Ajker Patrika

রামপুরায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ১০: ৪২
রামপুরায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

রাজধানীর রামপুরার হাজীপাড়া এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম নিনা খান (৪৩)। এ ঘটনায় স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে স্বামীকে আটক করে রামপুরা থানার পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে সংবাদ পেয়ে ওই নারীর স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, পিবিআই কাজ করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

ওসি জানান, ওই নারীর মাথায় ও মুখমণ্ডলে কাটা আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখ ও শরীরে দগ্ধ আছে। স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে রামপুরা হাজীপাড়ার বিসমিল্লাহ টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় থাকতেন নিনা খান। সেখান থেকে রাতে তাঁকে মৃত অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। পরে ইনস্টিটিউট থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিতে চান। ইনস্টিটিউটের স্টাফদের সন্দেহ হলে থানায় খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে নিনা খানের মৃতদেহ উদ্ধার করে। 

নিনার ভাই শওকত হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের এপ্রিল মাসে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে নিনা খানের বিয়ে হয়। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মগবাজার মিট লাইফ ইনস্যুরেন্সের শওকত এজেন্সিতে কাজ করতেন। আমরা খবর পাই, রান্নাঘরের চুলা থেকে নিনার গায়ে আগুন লেগেছে। দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে এসে দেখি আমার বোন মারা গেছে। আমরা রামপুরা থানাকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়।’ 

নিনার ভাগনি লিরা খান জানান, তাঁদের বাড়ি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বিরিন্দা গ্রামে। ১১ বছর আগে গিয়াসের সঙ্গে বিয়ে হয় নিনার। তাঁদের ঘরে কোনো সন্তান নেই। 

লিরা খান বলেন, নিনার স্বামী গিয়াস উদ্দিন নিনার ভাগনে ফাইরোজ বিন সোয়েবকে ফোনে জানান, নিনা রান্নাঘরে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে ইনস্টিটিউটে এসে নিনার মৃতদেহ দেখতে পাই। আরও দেখতে পাই নিনার মাথার কয়েক জায়গায় কাটা দাগ এবং মুখমণ্ডল ও শরীরের কিছু অংশ আগুনে ঝলসানো। মনে হচ্ছে নিনাকে মেরে আলামত নষ্ট করতে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

লিরা খান আরও বলেন, ‘বিয়ের পরপরই নিনার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ও ১৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেয় স্বামী গিয়াস উদ্দিন এবং বিভিন্ন সময়ে ধার শোধ করার কথা বলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণ নেয়। পরিকল্পিতভাবে নিনাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীর কঠিন শাস্তি চাই। কোনো মতেই যেন আসামি ছাড়া না পায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত