মাদারীপুর প্রতিনিধি
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাই। কারণ, মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই পাওয়ার কথা ছিল, তা মেলেনি। হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ থাকলেও তা আমাদের কাজে আসছে না।’ কথাগুলো মাদারীপুর শহরের ১ নম্বর শকুনি এলাকার তানমিরা জেবুর।
শুধু জেবু নয়; আরও অনেকেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসিইউ সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন। সাইম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মা পরপর দুবার হার্টের সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জরুরিভাবে ঢাকায় নেওয়া হয়। কিন্তু এখানে আইসিইউ চালু থাকলে হয়তো ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। অনেক গরিব রোগী আছে, যাদের আইসিইউর প্রয়োজন হলে তাদের পক্ষে ঢাকা বা ফরিদপুরে নিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। বিনা চিকিৎসায় অনেকেরই মৃত্যু হয়। এ জন্য এই মাদারীপুরে জরুরিভাবে আইসিইউ চালু দরকার বলে মনে করি।’
হাসপাতালের সূত্র বলেছে, ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর ৩ কোটি টাকার আইসিইউসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনও করা হয় আইসিইউ।
তবে জনবলসংকটে চালু করা যায়নি আইসিইউ। এতে আইসিইউর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার মানুষ।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করার জন্য চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে ৬৪ জনবল দরকার। ৬৪ জনের একটা তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে শুরুর দিকে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আবার বদলি করে নেওয়া হয়েছে। তবে ২০ জন হলেও কষ্ট করে আইসিইউ চালানো সম্ভব ছিল। কিন্তু তা-ও পাচ্ছি না। তাই আইসিইউ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুধু আইসিইউ-ই নয়; জনবলের ঘাটতির কারণে হাসপাতালের অনেক সেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানের ২৬৭ পদের ১০২টি খালি আছে।
মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যায় এবং বেঁচে থাকার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলে, তখন তার জন্য আইসিইউ প্রয়োজন হয়। সেই অসুস্থ রোগীকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। সেই মহামূল্যবান যন্ত্র মাদারীপুরে থাকলেও রোগীদের কোনো কাজেই আসছে না।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, এখানে ১০ বেডের আইসিইউ থাকলেও চালুর অভাবে আমরা সেবা পাচ্ছি না। তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করে যন্ত্রপাতি কেনার দরকার ছিল না। আমরা দ্রুত আইসিইউ সেবা চালুর দাবি জানাচ্ছি। আইসিইউ সেবা চালু হলে রোগীরা উন্নত সেবা পাবে, এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমবে। তা ছাড়া সামান্য একটু সমস্যা দেখা দিলেই হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফরিদপুর বা ঢাকায় পাঠানো হয়। আইসিইউ চালু থাকলে এই প্রবণতাও কিছুটা কমে যাবে।’
নিরাপদ চিকিৎসা চাইয়ের মাদারীপুরের সভাপতি মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, ‘জনগণের টাকায় নির্মিত হাসপাতাল, অথচ জনগণ এর কোনো পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিইউ সেবার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হলেও সেবা দেওয়ার কোনো অগ্রগতি নেই। তাই জনগণের সেবার কথা চিন্তা করে দ্রুত আইসিইউ চালুর দাবি জানাই।’
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শামীম আকতার বলেন, জনবলের ঘাটতি পূরণ হলেই আইসিইউসহ সব ধরনের সেবা পাবেন রোগীরা।
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাই। কারণ, মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই পাওয়ার কথা ছিল, তা মেলেনি। হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ থাকলেও তা আমাদের কাজে আসছে না।’ কথাগুলো মাদারীপুর শহরের ১ নম্বর শকুনি এলাকার তানমিরা জেবুর।
শুধু জেবু নয়; আরও অনেকেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসিইউ সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন। সাইম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মা পরপর দুবার হার্টের সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জরুরিভাবে ঢাকায় নেওয়া হয়। কিন্তু এখানে আইসিইউ চালু থাকলে হয়তো ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। অনেক গরিব রোগী আছে, যাদের আইসিইউর প্রয়োজন হলে তাদের পক্ষে ঢাকা বা ফরিদপুরে নিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। বিনা চিকিৎসায় অনেকেরই মৃত্যু হয়। এ জন্য এই মাদারীপুরে জরুরিভাবে আইসিইউ চালু দরকার বলে মনে করি।’
হাসপাতালের সূত্র বলেছে, ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর ৩ কোটি টাকার আইসিইউসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনও করা হয় আইসিইউ।
তবে জনবলসংকটে চালু করা যায়নি আইসিইউ। এতে আইসিইউর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার মানুষ।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করার জন্য চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে ৬৪ জনবল দরকার। ৬৪ জনের একটা তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে শুরুর দিকে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আবার বদলি করে নেওয়া হয়েছে। তবে ২০ জন হলেও কষ্ট করে আইসিইউ চালানো সম্ভব ছিল। কিন্তু তা-ও পাচ্ছি না। তাই আইসিইউ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুধু আইসিইউ-ই নয়; জনবলের ঘাটতির কারণে হাসপাতালের অনেক সেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানের ২৬৭ পদের ১০২টি খালি আছে।
মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যায় এবং বেঁচে থাকার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলে, তখন তার জন্য আইসিইউ প্রয়োজন হয়। সেই অসুস্থ রোগীকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। সেই মহামূল্যবান যন্ত্র মাদারীপুরে থাকলেও রোগীদের কোনো কাজেই আসছে না।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, এখানে ১০ বেডের আইসিইউ থাকলেও চালুর অভাবে আমরা সেবা পাচ্ছি না। তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করে যন্ত্রপাতি কেনার দরকার ছিল না। আমরা দ্রুত আইসিইউ সেবা চালুর দাবি জানাচ্ছি। আইসিইউ সেবা চালু হলে রোগীরা উন্নত সেবা পাবে, এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমবে। তা ছাড়া সামান্য একটু সমস্যা দেখা দিলেই হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফরিদপুর বা ঢাকায় পাঠানো হয়। আইসিইউ চালু থাকলে এই প্রবণতাও কিছুটা কমে যাবে।’
নিরাপদ চিকিৎসা চাইয়ের মাদারীপুরের সভাপতি মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, ‘জনগণের টাকায় নির্মিত হাসপাতাল, অথচ জনগণ এর কোনো পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিইউ সেবার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হলেও সেবা দেওয়ার কোনো অগ্রগতি নেই। তাই জনগণের সেবার কথা চিন্তা করে দ্রুত আইসিইউ চালুর দাবি জানাই।’
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শামীম আকতার বলেন, জনবলের ঘাটতি পূরণ হলেই আইসিইউসহ সব ধরনের সেবা পাবেন রোগীরা।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
২১ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৭ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে