আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, অসহিষ্ণুতা পরিহার করে দেশে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের স্ফুরণ ঘটাতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি-বাস্তবতা ও করণীয়’—শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা।
দেশের ৮০টি উপজেলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় কাজ করছে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি-এমআইপিএস প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ অর্জন করতে পারিনি। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, সম্প্রীতির বাংলাদেশ অর্জনের জন্য আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অপরাজনীতি, ধর্মের অপব্যাখ্যা, জাতিগত ভিন্নতার জন্য সহিংসতাকে আমরা নিজেদের মধ্যে নিয়েছি। আমাদের প্রধান শত্রু হলো অসহিষ্ণুতা। সব রকমের ভিন্নতা সত্ত্বেও আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে। নতুবা কেউ নিরাপদ থাকব না।’
এ সময় এমআইপিএস প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. নাজমুন নাহার নূর লুবনা। সংলাপে ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্ম: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা।
সেই প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাবির সুপার নিউমারি শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম, এজেন্টস অব চেঞ্জ. এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্ট-এর পরামর্শক ড. শাহনাজ করীম।
তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে বারবার সামনে আনা হয়। দেশের অধিকাংশ ধর্মীয় সহিংসতার পেছনে ধর্মীয় কারণ থাকে না। সহিংস ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। তবে দেশে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হওয়ায় সংঘাত, সহিংসতার বিস্তৃতি ঠেকানো গেছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে তরুণদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের স্ফুরণ ঘটাতে নীতিনির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। এ সময় উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ধর্ম উপদেষ্টার কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও নৃগোষ্ঠীর সদস্য সব ধর্ম পালনের সম অধিকার রয়েছে। কেউ এই অধিকার বিঘ্নিত করতে পারবে না। দেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। এ সম্প্রীতিকে কেউ বিঘ্নিত করতে চাইলে, জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইলে আমরা কোনোভাবে তা বরদাশত করব না। প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলছি, প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে তার সব ধরনের ব্যবস্থা ধর্ম মন্ত্রণালয় করছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা উপাসনালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত করে, তারা ক্রিমিনাল। তাদের কোনো ধর্ম পরিচয় নেই। আমরা সেই ক্রিমিনালদের অনেককে চিহ্নিত করেছি। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে, এটি আমাদের অঙ্গীকার। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, অসহিষ্ণুতা পরিহার করে দেশে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের স্ফুরণ ঘটাতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি-বাস্তবতা ও করণীয়’—শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা।
দেশের ৮০টি উপজেলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় কাজ করছে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি-এমআইপিএস প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ অর্জন করতে পারিনি। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, সম্প্রীতির বাংলাদেশ অর্জনের জন্য আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অপরাজনীতি, ধর্মের অপব্যাখ্যা, জাতিগত ভিন্নতার জন্য সহিংসতাকে আমরা নিজেদের মধ্যে নিয়েছি। আমাদের প্রধান শত্রু হলো অসহিষ্ণুতা। সব রকমের ভিন্নতা সত্ত্বেও আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে। নতুবা কেউ নিরাপদ থাকব না।’
এ সময় এমআইপিএস প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. নাজমুন নাহার নূর লুবনা। সংলাপে ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্ম: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা।
সেই প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাবির সুপার নিউমারি শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম, এজেন্টস অব চেঞ্জ. এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্ট-এর পরামর্শক ড. শাহনাজ করীম।
তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে বারবার সামনে আনা হয়। দেশের অধিকাংশ ধর্মীয় সহিংসতার পেছনে ধর্মীয় কারণ থাকে না। সহিংস ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। তবে দেশে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হওয়ায় সংঘাত, সহিংসতার বিস্তৃতি ঠেকানো গেছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে তরুণদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের স্ফুরণ ঘটাতে নীতিনির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। এ সময় উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ধর্ম উপদেষ্টার কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও নৃগোষ্ঠীর সদস্য সব ধর্ম পালনের সম অধিকার রয়েছে। কেউ এই অধিকার বিঘ্নিত করতে পারবে না। দেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। এ সম্প্রীতিকে কেউ বিঘ্নিত করতে চাইলে, জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইলে আমরা কোনোভাবে তা বরদাশত করব না। প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলছি, প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে তার সব ধরনের ব্যবস্থা ধর্ম মন্ত্রণালয় করছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা উপাসনালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত করে, তারা ক্রিমিনাল। তাদের কোনো ধর্ম পরিচয় নেই। আমরা সেই ক্রিমিনালদের অনেককে চিহ্নিত করেছি। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে, এটি আমাদের অঙ্গীকার। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে