নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হয়েছেন অনেকে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরাদের একজন পাঠাওয়ের কুরিয়ার কর্মী ফরিদুল। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটির পাঁচতলার একটি রেস্তোরাঁয় অবস্থান করছিলেন তিনি। জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে একপ্রকার হামাগুড়ি দিয়েই সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদে উঠতে পেরেছিলেন তিনি।
কাজের সুবাদে প্রতিদিনই ফরিদুলকে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে যেতে হতো। সে কারণে, ভবনটির প্রত্যেক তলা, দরজা ও সিঁড়ি তাঁর মুখস্থ। অথচ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সেই চিরচেনা ভবনই যেন তাঁর কাছে অচেনা হয়ে উঠেছিল।
ফরিদুল আজকের পত্রিকাকে জানান, আগুন লাগার মিনিট বিশেক আগে ভবনটির পাঁচতলার একটি রেস্টুরেন্টে যান তিনি। সেখান থেকে খাবারের একটি অর্ডার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়ে ঘরে ফেরার কথা ছিল তাঁর। ঘরে ফিরে চলমান মাস্টার্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য বসতে চেয়েছিলেন পড়ার টেবিলে। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে এনেছেনে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিছানায়।
তার আগে, বেইলি রোডের আগুন লাগা সেই ভবনে আটকে জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দেখেছেন আগুন, ধোঁয়া ও তাপের ভয়াবহতা এবং মানুষের বাঁচার আকুতি। শ্বাসনালির ক্ষত নিয়েই তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলেছেন ধরেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
ভয়াবহ লোমহর্ষক ও শ্বাসরুদ্ধকর সেই সময়ের কথা তুলে ধরে ফরিদুল বলেন, ‘আগুন লেগেছিল একেবারে নিচের তলায়। এই খবর ওপরে আসতে ও সেখানকার মানুষদের বুঝতেও অনেকটা সময় লেগেছে। যখন আমরা খবর পেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করি। কিন্তু নিচে নামার অবস্থা না থাকায় আমরা আবার পাঁচ তলায় চলে আসি। এরই মধ্যে দ্রুত গতিতে সিঁড়ি দিয়ে ধোয়া ও আগুন ওপরে উঠতে শুরু করে।’
ফরিদুল আরও বলেন, ‘আগুন-ধোঁয়া দেখে ভয়ে-আতঙ্কে সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। অনেকেই কান্নাকাটি ও চিল্লাচিল্লি শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে তলায় ছিলাম সেখানেও আগুন ও ধোঁয়া পৌঁছে যায়। সবার চোখ-মুখে অন্ধকার। সেখানে কোনোভাবেই থাকা যাচ্ছিল না। সবাই ছাদে ওঠার চেষ্টা করছিল কিন্তু ধোঁয়ায় সিঁড়ি দেখা যাচ্ছিল না। আমি কী জানি মনে করে, সিঁড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলাম।’ পরে ফরিদুলকে ছাদ থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি ও বুকের ব্যথা নিয়ে তিনি শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফেরা ফরিদুল আক্ষেপ করে বললেন, ‘এত বড় বিল্ডিং, এত এত দোকান-প্রতিষ্ঠান। এসবে হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত। অথচ একটা মাত্র সিঁড়ি আর সেই সিঁড়িতে রেস্টুরেন্টের গ্যাসের সিলিন্ডারে ভরা। এগুলো মানুষের যাতায়াতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করেছে।’
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হয়েছেন অনেকে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরাদের একজন পাঠাওয়ের কুরিয়ার কর্মী ফরিদুল। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটির পাঁচতলার একটি রেস্তোরাঁয় অবস্থান করছিলেন তিনি। জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে একপ্রকার হামাগুড়ি দিয়েই সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদে উঠতে পেরেছিলেন তিনি।
কাজের সুবাদে প্রতিদিনই ফরিদুলকে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে যেতে হতো। সে কারণে, ভবনটির প্রত্যেক তলা, দরজা ও সিঁড়ি তাঁর মুখস্থ। অথচ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সেই চিরচেনা ভবনই যেন তাঁর কাছে অচেনা হয়ে উঠেছিল।
ফরিদুল আজকের পত্রিকাকে জানান, আগুন লাগার মিনিট বিশেক আগে ভবনটির পাঁচতলার একটি রেস্টুরেন্টে যান তিনি। সেখান থেকে খাবারের একটি অর্ডার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়ে ঘরে ফেরার কথা ছিল তাঁর। ঘরে ফিরে চলমান মাস্টার্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য বসতে চেয়েছিলেন পড়ার টেবিলে। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে এনেছেনে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিছানায়।
তার আগে, বেইলি রোডের আগুন লাগা সেই ভবনে আটকে জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দেখেছেন আগুন, ধোঁয়া ও তাপের ভয়াবহতা এবং মানুষের বাঁচার আকুতি। শ্বাসনালির ক্ষত নিয়েই তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলেছেন ধরেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
ভয়াবহ লোমহর্ষক ও শ্বাসরুদ্ধকর সেই সময়ের কথা তুলে ধরে ফরিদুল বলেন, ‘আগুন লেগেছিল একেবারে নিচের তলায়। এই খবর ওপরে আসতে ও সেখানকার মানুষদের বুঝতেও অনেকটা সময় লেগেছে। যখন আমরা খবর পেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করি। কিন্তু নিচে নামার অবস্থা না থাকায় আমরা আবার পাঁচ তলায় চলে আসি। এরই মধ্যে দ্রুত গতিতে সিঁড়ি দিয়ে ধোয়া ও আগুন ওপরে উঠতে শুরু করে।’
ফরিদুল আরও বলেন, ‘আগুন-ধোঁয়া দেখে ভয়ে-আতঙ্কে সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। অনেকেই কান্নাকাটি ও চিল্লাচিল্লি শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে তলায় ছিলাম সেখানেও আগুন ও ধোঁয়া পৌঁছে যায়। সবার চোখ-মুখে অন্ধকার। সেখানে কোনোভাবেই থাকা যাচ্ছিল না। সবাই ছাদে ওঠার চেষ্টা করছিল কিন্তু ধোঁয়ায় সিঁড়ি দেখা যাচ্ছিল না। আমি কী জানি মনে করে, সিঁড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলাম।’ পরে ফরিদুলকে ছাদ থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি ও বুকের ব্যথা নিয়ে তিনি শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফেরা ফরিদুল আক্ষেপ করে বললেন, ‘এত বড় বিল্ডিং, এত এত দোকান-প্রতিষ্ঠান। এসবে হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত। অথচ একটা মাত্র সিঁড়ি আর সেই সিঁড়িতে রেস্টুরেন্টের গ্যাসের সিলিন্ডারে ভরা। এগুলো মানুষের যাতায়াতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করেছে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে