Ajker Patrika

দায়িত্বে অবহেলার কারণে ডুবেছিল রজনীগন্ধা ফেরি, ১১ কর্মী বরখাস্ত

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ১৪
দায়িত্বে অবহেলার কারণে ডুবেছিল রজনীগন্ধা ফেরি, ১১ কর্মী বরখাস্ত

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়া ঘটনায় তদন্ত শেষে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের গাফিলতি ও চরম দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ফেরির ১১ জন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। 

আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ। সেই সঙ্গে কর্মীদের বরখাস্তের আদেশের কপিতে দুর্ঘটনার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে। 

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা হলেন ফেরির সেকেন্ড মাস্টার মো. আঞ্জুমান, ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মেহের আলী, লস্কর মো. মুরাদ, মানিক রায়, আরিফুর রহমান, মনির আহমেদ, গ্রিজার মামুন সিকদার, এনায়েত হোসেন, মাছুম শিকদার ও হুইল সুকানি সবুজ মিয়া। এ ছাড়া শোকজ করা হয়েছে এজিএম (মেরিন) মো. আহম্মেদ আলীসহ চারজনকে। 

বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কমিটি সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ইনচার্জ মাস্টারের বিধি লঙ্ঘন এবং অন্য কর্তব্যরত স্টাফদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এমন আচরণ ও কার্যকলাপ চাকরি নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কর্মচারী চাকরি প্রবিধান মালা-১৯৮৯-এর ৪৬ (১) ধারা মোতাবেক তাঁদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক তাঁরা খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। যথাসময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। 

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইট থেকে রজনীগন্ধা ফেরির স্টাফদের বরখাস্তের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করা হয়েছিল। ৩ মার্চ বরখাস্তের আদেশ বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রজনীগন্ধা ফেরির বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ দুর্ঘটনায় সময় ছিলেন না; এমন চারজন ছাড়া বাকিরা শাস্তির আওতায় এসেছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে; সে জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগেই প্রতিটি ফেরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রী ও পরিবহন ধারণক্ষমতা ফেরির সামনে লিখে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় রজনীগন্ধা ফেরি। এতে প্রাণ হারান ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবীর। আট দিনের মাথায় ফেরিটি উদ্ধার করে জাহাজ ‘প্রত্যয়’। উদ্ধারের পর ফেরিটিকে মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত