নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেছেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সকল অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন বেতনভোগী কর্মকর্তা–কর্মচারী কীভাবে কোটি কোটি এমনকি শতকোটি টাকার মালিক হন? এটি দেশবাসীকে হতবাক করে। তাই এগুলোকে রোধ করতে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে দেশ উপকৃত হবে, মানুষ অযাচিত বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে মুহূর্তেই বড়লোক হওয়ার মানসিকতা আমাদের বড় বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিচার বিভাগকে এর ভার বহন করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে মিথ্যা মামলা হয়তোবা ঠিকই নির্ধারিত হচ্ছে, কিন্তু এতে আদালতের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। মিথ্যা মামলা ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেন, দুর্বলকে রক্ষায়, দুর্নীতি রোধে, ন্যায়সংগত অধিকার প্রাপ্তিতে, সামাজিক অনাচার রোধে, দেশ ও জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিচার বিভাগ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের বিরাট দায়িত্ব অথচ লোকবল কম। প্রয়োজন অধিকসংখ্যক বিচারক নিয়োগসহ আদালতের জনবল বৃদ্ধি। যা আইনের শাসন কায়েমে ইতিবাচক ফল দেবে।
বিচারকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মানিত বিচারকগণ দায়িত্ব পালন করবেন সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে। সকল প্রকার পক্ষপাতিত্ব ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে। গরিব-ধনী, ক্ষমতাশালী-ক্ষমতাহীন সবাই তাঁর নিকট সমান। আর আইনজীবীগণ আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আইনগত সহায়তা দেবেন। এটাই শাশ্বত নিয়ম। তবে বিচারক যাতে স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন, সে জন্য সর্বপ্রকার সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি বিচারককেও বিচারকার্য পরিচালনায় স্বাধীন চিত্তের অধিকারী হতে হবে।’
কিশোর অপরাধের প্রসঙ্গে বিদায়ী এই বিচারপতি বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে। যা আমাদের সন্তানদের ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিভাবকদের বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পারিবারিক সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধ ইত্যাদি ভাঙচুর হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছে। মাদক, সামাজিক অনাচারসহ অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, হুমকি ও আশঙ্কার বিস্তার ঘটেছে। আর এগুলো আমাদের টেকসই উন্নয়ন, শান্তি, প্রসারিত ভালোবাসা, ধৈর্য ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেছেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সকল অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন বেতনভোগী কর্মকর্তা–কর্মচারী কীভাবে কোটি কোটি এমনকি শতকোটি টাকার মালিক হন? এটি দেশবাসীকে হতবাক করে। তাই এগুলোকে রোধ করতে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে দেশ উপকৃত হবে, মানুষ অযাচিত বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে মুহূর্তেই বড়লোক হওয়ার মানসিকতা আমাদের বড় বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিচার বিভাগকে এর ভার বহন করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে মিথ্যা মামলা হয়তোবা ঠিকই নির্ধারিত হচ্ছে, কিন্তু এতে আদালতের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। মিথ্যা মামলা ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেন, দুর্বলকে রক্ষায়, দুর্নীতি রোধে, ন্যায়সংগত অধিকার প্রাপ্তিতে, সামাজিক অনাচার রোধে, দেশ ও জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিচার বিভাগ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের বিরাট দায়িত্ব অথচ লোকবল কম। প্রয়োজন অধিকসংখ্যক বিচারক নিয়োগসহ আদালতের জনবল বৃদ্ধি। যা আইনের শাসন কায়েমে ইতিবাচক ফল দেবে।
বিচারকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মানিত বিচারকগণ দায়িত্ব পালন করবেন সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে। সকল প্রকার পক্ষপাতিত্ব ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে। গরিব-ধনী, ক্ষমতাশালী-ক্ষমতাহীন সবাই তাঁর নিকট সমান। আর আইনজীবীগণ আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আইনগত সহায়তা দেবেন। এটাই শাশ্বত নিয়ম। তবে বিচারক যাতে স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন, সে জন্য সর্বপ্রকার সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি বিচারককেও বিচারকার্য পরিচালনায় স্বাধীন চিত্তের অধিকারী হতে হবে।’
কিশোর অপরাধের প্রসঙ্গে বিদায়ী এই বিচারপতি বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে। যা আমাদের সন্তানদের ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিভাবকদের বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পারিবারিক সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধ ইত্যাদি ভাঙচুর হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছে। মাদক, সামাজিক অনাচারসহ অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, হুমকি ও আশঙ্কার বিস্তার ঘটেছে। আর এগুলো আমাদের টেকসই উন্নয়ন, শান্তি, প্রসারিত ভালোবাসা, ধৈর্য ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে