উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে টিকিটের দাবিতে ভাঙচুর চালিয়েছেন যাত্রীরা। এতে আনসার, জিআরপি ও আরএনবির বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনও করেছেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে প্রথমে স্টেশনের বাইরে থেকে আন্দোলন করেন হাজারো যাত্রী। রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের বিমানবন্দরে ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
বিমানবন্দর রেলগেট এলাকার কলাপসিকল গেট ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়াও ট্রেনে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যদের মধ্যে অন্তত ১৫ / ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন স্টেশনের কর্মকর্তারা। আহতদের মধ্যে একজন আনসার সদস্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আন্দোলনকারী যাত্রীরা জানান, তাঁরা ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু এসে কোনো ট্রেনের টিকিট পাননি। এমনকি স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিটও নেই। যার কারণে আন্দোলন করে স্টেশনে ঢুকেছেন তাঁরা।
মহাসড়ক অবরোধ করা যাত্রীরা জানান, তারা টিকিট চান। টিকিট ছাড়া স্টেশন ছাড়বেন না। প্রয়োজনে বিনা টিকিটেই ট্রেনে করে বাড়ি যাবেন।
ভৈরবে যাওয়ার উদ্দেশে আশুলিয়া থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে আসা যাত্রী দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানবন্দর রেলস্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে না কেন? স্টেশনের টিকিট বুথ বন্ধ থাকবে কেন?’
তিনি বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট কেটে স্টেশনে এসেছি। কিন্তু কমলাপুর থেকেই ট্রেনভরে যাত্রীরা আসছে। এমন অবস্থায় ট্রেনে উঠতে পারব কি না, তা নিয়েই সন্দেহে আছি।’
উত্তরা থেকে আগত রেজোয়ান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি দিনাজপুরে যাওয়ার জন্য এসেছি। কিন্তু এসে দেখি টিকিট নাই। আগে ২৫% স্ট্যান্ডিং টিকিট দিচ্ছিল, সেটা ভালো ছিল। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়ার কারণে যাত্রীরা আন্দোলন করেছে।’
বিমানবন্দরে কর্মরত রেলওয়ের মো. কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ ঢুকতে পারে নাই বলে মেইন গেট ভাঙচুর করছে। পরে সবাইকে ছেড়ে হয়েছে।’
রেলওয়ের পুলিশ পরিদর্শকে মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রীরা সব গার্মেন্টসের লোকজন। তারা টিকিট পায় না দেখে পাথর নিক্ষেপ করেছে। এরপর সবাইকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কারণ পোলাপানের পাথর নিক্ষেপ বুলেটের চেয়ে বেশি ভয়ংকর।’
অপরদিকে রেলওয়ে পুলিশের সিনিয়র সহকারী সহকারী কমিশনার (এসি) তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আমি কথা বলব না। আমি ব্যস্ত আছি।’
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ড্যান্ট ফিরোজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একবার গেট ভেঙে ঢুকেছিল। পরে আবার আমরা বের করে দিয়েছিলাম। তারপর আবার রেলওয়ের চারপাশ থেকে অ্যাটাক করছে।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পক্ষ থাকে যারা বিনা টিকিটেই প্রতি বছর যাওয়ার পাঁয়তারা করে। আজকে গার্মেন্টস ছুটির পর শ্রমিকদের একটি গ্রুপ একই পাঁয়তারা করেছে। পরে বিমানবন্দর স্টেশনে হামলা চালিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় আমাদের টিকিট অত্যন্ত কম। ১০০ পার্সেন্ট অনলাইন। আর ২৫ পার্সেন্ট সিট ছাড়া টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও আমাদের এ সিটও ছিল না। যার কারণে যাত্রীরা হামলা চালিয়েছে।’
স্টেশন মাস্টার বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ কমলে আমরা স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখব। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে টিকিটের দাবিতে ভাঙচুর চালিয়েছেন যাত্রীরা। এতে আনসার, জিআরপি ও আরএনবির বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনও করেছেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে প্রথমে স্টেশনের বাইরে থেকে আন্দোলন করেন হাজারো যাত্রী। রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের বিমানবন্দরে ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
বিমানবন্দর রেলগেট এলাকার কলাপসিকল গেট ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়াও ট্রেনে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যদের মধ্যে অন্তত ১৫ / ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন স্টেশনের কর্মকর্তারা। আহতদের মধ্যে একজন আনসার সদস্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আন্দোলনকারী যাত্রীরা জানান, তাঁরা ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু এসে কোনো ট্রেনের টিকিট পাননি। এমনকি স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিটও নেই। যার কারণে আন্দোলন করে স্টেশনে ঢুকেছেন তাঁরা।
মহাসড়ক অবরোধ করা যাত্রীরা জানান, তারা টিকিট চান। টিকিট ছাড়া স্টেশন ছাড়বেন না। প্রয়োজনে বিনা টিকিটেই ট্রেনে করে বাড়ি যাবেন।
ভৈরবে যাওয়ার উদ্দেশে আশুলিয়া থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে আসা যাত্রী দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানবন্দর রেলস্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে না কেন? স্টেশনের টিকিট বুথ বন্ধ থাকবে কেন?’
তিনি বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট কেটে স্টেশনে এসেছি। কিন্তু কমলাপুর থেকেই ট্রেনভরে যাত্রীরা আসছে। এমন অবস্থায় ট্রেনে উঠতে পারব কি না, তা নিয়েই সন্দেহে আছি।’
উত্তরা থেকে আগত রেজোয়ান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি দিনাজপুরে যাওয়ার জন্য এসেছি। কিন্তু এসে দেখি টিকিট নাই। আগে ২৫% স্ট্যান্ডিং টিকিট দিচ্ছিল, সেটা ভালো ছিল। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়ার কারণে যাত্রীরা আন্দোলন করেছে।’
বিমানবন্দরে কর্মরত রেলওয়ের মো. কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ ঢুকতে পারে নাই বলে মেইন গেট ভাঙচুর করছে। পরে সবাইকে ছেড়ে হয়েছে।’
রেলওয়ের পুলিশ পরিদর্শকে মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রীরা সব গার্মেন্টসের লোকজন। তারা টিকিট পায় না দেখে পাথর নিক্ষেপ করেছে। এরপর সবাইকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কারণ পোলাপানের পাথর নিক্ষেপ বুলেটের চেয়ে বেশি ভয়ংকর।’
অপরদিকে রেলওয়ে পুলিশের সিনিয়র সহকারী সহকারী কমিশনার (এসি) তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আমি কথা বলব না। আমি ব্যস্ত আছি।’
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ড্যান্ট ফিরোজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একবার গেট ভেঙে ঢুকেছিল। পরে আবার আমরা বের করে দিয়েছিলাম। তারপর আবার রেলওয়ের চারপাশ থেকে অ্যাটাক করছে।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পক্ষ থাকে যারা বিনা টিকিটেই প্রতি বছর যাওয়ার পাঁয়তারা করে। আজকে গার্মেন্টস ছুটির পর শ্রমিকদের একটি গ্রুপ একই পাঁয়তারা করেছে। পরে বিমানবন্দর স্টেশনে হামলা চালিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় আমাদের টিকিট অত্যন্ত কম। ১০০ পার্সেন্ট অনলাইন। আর ২৫ পার্সেন্ট সিট ছাড়া টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও আমাদের এ সিটও ছিল না। যার কারণে যাত্রীরা হামলা চালিয়েছে।’
স্টেশন মাস্টার বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ কমলে আমরা স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখব। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
নীলফামারীতে বজ্রপাতে কাশী নাথ রায় (৬২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার দুটি প্লট ক্রোক, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক...
৭ মিনিট আগেগতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যশোর বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে।
১৩ মিনিট আগেবন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
১৬ মিনিট আগে