নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব একটি সর্বজনীন উৎসব। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সর্বজনীনতার প্রেক্ষাপট জানি না। আমরা যদি বাংলায় দুর্গাপূজা প্রচলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাব এই উৎসবটি বাংলার নিজস্ব একটি ঐতিহ্য। আর এই উৎসবের সর্বজনীনতার উৎস ঠিক এখানেই। খেয়াল করে দেখবেন বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও আসাম এই অঞ্চলগুলোয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকতা ও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। অর্থাৎ বাংলা ভাষার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ভারতবর্ষের এমন অঞ্চলগুলোয় এই উৎসব ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, বরং এমন একটি চেতনাকে লালন করা, যাতে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সকলকে সম্মান করতে শেখায়, অন্যের প্রতি মানবিক আচরণ করতে শেখায়, অন্যের উৎসবে নিজের মন রঙিন করতে শেখায়। তাই বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে পারি। আজকের এই বিজয়া পুনর্মিলনী তেমনই একটি আয়োজন বলে আমি মনে করি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান নামে যে দুটি রাষ্ট্র তৈরি হয় তার অন্যতম ভিত্তি ছিল ধর্মান্ধতা। কিন্তু অচিরেই সেই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র একটি অসার চিন্তা হিসেবে প্রমাণিত হয়। তাই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠী তাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবিচার, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অন্যতম স্লোগান ছিল ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান—আমরা সবাই বাঙালি’। এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই বাংলার আপামর জনসাধারণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের আত্মনিয়োগ করে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের দেশে এখনো একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বাঙালি সংস্কৃতির সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ধারা মুছে দিয়ে ধর্মের লেবাসে বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে তৎপর। তাই আমাদের শপথ হোক, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেব না। এ কারণে একটি উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদেরকে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সকলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা বিভেদের বীজ বপন করার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে সদা সচেষ্ট থাকব।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব একটি সর্বজনীন উৎসব। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সর্বজনীনতার প্রেক্ষাপট জানি না। আমরা যদি বাংলায় দুর্গাপূজা প্রচলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাব এই উৎসবটি বাংলার নিজস্ব একটি ঐতিহ্য। আর এই উৎসবের সর্বজনীনতার উৎস ঠিক এখানেই। খেয়াল করে দেখবেন বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও আসাম এই অঞ্চলগুলোয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকতা ও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। অর্থাৎ বাংলা ভাষার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ভারতবর্ষের এমন অঞ্চলগুলোয় এই উৎসব ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, বরং এমন একটি চেতনাকে লালন করা, যাতে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সকলকে সম্মান করতে শেখায়, অন্যের প্রতি মানবিক আচরণ করতে শেখায়, অন্যের উৎসবে নিজের মন রঙিন করতে শেখায়। তাই বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে পারি। আজকের এই বিজয়া পুনর্মিলনী তেমনই একটি আয়োজন বলে আমি মনে করি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান নামে যে দুটি রাষ্ট্র তৈরি হয় তার অন্যতম ভিত্তি ছিল ধর্মান্ধতা। কিন্তু অচিরেই সেই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র একটি অসার চিন্তা হিসেবে প্রমাণিত হয়। তাই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠী তাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবিচার, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অন্যতম স্লোগান ছিল ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান—আমরা সবাই বাঙালি’। এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই বাংলার আপামর জনসাধারণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের আত্মনিয়োগ করে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের দেশে এখনো একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বাঙালি সংস্কৃতির সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ধারা মুছে দিয়ে ধর্মের লেবাসে বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে তৎপর। তাই আমাদের শপথ হোক, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেব না। এ কারণে একটি উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদেরকে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সকলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা বিভেদের বীজ বপন করার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে সদা সচেষ্ট থাকব।
চিত্রা নদীদূষণ ও দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল থেকে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৯ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকালে ‘সুবিধাবঞ্চিত এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে সাতখামাইর স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
১৯ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় তিন শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। আজ সোমবার (২৩ জুন) উপজেলার সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে নৌবাহিনীর নিজস্ব চিকিৎসকেরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেন।
২২ মিনিট আগেনড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বয়রা-কোলা এলাকায় তিলখেত থেকে অজ্ঞাতনামা মানবকঙ্কাল, মাথার খুলি, মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও নারীর পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে তিলখেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় এসব উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে