Ajker Patrika

কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে মাইক্রো উল্টে প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১০: ৫৪
কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে মাইক্রো উল্টে প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। আজ রোববার ভোররাত ৩টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদুল হক ব্যাপারী (৪২) শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দাতপুর গ্রামের আবুল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে। তিনি শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুলের দুই বছরের মেয়ে মাইশাও এ ঘটনায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন রাশেদুলের স্ত্রী মিলি আকতার, তাঁর বড় মেয়ে মেবিন আকতার ও গাড়িচালক কামরুল হাসান।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, পরিবার নিয়ে ভ্রমণের জন্য গত বুধবার কক্সবাজারে যান রাশেদ। ভ্রমণ শেষে শনিবার ঢাকা হয়ে শরীয়তপুরে ফেরার পথে জামতলা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ন। কক্সবাজার থেকে চালক কামরুল সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে চালককে বিশ্রাম দিতে রাশেদুল নিজেই ড্রাইভ করে ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ৩টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় পানিতে তলিয়ে গাড়িতেই আটকা পড়ে চালকসহ রাশেদুলের পরিবার। পরে গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন কামরুল। আরও দুটি কাচ ভেঙে রাশেদুলের স্ত্রী ও বড় মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়িতে আটকে থাকা রাশেদুল ও তাঁর দুই বছরের মেয়ে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করেন কামরুল। রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি দাতপুর নিয়ে যায় পরিবার।

দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস। চালক কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত আসার পর রাত ১টার দিকে ভাই (রাশেদ) নিজেই গাড়ি চালিয়ে শরীয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পর সড়ক সরু ও ভাঙা থাকায় আমি গাড়ি চালাতে চাইলেও ভাই দেননি। জামতলা মোড়ে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যাই আমরা। আমি অনেক কষ্টে গাড়ির কাচ ভেঙে বাইরে এসে ভাবি ও তাঁর বড় মেয়ে মেবীনকে জীবিত উদ্ধার করি। পানির নিচে দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় ভাই ও ছোট মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি। গভীর রাত থাকায় চিৎকার করেও তাৎক্ষণিক কারও সহায়তা পাইনি।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনা এবং পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত