Ajker Patrika

সম্পর্ক নষ্ট করতে রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে: রুশ দূতাবাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্পর্ক নষ্ট করতে রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে: রুশ দূতাবাস

ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস বলেছে, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির ভুয়া খবর যারা ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে এবং দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করতে চেষ্টা করে। 

আজ বুধবার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। 

দূতাবাসের দাবি, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। এই ভিত্তিহীন বিবৃতিগুলিকে খণ্ডন করার জন্য রোসাটম স্টেট করপোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ জারি করেছে। 

এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে, রাশিয়ান রপ্তানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর প্রকল্প নির্মাণে ইতিমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়। 

দূতাবাসের দাবি, রূপপুর প্রকল্পে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ এই হল যে, রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের প্রদানে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়। 

রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলি করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট–ভিইবি-আরএফ দ্বারা সেই নথিগুলি অনুমোদিত হয় । রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

দূতাবাস জানায়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত এক হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। 

এই পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত হল দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে দুটি ঋণ–২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি সই হওয়া প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত হয়েছে ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে অনুমোদিত ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। 

এই ঋণ ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেছে। আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই সই হওয়া দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত হয় ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় রপ্তানি ঋণের পুরো পরিমাণ হল ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত