Ajker Patrika

এস আলমসহ তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২২
সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। সাইফুল আলম মাসুদের অন্য দুই ভাই হচ্ছেন এস আলম গ্রুপের ভাই চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবিল হক পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, গত ২ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ অর্থ আত্মসাৎসহ অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে, অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা দলিল তৈরি করে ঋণের নামে নেওয়া ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের নামে ৩৪০ কোটি টাকা পাচার করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তবে দুদকের নজরে এসেছে যে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। কাজেই সাইফুল আলম, আব্দুস সামাদ ও আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। একই সঙ্গে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম ও তার পরিবার এবং এস আলম গ্রুপের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়েছে। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের ১ লাখ ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, গত ২৮ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের ৯১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, গত ২৫ মার্চ ১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯ মে ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, গত ২৮ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই মামলা, গত ১৯ আগস্ট ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর পে-অর্ডার জালিয়াতি করে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবং গত ১১ সেপ্টেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।

গত ১০ জুলাই এস আলম ও তাঁর ছেলেদের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের ৪৩৪ দশমিক ৮৬ একর জমি এবং রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

গত ১৭ জুন এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২০০ একর জমি, ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা দামের ১৭৫ বিঘা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের দাম ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।

এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা দামের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের ১ হাজার ছয় বিঘা জমি এবং গত ৯ এপ্রিল তাঁর ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। একই দিন আদালত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ রাজার অধীনস্থ দ্বীপরাষ্ট্র জার্সির ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই এস আলমের ৫৩টি হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুর সিটির উন্নয়নে আসছে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প: নগর প্রশাসক

গাজীপুর প্রতিনিধি
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠসহ মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।  ছবি: সংগৃহীত
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠসহ মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর অবকাঠামো, শিক্ষা ও জনসেবার মান উন্নয়নে শতকোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠসহ মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শরফ উদ্দিন বলেন, নগর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি আনতে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরের রাস্তা, ড্রেনেজ, জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।

এ সময় ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্মাণাধীন শেড, মেঘনা মাঠে স্কুল ও খেলার মাঠ নির্মাণের অগ্রগতি, এবং ‘প্রত্যাশা প্রকল্পে’র আওতাধীন বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নকাজ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন প্রশাসক।

পরিদর্শন শেষে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজের মান বজায় রেখে দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আমিন আল পারভেজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও সুদীপ বসাক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন ও জহিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সোহেল রানা এবং অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পরে প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ তুরাগ নদের উত্তর তীরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং টঙ্গীর প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন স্কুল পরিদর্শন করেন। তিনি স্কুলটির নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরায় শিক্ষকের ডাস্টারের আঘাতে ছাত্র রক্তাক্ত, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
ডাস্টারের আঘাতে আহত রাফিউর রহমান আহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডাস্টারের আঘাতে আহত রাফিউর রহমান আহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর উত্তরায় ক্লাসে শিক্ষক কর্তৃক ডাস্টার নিক্ষেপের ঘটনায় রাফিউর রহমান আহাদ (১৭) নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।

উত্তরার ‘উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে’ রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রটিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে তাকে চিকিৎসাধীন দেখা যায়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্র উত্তরা হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (রিপ) প্রতিষ্ঠানটির পৌরনীতি বিষয়ের শিক্ষক।

আহত ছাত্র রাফিউর রহমান আহাদ আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘রফিকুল স্যার আমাদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। ওই সময় আমার সামনের বেঞ্চে বসা এক ছেলে তার পাশের জনের সঙ্গে কথা বলছিল। তখন রফিক স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ডাস্টার ছুড়ে মারে। পরে সামনের বন্ধুটি দেখতে পেয়ে সরে যায়। আর সেটি এসে আমার মাথায় লাগে।’

আহাদ আরও বলে, ‘আমি বেঞ্চ থেকে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম। হুঁশ ফিরলে দেখি, সামনের ব্যাগ রক্তে লাল হয়ে গেছে। মাথায় হাত দিয়ে দেখি, হাতও রক্তের ভিজে গেছে। পরে আমার শার্টসহ পরনের জামাকাপড় রক্তে একাকার হয়ে যায়। আমার বন্ধুরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করায়।’

আহত ছাত্রের বড় বোন খাদিজা রহমান হেরা বলেন, ‘আজকে আমার ছোট ভাই যথারীতি কলেজে যায়। ওর টিফিন টাইম আড়াইটায়। কিন্তু বেলা ২টায় ওর ফোন থেকে কল আসে। তারপর ওর বন্ধুরা বলে, আহাদ অনেক অসুস্থ, ওরে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। আপনারা আসেন। হাসপাতালে এসে দেখি, ওর সারা শরীর রক্তে মাখা। মাথায় সেলাই চলছে।’

খাদিজা রহমান হেরা বলেন, ‘পরে জানতে পারলাম, রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক অন্য ছাত্র দুষ্টুমি করার অপরাধে আমার ভাইকে মারধর করেছে।’ ভাইয়ের ওপর আক্রমণের বিচার চেয়ে খাদিজা বলেন, ‘আমরা থানায় যাচ্ছি অভিযোগ দিতে।’

অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের করা যায়নি। তার ভাই আবু বক্কর জানান, রফিক সাহেব ফোনটি বাসায় রেখে বাইরে গেছেন।

শিক্ষকের মারধরে ছাত্র রক্তাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলেই প্রতিষ্ঠানটির সামনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দেন, যদি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে তারাই বিচার করবে।

এ বিষয়ে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষক রফিকুল এক ছাত্রকে ডাস্টার দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। এতে ওই ছাত্র আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমিও গিয়েছিলাম।’

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষককে ক্লোজড করেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যান স্যারকে অবগত করেছি। মোটকথা তাঁকে প্রতিষ্ঠান থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৪০ বিএনপি প্রার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৪০ বিএনপি প্রার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত) অংশ নেওয়া বিএনপির ৪০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে নেতাদের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। কিন্তু বিএনপির ৪০ নেতা তাতে অংশ নেওয়ায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতারা দলের হাইকমান্ডের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাঁদের সেই আবেদন ও দলের প্রতি তাঁদের অবদান বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু; ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান মিঠু; ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরী শামীম; ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাঈদুর রহমান জুবের; ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিম মতছির; ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম মুনিম; ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মুজিবুর রহমান; ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বদরুল আজাদ রানা; ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মামুনুর রহমান মামুন; ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির সুহিন; ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ রনি; ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আব্বাস; ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন; ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবদুল মুকিত; ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম; ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিলওয়ার হোসেন জয়; ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের উসমান হারুন পনির; ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাছিব এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন আহমদ সিকদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টঙ্গীতে হাতের চারটি আঙুল কেটে নিল প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০১: ০৭
হাসপাতালে আহত ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে আহত ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যের হাতের চারটি আঙুল কেটে নিয়েছে অন্য গ্রুপের সদস্য।

‎‎আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টঙ্গীর ভরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎‎আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই সদস্যের নাম তাসরিফ (২৫)। এ ঘটনায় একই গ্রুপের অপর দুই সদস্য আবির (২৪) ও সিয়াম (২৪) আহত হয়েছেন।

‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ রাত ৮টার দিকে টঙ্গীর ভরান এলাকায় দুটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য জড়ো হয়। পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ‘ভরানের সৈকত বাহিনী’ নামের কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ‘তাসরিফ বাহিনীর’ প্রধান তাসরিফের বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে নেয়। এ সময় আবির ও সিয়ামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

‎ঘটনার একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে আহত ওই তিন তরুণকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দুটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত