Ajker Patrika

জুলাই-যোদ্ধা মামুনের সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
জুলাই-যোদ্ধা কে এম মামুনুর রশিদের খোঁজে মানববন্ধন (ইনসেটে মামুন)। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-যোদ্ধা কে এম মামুনুর রশিদের খোঁজে মানববন্ধন (ইনসেটে মামুন)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তুরাগ থেকে নিখোঁজ জুলাই-যোদ্ধা কে এম মামুনুর রশিদের সন্ধানের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উত্তরায় এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রশাসনকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে উত্তরাসহ পুরো ঢাকা ব্লকেড করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার বিএনএস সেন্টার এলাকায় এই মানববন্ধনে জুলাই-যোদ্ধা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, ওলামা পরিষদের নেতা-কর্মী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নিয়েছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামুনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে, না হলে উত্তরাসহ পুরো ঢাকা ব্লক করে দেওয়া হবে।

মানববন্ধনে মামুনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে কেন গুম করা হলো? আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই।’

এ সময় প্রশাসন ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মামুনুর রশিদ। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মামুন উত্তরার কামারপাড়ায় হানিফ আলী মোড়ে অবস্থিত খাদিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাও।

এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মামুনের নিখোঁজ হওয়ার দাবি করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উত্তরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মামুনুর রশিদ রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি একই সঙ্গে চরম উদ্বেগজনক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।’

তিনি আরও লেখেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র যেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম গাফিলতি স্পষ্টভাবে দেখা হচ্ছে।’

হাসনাত বলেন, ‘একই সঙ্গে এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের নীরব ভূমিকায় আমি গভীরভাবে শঙ্কিত। এই নীরবতা নতুন করে রাজনীতিতে পুরোনো ভয়ের সংস্কৃতি ও নিপীড়নের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত