নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও খ্যাতিমান আইনজীবী বিচারপতি টিএইচ খান মারা গেছেন। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
এদিকে টিএইচ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে আইনাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠনও তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
টিএইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন তিনি।
১৯৪৭ সালে আইন পেশায় যোগ দেন টিএইচ খান। একই বছরের ২৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু হলে সেদিন থেকেই টিএইচ খান আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে পদচারণ শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে আবার আইন পেশায় ফিরে যান তিনি। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন টিএইচ খান। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য তিনি গ্রেপ্তার হন।
১৯৯২ সালে টিএইচ খান সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের সদস্য এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। পরে দেশে ফিরে আবার আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
আইন পেশা ছাড়াও বিচারপতি টি এইচ খান প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তাঁর পুরো নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও খ্যাতিমান আইনজীবী বিচারপতি টিএইচ খান মারা গেছেন। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
এদিকে টিএইচ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে আইনাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠনও তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
টিএইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন তিনি।
১৯৪৭ সালে আইন পেশায় যোগ দেন টিএইচ খান। একই বছরের ২৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু হলে সেদিন থেকেই টিএইচ খান আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে পদচারণ শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে আবার আইন পেশায় ফিরে যান তিনি। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন টিএইচ খান। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য তিনি গ্রেপ্তার হন।
১৯৯২ সালে টিএইচ খান সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের সদস্য এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। পরে দেশে ফিরে আবার আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
আইন পেশা ছাড়াও বিচারপতি টি এইচ খান প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তাঁর পুরো নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান।
কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাছুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন।
৪ মিনিট আগেবছর তিনেক আগে মাছ ধরার সময় প্রায় ১২ থেকে ১৪ কেজির ওজনের একটি রুই মাছ তাঁর কান বরাবর আঘাত করে। এরপর পুকুরে পানিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অন্য জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। প্রচণ্ড আঘাতে কবিরুল এখন কানে কম শোনেন। এর পর থেকে কবিরুল ক্রিকেট হেলমেট ছাড়া পুকুরে নামেন না।
১০ মিনিট আগেবরিশাল জিলা স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হলেন মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৬ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশু মারা গেছে। নিহত শিশুরা সবাই চাচাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে