শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’
টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শিপলু সরকার বলেন, ‘আমার রোগী আমি যেকোনো সময় চেম্বারে দেখব। আমি কী দেখে কী লিখব, সেটা আমার ব্যাপার।’ তিনি গণমাধ্যমকর্মীকে তাঁর চেম্বারে গিয়ে কথা বলতে বলেন।
২ মিনিট আগেপ্রতিদিন শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর দুটি পৌরসভা এবং পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ১৭ কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত ও সংস্কার করা হয়। তবে কাজটি শেষ হতে সময় লাগে চার বছর। ২০২০ সালে কাজ শেষ হলেও এক বছর না যেতেই ফের ভেঙে পড়ে সড়কটি।
৩০ মিনিট আগেরাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
৩৪ মিনিট আগেশুক্রবার মোংলা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জ বাজার অভিমুখী চিটাগুড়বাহী ট্রেনটি বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে উথলী রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। পরে ক্রসিং শেষে ট্রেনটি লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে প্রবেশ করার সময় গার্ডব্রেকের একটি বগির পিছনের ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে লাইনচ্যুত বগিটি রেখে বাকি ওয়াগনগুলো নিয়ে ট্রেনটি...
৪১ মিনিট আগে