Ajker Patrika

জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ: মামুন ও মুরাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ২৯
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ: মামুন ও মুরাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে জঙ্গলে বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও তাঁর সহযোগী মো. মুরাদ হোসেন। 

আজ শুক্রবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। পরে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

জানা গেছে, দুপুরের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান দুজনের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। পরে দুজনই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের খাস কামরায় গিয়ে জবানবন্দি দেন।

এর আগে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং ধর্ষণের সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পুলিশ মোস্তাফিজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগের মধ্যরাতে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার বিচার চেয়ে মিছিল-সমাবেশ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।

মামলার বর্ণনা অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে নারী ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সে সময় তাঁর স্বামীকে হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মামুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। 

এরপর তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। এগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ওই নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন মশাররফ হোসেন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তাঁর স্বামী অন্যদিক থেকে আসবেন বলে ওই নারীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

জানা গেছে, মামুন স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের ইচ্ছাতেই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান মামুন নিজে।

মামুনের জবানবন্দি
আদালতকে মামুন বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামে। জবানবন্দিতে আদালতকে বলেন, তিনি সাভার, আশুলিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী একই এলাকায় বসবাসের কারণে গত তিন থেকে চার বছর আগে তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মাঝেমধ্যে ওই নারীর স্বামীর মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। কিছুদিন আগে থাকার জায়গার সমস্যা সৃষ্টি হলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে কিছুদিনের জন্য তাঁদের বাসায় অবস্থান করবেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে প্রায় তিন থেকে চার মাস অবস্থান করায় পরিবারটির সঙ্গে তাঁর সখ্য তৈরি হয়।

মামুন আরও জানান, জাবির ঘটনার আগে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের সঙ্গেও মাদক কারবার নিয়ে তাঁর ভালো সম্পর্ক। সেই সুবাদে মামুনের কাছে কোনো নারীকে ভোগের ইচ্ছা পোষণ করেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য মামুন ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে জানান, মোস্তাফিজুর রহমান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তাই তিনি এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকবেন। তাই মামুন ওই নারীর স্বামীকে মোস্তাফিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

ওই নারীর স্বামী মামুনের কথামতো ওই দিন সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে দেখা করেন।

পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর স্বামীকে তাঁর অন্যতম সহযোগী মোস্তাফিজ, মুরাদ, সাব্বির, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

মামুন কৌশলে ওই নারীর স্বামীকে তাঁদের বাসায় থাকাকালীন ব্যবহৃত কাপড় আনতে স্ত্রীকে ফোন দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে ওই নারীর স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে আসতে বলেন। 

৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ওই নারী তাঁর স্বামীর কথামতো মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসেন।

ওই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামুন ও মামলার ১ নম্বর আসামি মোস্তাফিজ কৌশলে মুরাদকে ওই নারীর স্বামী ও মামুনের ব্যবহৃত কাপড়ের ব্যাগসহ হলের কক্ষে যেতে বলেন। পরে মুরাদ ওই নারীর স্বামীকে নিয়ে হলের কক্ষে অবস্থান করেন। 

ওই সময় মামুন ও মোস্তাফিজ ওই নারীকে কৌশলে হলের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন।

মামুন ও মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের কক্ষে গিয়ে ওই নারীর স্বামীকে বাসায় চলে যেতে বলেন। পরবর্তী সময়ে স্বামী ওই নারীর কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে থানায় গিয়ে মামলা করেন।

ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মামুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আত্মগোপন করেন। পরে গ্রেপ্তার হন।

মুরাদের জবানবন্দি
মুরাদ আদালতকে বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি ও আসামি মামুনের গ্রামের বাড়ি একই উপজেলায়। তাঁর গ্রামের নাম পূর্ব নেপালীপুর। মামুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারে তিনি মামুনকে সহযোগিতা করে থাকেন।

ঘটনার দিন মুরাদ ধর্ষিতা নারীর স্বামীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩০৭ নম্বর রুমে আটকে রাখতে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীকে চড়থাপ্পড় মেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখেন। ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ও মামুনের কথা মতো তিনি (মুরাদ) ওই নারীর স্বামীকে পাহারা দেন। তবে বাইরে কী ঘটেছিল তা তিনি জানতেন না।

মুরাদ আদালতকে আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ও থানায় মামলা হওয়ার পর তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিয়ে নওগাঁ এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন। সেখানে তিনি র‍্যাবের হাতে আটক হন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের দুই পক্ষের টেঁটাযুদ্ধ, আহত ১৫

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নামে দুই পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নামে দুই পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার জেরে ফের বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাইকে ঘোষণার পর দুই দফায় এই সংঘর্ষ হয়। সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে স্থানীয় শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

শনিবার সকালে পুলিশ না থাকার সুযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও পুলিশি গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে বিভিন্ন স্থানে গোপনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থানের পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দু-তিনজন সামান্য আহত হয়ে হাসপাতালে গেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ, অংশ নিল ৩৪০ পরীক্ষার্থী

কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাই কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাই কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ২৮টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী এই স্কলারশিপ পরীক্ষায় অংশ নেয়।

রেহানা আক্তার আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ক বিভাগ হলো, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং খ বিভাগ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।

অর্জিত নম্বরের ভিত্তিতে বিগত বছরের মতো ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেড ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট, শিক্ষা উপকরণ এবং মাসিক স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, ‘এই স্কলারশিপের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার্থীদের মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদের উদ্বুদ্ধ করে।’ তিনি কাপ্তাই জোনের অধিনায়কের প্রতি অনুরোধ জানান যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই স্কলারশিপ কার্যক্রম চলমান থাকে।

এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৮ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল কাদির শুভ সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৮ বীরের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাঁজা বিক্রিতে নিষেধ করায় খুন হন ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য: অভিযোগপত্রে ডিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৯
শাহরিয়ার আলম সাম্য
শাহরিয়ার আলম সাম্য

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এমনটি বলেছে মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত বৃহস্পতিবার সাতজনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মাদক কারবারি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখতার মোর্শেদ। অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া চারজন হলেন তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।

গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরদিন ১৪ মে সকালে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৪

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
মাইক্রোবাসসহ আটক চার ডাকাত। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাইক্রোবাসসহ আটক চার ডাকাত। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত