সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
‘মুরগিই কিনবার পারি না, গরুর মাংস কোনে পামু? তবে এই তারিখে (এবার) সুমুতি কইরা কিছু টাকা জমাইছিলাম, হেনু (সেখান) থিকা পাঁচ কেজি মাংস পাইছি। এইবার ঈদে পোলাপান গরুর মাংস দিয়া আত্মা ভইরা কয়টা ভাত খাবার পাব।’ কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের মাংস সমিতির সদস্য কৃষি শ্রমিক নূরে আলম।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরিবের মাংস সমিতি। বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম অনেক আগেই নিম্নবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তবে ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে সমিতির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত কেজি মাংস পেয়ে বেশ খুশি সমিতির সদস্যরা।
তবে এত কিছুর পরও স্থানীয় বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম কমেনি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করেই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন শতাধিক সমিতি গড়ে ওঠে। এসব সংগঠনের নাম দেওয়া হয় মাংস সমিতি বা গরু সমিতি। কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় বণিক সমিতির মাধ্যমেও গরু কিনে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়।
প্রতিটি সমিতিতে শ্রমিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য থাকেন। সারা বছর সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে গরু কিনে জবাই করা হয়। ওই মাংস ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। এতে ঈদে বাড়তি আনন্দ পাওয়াসহ আর্থিক চাপও কমে গ্রামের গরিব ও নিম্নবিত্তদের।
উপজেলার জিতাশ্বরী গ্রামের মাংস সমিতির উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সমিতির ৫০ জন সদস্য মাসিক ৩০০ টাকা করে জমা দেয়। এতে এক বছরে জমা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে কেনা গরুর মাংস সদস্যদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রত্যেকে পাঁচ থেকে ছয় কেজি করে মাংস পায়।’ তাঁদের এলাকাতেই এ ধরনের শতাধিক সমিতি রয়েছে বলেও তিনি যোগ করেন।
পৌরসভার প্রতিমা বংকী গ্যাস স্টেশন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামগঞ্জে এবার মাংস সমিতির প্রচুর গরু জবাই হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় বাজারে মাংসের চাহিদা কিছুটা কম। তবে মাংসের দাম আগের মতোই আছে।
উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে থেকেই সমিতির গরু জবাই শুরু হয়। এভাবে চলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। সমিতিগুলো গরিব ও নিম্নবিত্তদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
‘মুরগিই কিনবার পারি না, গরুর মাংস কোনে পামু? তবে এই তারিখে (এবার) সুমুতি কইরা কিছু টাকা জমাইছিলাম, হেনু (সেখান) থিকা পাঁচ কেজি মাংস পাইছি। এইবার ঈদে পোলাপান গরুর মাংস দিয়া আত্মা ভইরা কয়টা ভাত খাবার পাব।’ কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের মাংস সমিতির সদস্য কৃষি শ্রমিক নূরে আলম।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরিবের মাংস সমিতি। বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম অনেক আগেই নিম্নবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তবে ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে সমিতির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত কেজি মাংস পেয়ে বেশ খুশি সমিতির সদস্যরা।
তবে এত কিছুর পরও স্থানীয় বাজারে গরু-মহিষের মাংসের দাম কমেনি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করেই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন শতাধিক সমিতি গড়ে ওঠে। এসব সংগঠনের নাম দেওয়া হয় মাংস সমিতি বা গরু সমিতি। কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় বণিক সমিতির মাধ্যমেও গরু কিনে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়।
প্রতিটি সমিতিতে শ্রমিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য থাকেন। সারা বছর সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে গরু কিনে জবাই করা হয়। ওই মাংস ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। এতে ঈদে বাড়তি আনন্দ পাওয়াসহ আর্থিক চাপও কমে গ্রামের গরিব ও নিম্নবিত্তদের।
উপজেলার জিতাশ্বরী গ্রামের মাংস সমিতির উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সমিতির ৫০ জন সদস্য মাসিক ৩০০ টাকা করে জমা দেয়। এতে এক বছরে জমা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে কেনা গরুর মাংস সদস্যদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রত্যেকে পাঁচ থেকে ছয় কেজি করে মাংস পায়।’ তাঁদের এলাকাতেই এ ধরনের শতাধিক সমিতি রয়েছে বলেও তিনি যোগ করেন।
পৌরসভার প্রতিমা বংকী গ্যাস স্টেশন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামগঞ্জে এবার মাংস সমিতির প্রচুর গরু জবাই হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় বাজারে মাংসের চাহিদা কিছুটা কম। তবে মাংসের দাম আগের মতোই আছে।
উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে থেকেই সমিতির গরু জবাই শুরু হয়। এভাবে চলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। সমিতিগুলো গরিব ও নিম্নবিত্তদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
১৭ মিনিট আগেরোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
২৭ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩০ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩৩ মিনিট আগে