সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ব্যস্ততা বেড়েছে মেহেদি চাষিদের। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাটছেন নারীরা। মেহেদি গাছের শাখার আঁটি বাঁধছেন তাঁরা। ঢাকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের চাষিরা ঈদকে ঘিরে মেহেদি গাছের শাখা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ গাছের পরিচর্যা করছেন। কেউ কাটা শাখা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেহেদি চাষ অনেকটা চা বাগানের মতো। বিশাল বাগানজুড়ে সবুজ পাতার সমারোহ। সারি সারি গাছের মাঝখানে সরু পথ করা হয়। সেই পথ ধরে চাষিরা মেহেদি পাতার ডাল কাটছেন।
নতুন পোশাকের পাশাপাশি ঈদের আগে হাত রাঙানোর জন্য মেহেদির আলপনা তো লাগবেই! বাহারি নকশায় সাজবে দুই হাত। মেয়েরা তো বটেই নানা বয়সী ছেলেরাও মেহেদি পরেন। গত কয়েক বছর ধরে প্যাকেটজাত (টিউব মেহেদি) বাজার দখল করলেও গাছের মেহেদির কদর কিন্তু একবিন্দুও কমেনি। প্রাকৃতিক মেহেদির চাহিদা বরং দিন দিন বাড়ছে। মেহেদি চাষ করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। আর প্রতি ঈদ মৌসুমে বেশ ভালো দামে বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে মেহেদি চাষ হয়। খুবই সামান্য খরচে চাষ করা যায়। একবার রোপণ করা গাছ থেকে বহুবার পাতা সংগ্রহ করা যায়। একটি মেহেদি গাছ থেকে বছরে পাঁচবার ডালসহ পাতা তোলা যায়।
চান্দেরচর গ্রামের চাষি আওলাদ শেখ বলেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে মেহেদির ডাল বিক্রি হয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বছরে দুইবার বিক্রি করা যায়। তবে দুই ঈদে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দামও বেশি পাওয়া যায়।
আরেক চাষি ইদ্রিস আলী বলেন, রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদে প্রচুর মেহেদি পাতা বিক্রি হয়। এ ছাড়া সারা বছর কম বিক্রি হয়। কম খরচে এই মেহেদি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়, তাই চাষ করেছি। লাভ ভালোই হচ্ছে। গতবার করোনাভাইরাসের কারণে ঈদে মেহেদি পাতা বিক্রি করতে পারিনি। এবার পুষিয়ে নিচ্ছেন।
মেহেদি গাছ থেকে শাখা সংগ্রহের কাজ করেন মূলত পুরুষেরা। আর সেগুলো ঝারাই বাছাই করে আঁটি বাঁধেন মেয়েরা। গৃহিণী মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘বাড়ির কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা মেহেদি গাছের ডালগুলো ছোট ছোট আঁটি বাঁধি। সেগুলো বিকালে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়। তারা ঢাকায় বিক্রি করে।’
পাইকার আব্দুল বারেক মিয়া বলেন, ‘আমরা আগে মাথায় মেহেদির আঁটি নিয়ে ঢাকার অলিগলিতে ফেরি করে বিক্রি করতাম। এখন আর সেভাবে বিক্রি করা লাগে না। এখন ঢাকার বাসাবো, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মুগদা, মৌলভীবাজার, নয়াবাজারে মেহেদির আড়ত আছে। আমরা সেখানে পাইকারি বিক্রি করি। তবে ঢাকার অলিগলি দিয়ে বাসা বাড়িতে বিক্রি করার মজাই আলাদা, দামও পাওয়া যায় বেশি।’
চান্দেরচর গ্রামে প্রায় ১০০টি পরিবার মেহেদি চাষের সঙ্গে জড়িত বলে জানান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি ব্লকের উপ কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমিন।
তামান্না বলেন, ‘চাষিরা সারা বছরই মেহেদি গাছের ডাল বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা সব সময় তাঁদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ব্যস্ততা বেড়েছে মেহেদি চাষিদের। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাটছেন নারীরা। মেহেদি গাছের শাখার আঁটি বাঁধছেন তাঁরা। ঢাকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের চাষিরা ঈদকে ঘিরে মেহেদি গাছের শাখা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ গাছের পরিচর্যা করছেন। কেউ কাটা শাখা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেহেদি চাষ অনেকটা চা বাগানের মতো। বিশাল বাগানজুড়ে সবুজ পাতার সমারোহ। সারি সারি গাছের মাঝখানে সরু পথ করা হয়। সেই পথ ধরে চাষিরা মেহেদি পাতার ডাল কাটছেন।
নতুন পোশাকের পাশাপাশি ঈদের আগে হাত রাঙানোর জন্য মেহেদির আলপনা তো লাগবেই! বাহারি নকশায় সাজবে দুই হাত। মেয়েরা তো বটেই নানা বয়সী ছেলেরাও মেহেদি পরেন। গত কয়েক বছর ধরে প্যাকেটজাত (টিউব মেহেদি) বাজার দখল করলেও গাছের মেহেদির কদর কিন্তু একবিন্দুও কমেনি। প্রাকৃতিক মেহেদির চাহিদা বরং দিন দিন বাড়ছে। মেহেদি চাষ করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। আর প্রতি ঈদ মৌসুমে বেশ ভালো দামে বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে মেহেদি চাষ হয়। খুবই সামান্য খরচে চাষ করা যায়। একবার রোপণ করা গাছ থেকে বহুবার পাতা সংগ্রহ করা যায়। একটি মেহেদি গাছ থেকে বছরে পাঁচবার ডালসহ পাতা তোলা যায়।
চান্দেরচর গ্রামের চাষি আওলাদ শেখ বলেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে মেহেদির ডাল বিক্রি হয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বছরে দুইবার বিক্রি করা যায়। তবে দুই ঈদে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দামও বেশি পাওয়া যায়।
আরেক চাষি ইদ্রিস আলী বলেন, রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদে প্রচুর মেহেদি পাতা বিক্রি হয়। এ ছাড়া সারা বছর কম বিক্রি হয়। কম খরচে এই মেহেদি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়, তাই চাষ করেছি। লাভ ভালোই হচ্ছে। গতবার করোনাভাইরাসের কারণে ঈদে মেহেদি পাতা বিক্রি করতে পারিনি। এবার পুষিয়ে নিচ্ছেন।
মেহেদি গাছ থেকে শাখা সংগ্রহের কাজ করেন মূলত পুরুষেরা। আর সেগুলো ঝারাই বাছাই করে আঁটি বাঁধেন মেয়েরা। গৃহিণী মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘বাড়ির কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা মেহেদি গাছের ডালগুলো ছোট ছোট আঁটি বাঁধি। সেগুলো বিকালে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়। তারা ঢাকায় বিক্রি করে।’
পাইকার আব্দুল বারেক মিয়া বলেন, ‘আমরা আগে মাথায় মেহেদির আঁটি নিয়ে ঢাকার অলিগলিতে ফেরি করে বিক্রি করতাম। এখন আর সেভাবে বিক্রি করা লাগে না। এখন ঢাকার বাসাবো, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মুগদা, মৌলভীবাজার, নয়াবাজারে মেহেদির আড়ত আছে। আমরা সেখানে পাইকারি বিক্রি করি। তবে ঢাকার অলিগলি দিয়ে বাসা বাড়িতে বিক্রি করার মজাই আলাদা, দামও পাওয়া যায় বেশি।’
চান্দেরচর গ্রামে প্রায় ১০০টি পরিবার মেহেদি চাষের সঙ্গে জড়িত বলে জানান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি ব্লকের উপ কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমিন।
তামান্না বলেন, ‘চাষিরা সারা বছরই মেহেদি গাছের ডাল বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা সব সময় তাঁদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
২ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
৮ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
৩৬ মিনিট আগে