মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাত দলের গুলি ও ককটেল হামলার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবারের ওই হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর মামলা হয়েছে।
গজারিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। এতে ২০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
চর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটের ট্রলারচালক হাকিম বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। এরপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখেছি।’
এদিকে আজ সকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও দুই পাড়ের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সুখবর আসবে এবং যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্র বলেছে, মেঘনা নদীর তীরে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা ওই পুলিশ ক্যাম্পে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য নদীতে ট্রলার নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে শতাধিক গুলি ও একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ২০টির মতো গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ডাকাতেরা মতলবের দিকে সরে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখানদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে তাদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে ওসি, দুজন পুলিশ উপপরিদর্শকসহ ৪০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করা হয়। তবে শনিবার একদল লোক ক্যাম্প সরিয়ে নিতে মানববন্ধন করেন। আর সোমবার হামলা হয়। এ সময় ডাকাতেরা মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও ককটেল নিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ কথা বলতে চাইলে হামলার শিকার হতে হয়। ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পে হামলার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ভয়ে ঘরে অবস্থান করছি। সকাল থেকে ক্যাম্পে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখেছি। হামলাকারীরা খুবই দুর্ধর্ষ। তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যেকোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গুয়াগাছিয়ার কোনো ডাকাত-সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাত দলের গুলি ও ককটেল হামলার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবারের ওই হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর মামলা হয়েছে।
গজারিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। এতে ২০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
চর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটের ট্রলারচালক হাকিম বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। এরপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখেছি।’
এদিকে আজ সকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও দুই পাড়ের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সুখবর আসবে এবং যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্র বলেছে, মেঘনা নদীর তীরে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা ওই পুলিশ ক্যাম্পে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য নদীতে ট্রলার নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে শতাধিক গুলি ও একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ২০টির মতো গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ডাকাতেরা মতলবের দিকে সরে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখানদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে তাদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে ওসি, দুজন পুলিশ উপপরিদর্শকসহ ৪০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করা হয়। তবে শনিবার একদল লোক ক্যাম্প সরিয়ে নিতে মানববন্ধন করেন। আর সোমবার হামলা হয়। এ সময় ডাকাতেরা মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও ককটেল নিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ কথা বলতে চাইলে হামলার শিকার হতে হয়। ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পে হামলার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ভয়ে ঘরে অবস্থান করছি। সকাল থেকে ক্যাম্পে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখেছি। হামলাকারীরা খুবই দুর্ধর্ষ। তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যেকোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গুয়াগাছিয়ার কোনো ডাকাত-সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাত দলের গুলি ও ককটেল হামলার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবারের ওই হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর মামলা হয়েছে।
গজারিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। এতে ২০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
চর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটের ট্রলারচালক হাকিম বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। এরপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখেছি।’
এদিকে আজ সকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও দুই পাড়ের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সুখবর আসবে এবং যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্র বলেছে, মেঘনা নদীর তীরে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা ওই পুলিশ ক্যাম্পে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য নদীতে ট্রলার নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে শতাধিক গুলি ও একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ২০টির মতো গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ডাকাতেরা মতলবের দিকে সরে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখানদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে তাদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে ওসি, দুজন পুলিশ উপপরিদর্শকসহ ৪০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করা হয়। তবে শনিবার একদল লোক ক্যাম্প সরিয়ে নিতে মানববন্ধন করেন। আর সোমবার হামলা হয়। এ সময় ডাকাতেরা মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও ককটেল নিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ কথা বলতে চাইলে হামলার শিকার হতে হয়। ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পে হামলার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ভয়ে ঘরে অবস্থান করছি। সকাল থেকে ক্যাম্পে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখেছি। হামলাকারীরা খুবই দুর্ধর্ষ। তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যেকোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গুয়াগাছিয়ার কোনো ডাকাত-সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাত দলের গুলি ও ককটেল হামলার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবারের ওই হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর মামলা হয়েছে।
গজারিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। এতে ২০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
চর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটের ট্রলারচালক হাকিম বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দ কাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। এরপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখেছি।’
এদিকে আজ সকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও দুই পাড়ের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সুখবর আসবে এবং যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্র বলেছে, মেঘনা নদীর তীরে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা ওই পুলিশ ক্যাম্পে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য নদীতে ট্রলার নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে শতাধিক গুলি ও একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ২০টির মতো গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ডাকাতেরা মতলবের দিকে সরে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখানদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে তাদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে ওসি, দুজন পুলিশ উপপরিদর্শকসহ ৪০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করা হয়। তবে শনিবার একদল লোক ক্যাম্প সরিয়ে নিতে মানববন্ধন করেন। আর সোমবার হামলা হয়। এ সময় ডাকাতেরা মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও ককটেল নিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ কথা বলতে চাইলে হামলার শিকার হতে হয়। ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পে হামলার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ভয়ে ঘরে অবস্থান করছি। সকাল থেকে ক্যাম্পে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখেছি। হামলাকারীরা খুবই দুর্ধর্ষ। তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যেকোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গুয়াগাছিয়ার কোনো ডাকাত-সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
২৬ আগস্ট ২০২৫
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
২৬ আগস্ট ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
২৬ আগস্ট ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও মতলবের বেলতলী এলাকায় একযোগে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
২৬ আগস্ট ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩১ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে