাদের কিছু জনপ্রিয়তাও আছে। এটাকে ইস্যু করে তারা এখনো এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

আলোচক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেন, নির্বাচন যখন এগিয়ে আসে, তখন নির্বাচন অভিশাপ হয়ে আসে দেশের সংখ্যালঘুদের কাছে। নানা জায়গায় তাদের ওপর হামলা করে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের জাগ্রত জীবনে সংকট হয়েছে বলেই ২০১১ সাল থেকে একটানা সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটেছে। যে ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বিচলিত হয়েছে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে। এ সময় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবিও জানান তিনি।

জাতীয় সরকার গঠন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জাতীয় সরকার এটা সংবিধান অনুযায়ী সমর্থন হতে পারে না। দেশের সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সংকট দেখছি না। কিসের সংকট? স্বাভাবিক নিয়মে নির্বাচন হবে। সরকার সেদিকেই যাচ্ছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজন ছিল। সেটাও হয়েছে। আর এটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। ফলে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে। সুতরাং সংকট না। সংকট হলো, যারা সংকট সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা মূলত চাচ্ছে—দেশটা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাক।

বিবার্তা ২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির সভাপতিত্বে ও জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর, আবারও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড

২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নামের আগে গণহত্যাকারী, ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত