গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
মামলার ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের কাছ থেকে টাকা ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নেওয়ার অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউদ্দিন খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান ওসিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ওসি শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ছালেহ্ মো. আনসার উদ্দিনকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে এসি ঘুষ নেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওসি শফিউদ্দিনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার ‘মামলার ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে এসি, টাকা নেন ওসি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, ওসি শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে এসি কেনাসংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কল রেকর্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওসি। তাঁর দাবি, কেউ ষড়যন্ত্র করে এসব করেছে।
আড়াই মিনিটের ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিন কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের বরাশুর এলাকার ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে শার্প অথবা এনার্জিপ্যাক ব্র্যান্ডের দুই টনের একটি এসি কিনে দেওয়ার কথা বলেন। গোপালগঞ্জে না পাওয়া গেলে ঢাকা থেকে কিনে এনে দিতে বলেন ওসি।
এলজি-বাটারফ্লাই কোম্পানির গোপালগঞ্জ শোরুমের মেমো থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ জাকির নিজ নামে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তির মাধ্যমে এলজি ব্র্যান্ডের একটি এসি কেনেন।
জাকির বলেন, ‘কাশিয়ানী থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে অসংখ্যবার শফিউদ্দিন খান আমাকে তাঁর অফিসারসহ বিভিন্ন মানুষ দিয়ে এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মামলার হুমকি দিয়েছেন। কাশিয়ানী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম আমাকে বলেন, সামনে বিপদ আছে আপনার। আমি তাঁকে বলি, আমার অপরাধ কী? আমার নামে তো কোনো মামলা নেই, কোনো অভিযোগ নেই; তাহলে বিপদ কেন? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করেছেন, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন—এ জন্য সমস্যা হবে। পরে এসআই আমিনুল আমাকে ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন আর কিছু টাকা দিয়ে আসতে বলেন, যাতে আমার কোনো সমস্যা না হয় এবং কোনো মামলায় আমাকে জড়ানো না হয়। এসআই আমিনুলের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ওসিকে দিই। এর পর থেকে ওসি মাঝে মাঝে হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে কল করে বলেন, “সমস্যার ভেতরে আছি, কিছু টাকা লাগবে।” এভাবে আমার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার ছোট ছোট চারটা বাচ্চা আছে, এ জন্য মামলার ভয়ে ওসিকে টাকা দিয়েছি। শুধু টাকা নয়, মাঝে মাঝে তাঁকে বড় মাছ কিনে দেওয়া লাগছে। গত ১৬ মার্চ আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় অবস্থিত তায়েব হোটেলে দেখা করতে বলেন। সেখানে দেখা হলে একটা দুই টনের এসি কিনে দিতে বলেন। আমি তখন বলেছিলাম, আমার কাছে টাকা নেই, সমস্যার ভেতরে আছি, সংসার চালাতে পারছি না। আর্থিক কষ্টে ভুগতেছি। তখন ওসি আমাকে বলেন, “আমি আপনাকে কত সাহায্য করি, আপনার নামে অনেকে অনেক কথা বলেছে; সেগুলো সেভ করে রাখা আছে। যাহোক, চেষ্টা করে কিনে দেন।” ভয়ে আমি এসি কিনে দেওয়ার কথা স্বীকার করি।’
জাকির আরও বলেন, ‘আমাকে ২২ মার্চের ভেতরে এসি দেওয়ার জন্য বলেন। আমার সামর্থ্য না থাকলেও জীবনের ভয়ে দিতে রাজি হই। শুধু আমি নই, কাশিয়ানীর বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৬০ লাখের বেশি টাকা নিয়েছেন তিনি। ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। এভাবে ভয় দেখালে বাড়িঘর বিক্রি করে ওসিকে টাকা দিতে হবে। পরে ২৩ মার্চ ওসিকে কিস্তির মাধ্যমে একটি এসি কিনে দিই।’
ওসি শফিউদ্দিন দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ জন্য তাঁদের লোকজন প্রযুক্তির ব্যবহার করে মিথ্যা কল রেকর্ড বানিয়েছে। কল রেকর্ড তাঁর নয় এবং ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে সামনে একবার দেখা হলেও মোবাইলে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মামলার ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের কাছ থেকে টাকা ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নেওয়ার অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউদ্দিন খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান ওসিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ওসি শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ছালেহ্ মো. আনসার উদ্দিনকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে এসি ঘুষ নেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওসি শফিউদ্দিনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার ‘মামলার ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে এসি, টাকা নেন ওসি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, ওসি শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে এসি কেনাসংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কল রেকর্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওসি। তাঁর দাবি, কেউ ষড়যন্ত্র করে এসব করেছে।
আড়াই মিনিটের ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিন কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের বরাশুর এলাকার ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে শার্প অথবা এনার্জিপ্যাক ব্র্যান্ডের দুই টনের একটি এসি কিনে দেওয়ার কথা বলেন। গোপালগঞ্জে না পাওয়া গেলে ঢাকা থেকে কিনে এনে দিতে বলেন ওসি।
এলজি-বাটারফ্লাই কোম্পানির গোপালগঞ্জ শোরুমের মেমো থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ জাকির নিজ নামে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তির মাধ্যমে এলজি ব্র্যান্ডের একটি এসি কেনেন।
জাকির বলেন, ‘কাশিয়ানী থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে অসংখ্যবার শফিউদ্দিন খান আমাকে তাঁর অফিসারসহ বিভিন্ন মানুষ দিয়ে এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মামলার হুমকি দিয়েছেন। কাশিয়ানী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম আমাকে বলেন, সামনে বিপদ আছে আপনার। আমি তাঁকে বলি, আমার অপরাধ কী? আমার নামে তো কোনো মামলা নেই, কোনো অভিযোগ নেই; তাহলে বিপদ কেন? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করেছেন, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন—এ জন্য সমস্যা হবে। পরে এসআই আমিনুল আমাকে ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন আর কিছু টাকা দিয়ে আসতে বলেন, যাতে আমার কোনো সমস্যা না হয় এবং কোনো মামলায় আমাকে জড়ানো না হয়। এসআই আমিনুলের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ওসিকে দিই। এর পর থেকে ওসি মাঝে মাঝে হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে কল করে বলেন, “সমস্যার ভেতরে আছি, কিছু টাকা লাগবে।” এভাবে আমার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার ছোট ছোট চারটা বাচ্চা আছে, এ জন্য মামলার ভয়ে ওসিকে টাকা দিয়েছি। শুধু টাকা নয়, মাঝে মাঝে তাঁকে বড় মাছ কিনে দেওয়া লাগছে। গত ১৬ মার্চ আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় অবস্থিত তায়েব হোটেলে দেখা করতে বলেন। সেখানে দেখা হলে একটা দুই টনের এসি কিনে দিতে বলেন। আমি তখন বলেছিলাম, আমার কাছে টাকা নেই, সমস্যার ভেতরে আছি, সংসার চালাতে পারছি না। আর্থিক কষ্টে ভুগতেছি। তখন ওসি আমাকে বলেন, “আমি আপনাকে কত সাহায্য করি, আপনার নামে অনেকে অনেক কথা বলেছে; সেগুলো সেভ করে রাখা আছে। যাহোক, চেষ্টা করে কিনে দেন।” ভয়ে আমি এসি কিনে দেওয়ার কথা স্বীকার করি।’
জাকির আরও বলেন, ‘আমাকে ২২ মার্চের ভেতরে এসি দেওয়ার জন্য বলেন। আমার সামর্থ্য না থাকলেও জীবনের ভয়ে দিতে রাজি হই। শুধু আমি নই, কাশিয়ানীর বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৬০ লাখের বেশি টাকা নিয়েছেন তিনি। ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। এভাবে ভয় দেখালে বাড়িঘর বিক্রি করে ওসিকে টাকা দিতে হবে। পরে ২৩ মার্চ ওসিকে কিস্তির মাধ্যমে একটি এসি কিনে দিই।’
ওসি শফিউদ্দিন দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ জন্য তাঁদের লোকজন প্রযুক্তির ব্যবহার করে মিথ্যা কল রেকর্ড বানিয়েছে। কল রেকর্ড তাঁর নয় এবং ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে সামনে একবার দেখা হলেও মোবাইলে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগে