আফজাল হোসেন পন্টি, নারায়ণগঞ্জ
দূর থেকে মনে হবে কচুরিপানায় পূর্ণ কোনো বিল। একটু খেয়াল করলেই চোখে পড়বে রংচটা, ক্ষয়ে যাওয়া গ্যালারি আর উঁচু ফ্লাডলাইট। পানি আর কচুরিপানায় ভর্তি দ্বীপের মতো এই গ্যালারি মনে করিয়ে দেবে এটা কোনো স্টেডিয়াম। শুধুই কি স্টেডিয়াম! না, আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদাপ্রাপ্ত একটি স্টেডিয়ামের চিত্র এটি। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, জলাবদ্ধতা আর সংস্কারের অভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদাপ্রাপ্ত এ স্টেডিয়ামের। যদিও একসময় এখানে বসত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জমজমাট আসর। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতও খেলেছে এখানে।
জানা গেছে, ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বনাম কেনিয়ার এক দিনের ম্যাচের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। জলাবদ্ধতার কারণে পাঁচ বছর ধরে এখানে সব রকম খেলা বন্ধ আছে। ফতুল্লায় সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। দুটি টেস্ট ও ১০টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।
সরেজমিনে গিয়ে স্টেডিয়ামটির ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। স্টেডিয়ামের লিংক রোডসংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশের শুরুতেই দেখা যায় ময়লার স্তূপ। লিংক রোড ও স্টেডিয়ামের মাঝে থাকা পানি নিষ্কাশনের ক্যানেলটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নেই কোনো ক্রিকেট পিচ। এবড়োখেবড়ো মাঠ। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড, নিষ্কাশনব্যবস্থা, ফ্লাডলাইট, সাংবাদিকদের বসার প্রেসবক্স, ভিআইপি ও দর্শক গ্যালারির অবস্থা নাজুক। বসার চেয়ার ভেঙে পড়ে আছে। বাইরে অনুশীলনের জায়গার অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টির পানি ও ডিএনডি খালের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পকারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানিতে এই জায়গা এখন ডোবা-নালা।
স্থানীয় বাদামবিক্রেতা মনির বলেন, ‘যখন এখানে খেলা হতো, সাকিব ও তামিমের মতোন তারকারা আসত, মনে হতো যেন কোনো উৎসব। সারা দেশ থেকে মানুষ আসত। আমি নিজেই সব ম্যাচ দেখেছি এবং গ্যালারিতে বাদামও বিক্রি করেছি। এখন সবই শেষ।’ স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকা ডিএনডির মধ্যে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত অনেক নিচু এলাকা এটা। স্টেডিয়ামটি তৈরির সময় এত স্থাপনা ছিল না। এখন আউটার স্টেডিয়ামসংলগ্ন ক্যানেল দিয়ে পুরো এলাকার পানি নামে। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।’
স্টেডিয়ামের কাছেই থাকেন আব্দুল্লা আল ফারুক। খেলাও দেখেছেন এখানে। তিনি বলেন, ‘পানিই একমাত্র সমস্যা নয়। স্টেডিয়ামটি তৈরিই হয়েছিল নিম্নমানের। গ্যালারির প্রতিটি ধাপে যে পরিমাণ জায়গা থাকার কথা, সেটা ছিল না। নির্মাণও যথেষ্ট বাজে ছিল। এখন তো দেখলে পোড়াবাড়ি বলে ভয় হয়। ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে এটা।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভির আহমেদ টিটু বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ডিএনডির কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে তখন হয়তো স্থায়ী সমাধান হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যৌথভাবে বুয়েটের মাধ্যমে এটাকে সার্ভে করিয়েছে—কীভাবে করলে ভালো থাকবে। বুয়েট অলরেডি তাদের সার্ভে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দায়িত্ব। তারা যেকোনো সময় কাজ শুরু করবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম সংস্কার করতে বুয়েটের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবং ডিএনডি প্রকল্প নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে জলাবদ্ধতা কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে। উদ্যোগ দুটি বাস্তবায়নের পর স্টেডিয়ামটি রাস্তাসমান উঁচু হলে এ সমস্যা দূর হবে। আগের রূপ ফিরে পাবে স্টেডিয়ামটি।
দূর থেকে মনে হবে কচুরিপানায় পূর্ণ কোনো বিল। একটু খেয়াল করলেই চোখে পড়বে রংচটা, ক্ষয়ে যাওয়া গ্যালারি আর উঁচু ফ্লাডলাইট। পানি আর কচুরিপানায় ভর্তি দ্বীপের মতো এই গ্যালারি মনে করিয়ে দেবে এটা কোনো স্টেডিয়াম। শুধুই কি স্টেডিয়াম! না, আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদাপ্রাপ্ত একটি স্টেডিয়ামের চিত্র এটি। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, জলাবদ্ধতা আর সংস্কারের অভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদাপ্রাপ্ত এ স্টেডিয়ামের। যদিও একসময় এখানে বসত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জমজমাট আসর। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতও খেলেছে এখানে।
জানা গেছে, ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বনাম কেনিয়ার এক দিনের ম্যাচের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। জলাবদ্ধতার কারণে পাঁচ বছর ধরে এখানে সব রকম খেলা বন্ধ আছে। ফতুল্লায় সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। দুটি টেস্ট ও ১০টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।
সরেজমিনে গিয়ে স্টেডিয়ামটির ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। স্টেডিয়ামের লিংক রোডসংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশের শুরুতেই দেখা যায় ময়লার স্তূপ। লিংক রোড ও স্টেডিয়ামের মাঝে থাকা পানি নিষ্কাশনের ক্যানেলটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নেই কোনো ক্রিকেট পিচ। এবড়োখেবড়ো মাঠ। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড, নিষ্কাশনব্যবস্থা, ফ্লাডলাইট, সাংবাদিকদের বসার প্রেসবক্স, ভিআইপি ও দর্শক গ্যালারির অবস্থা নাজুক। বসার চেয়ার ভেঙে পড়ে আছে। বাইরে অনুশীলনের জায়গার অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টির পানি ও ডিএনডি খালের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পকারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানিতে এই জায়গা এখন ডোবা-নালা।
স্থানীয় বাদামবিক্রেতা মনির বলেন, ‘যখন এখানে খেলা হতো, সাকিব ও তামিমের মতোন তারকারা আসত, মনে হতো যেন কোনো উৎসব। সারা দেশ থেকে মানুষ আসত। আমি নিজেই সব ম্যাচ দেখেছি এবং গ্যালারিতে বাদামও বিক্রি করেছি। এখন সবই শেষ।’ স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকা ডিএনডির মধ্যে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত অনেক নিচু এলাকা এটা। স্টেডিয়ামটি তৈরির সময় এত স্থাপনা ছিল না। এখন আউটার স্টেডিয়ামসংলগ্ন ক্যানেল দিয়ে পুরো এলাকার পানি নামে। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।’
স্টেডিয়ামের কাছেই থাকেন আব্দুল্লা আল ফারুক। খেলাও দেখেছেন এখানে। তিনি বলেন, ‘পানিই একমাত্র সমস্যা নয়। স্টেডিয়ামটি তৈরিই হয়েছিল নিম্নমানের। গ্যালারির প্রতিটি ধাপে যে পরিমাণ জায়গা থাকার কথা, সেটা ছিল না। নির্মাণও যথেষ্ট বাজে ছিল। এখন তো দেখলে পোড়াবাড়ি বলে ভয় হয়। ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে এটা।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভির আহমেদ টিটু বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ডিএনডির কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে তখন হয়তো স্থায়ী সমাধান হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যৌথভাবে বুয়েটের মাধ্যমে এটাকে সার্ভে করিয়েছে—কীভাবে করলে ভালো থাকবে। বুয়েট অলরেডি তাদের সার্ভে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দায়িত্ব। তারা যেকোনো সময় কাজ শুরু করবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম সংস্কার করতে বুয়েটের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবং ডিএনডি প্রকল্প নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে জলাবদ্ধতা কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে। উদ্যোগ দুটি বাস্তবায়নের পর স্টেডিয়ামটি রাস্তাসমান উঁচু হলে এ সমস্যা দূর হবে। আগের রূপ ফিরে পাবে স্টেডিয়ামটি।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৫ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৫ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৫ ঘণ্টা আগে