Ajker Patrika

‘হাতি গেছে বনে, শীতে পাখা বন্ধ’

রাশেদ নিজাম ও সাবিত আল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে 
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৬
‘হাতি গেছে বনে, শীতে পাখা বন্ধ’

সকাল সোয়া ৯টা। দেওভোগ এলাকার মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দুটি কেন্দ্রেই প্রচুর মানুষের ভিড়। ভোটার ও সমর্থকদের হুড়োহুড়ি। বেশ বড় স্কুল। এলাকার মধ্যে নামকরাও। সামনে প্রশস্ত রাস্তা। পুলিশ, বিজিবির টহল, সাইরেন চলছে। 

দক্ষিণ দিকের প্রথম ভবনে ১ নম্বর কেন্দ্র। এলএনএ রোড, পুরাতন জীমখানার দেওভোগ পাক্কা রোডের ২ হাজার ৩৬০ জন ভোটার ভোট দেবেন এখানে। পাঁচটি বুথের মধ্যে দুটিকে নামকরণ করা হয়েছে মডেল নামে। অন্যখানে সাদা কাপড়ে ভোটদানের কক্ষ হলেও এখানে নির্বাচন কমিশনের সেই সবুজ রঙের ওপর লোগো বসানো। আর টেবিলটা একটু সুন্দর মাপের। এটাই মডেল বুথ। 

বুথের ছবি নেওযার সময় সব এজেন্ট আছেন কি না, জিজ্ঞেস করার পরেই একজন বললেন, ‘হাতি গেছে বনে।’ হেসে উঠলেন পাশে থাকা বাকি এজেন্টরা। 

দেখা গেল মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে শুধু নৌকারই এজেন্ট আছেন। বাকি ছয়জনের মধ্যে কারও এজেন্ট নেই। যিনি টিটকারি করছিলেন, তাঁকে আবারও এজেন্ট কয়জন আছেন জিজ্ঞেস করতেই সহাস্যে বললেন, ‘হাতি গেছে বনে, শীতে পাখা (হাতপাখা) বন্ধ।’ 

 মিঠু আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর এজেন্ট। কাউন্সিলরদের পাঁচজনের মধ্যে শুধু দুজনের এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন ওই বুথে। 

হাতির এজেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, সকালে তাঁরা কেউ আসেননি। একই উত্তরের সঙ্গে ৪ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ইব্রাহীম খলিল জানালেন, রাতেও হাতির কেউ আসেননি। 

বাকি ৩টা বুথে খুঁজে শুধু দেখা মিলল নৌকার এজেন্টদের। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যাওয়ার পর দেখা গেল কক্ষটি তালাবদ্ধ। সামনে থাকা পুলিশ সদস্য বললেন, স্যার সামনে গেছেন। ১৫ মিনিট ধরে সামনে-পেছনে সব জায়গায় খুজেঁও দেখা মেলেনি তাঁর। 

তবে, একই স্কুলের ২ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. রমজান জানালেন, তাঁর প্রতিটি বুথেই সব এজেন্ট উপস্থিত আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত