নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধ বিভিন্ন সময় নানান আঙ্গিকে আলোচনা, গবেষণা হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় চিকিৎসাক্ষেত্রে যে বিপুল প্রয়াস তা নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তেমন কোনো গবেষণামূলক নিবন্ধ বা তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ ছিল না। দীর্ঘদিনের গবেষণায় ইতিহাসের এই দিকটি ‘মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস’ বইয়ে তুলে এনেছেন বইটির লেখক শাহাদুজ্জামান ও খায়রুল ইসলাম। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটি ভবিষ্যতে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজে দেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। লেখকদের সঙ্গে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ হাসপাতালের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ হাসপাতালের নার্স পদ্মা রহমান, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
বইটি প্রসঙ্গে লেখক খায়রুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন গণহত্যা শুরু হয় তখন থেকেই চিকিৎসকেরা চিকিৎসা যুদ্ধের সূচনা করেছিল। বইটিতে ১১টি অধ্যায় আছে। এসব অধ্যায়ে চিকিৎসা যুদ্ধের শুরু, বাংলাদেশ হাসপাতাল, জিঞ্জিরা গণহত্যা ও পল্লি চিকিৎসকদের ভূমিকা, ঢাকার বাইরের চিকিৎসা যুদ্ধ, নারীরা কীভাবে এগিয়ে এসেছেন সেসব তুলে ধরা হয়েছে। ডাক্তার, মেডিকেল ছাত্ররা কীভাবে বিভিন্ন সেক্টরে, যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছে, খালেদ মোশাররফের সার্জারি, শরণার্থীশিবিরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য-পুষ্টির যুদ্ধ, পরিবেশগত বিপর্যয়, শরণার্থী ব্যবস্থাপনা, ওষুধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছেন সরকারিভাবে তাদের তালিকা তৈরির আহ্বান জানান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিকিৎসা ইতিহাস নিয়ে একটি তথ্যবহুল বই তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময়ে বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সকল চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বইটি পাঠ্য হওয়া উচিত। যুদ্ধের ইতিহাস এভাবে তুলে আনাটা খুব কঠিন কাজ। লেখকদ্বয় কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন।
তবে বইটি এখনো কিছুটা অসম্পূর্ণ জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের এম এন নন্দী, জোহরা কাজী, ওমর জামাল, সিরাজুল্লাহসহ ভারতীয় অনেক ডাক্তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান আছে। তারা সেসময় যেভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন তা অকল্পনীয়। দ্বিতীয় মুদ্রণে বইটি আরও সম্পূর্ণ করার অনুরোধ রইল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, দুজন ডাক্তার মুক্তিযুদ্ধে ডাক্তারদের অবদান এবং সেই সময়কার চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে ধরেছেন।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য বই বাজারে আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই বইটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। ঐতিহাসিক বই লেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে বইটি লেখা হয়েছে। এটা একটা গবেষণামূলক গ্রন্থ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এগুলো খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। বইটির সাহিত্যমান অত্যন্ত চমৎকার। বইটির আরও সংশোধন হতেই পারে।
প্রথম আলোর সম্পাদক আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। মুক্তিযুদ্ধকে নানা আঙ্গিকে দেখার, তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ, বইটির কয়েকটি নিবন্ধ ২০২০ ও ২০২১ সালে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। নিবন্ধগুলোর জন্য লেখকদ্বয় বজলুর রহমান স্মৃতিপদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বইটির মূল্য ৬৫০ টাকা।
মুক্তিযুদ্ধ বিভিন্ন সময় নানান আঙ্গিকে আলোচনা, গবেষণা হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় চিকিৎসাক্ষেত্রে যে বিপুল প্রয়াস তা নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তেমন কোনো গবেষণামূলক নিবন্ধ বা তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ ছিল না। দীর্ঘদিনের গবেষণায় ইতিহাসের এই দিকটি ‘মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস’ বইয়ে তুলে এনেছেন বইটির লেখক শাহাদুজ্জামান ও খায়রুল ইসলাম। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটি ভবিষ্যতে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজে দেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। লেখকদের সঙ্গে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ হাসপাতালের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ হাসপাতালের নার্স পদ্মা রহমান, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
বইটি প্রসঙ্গে লেখক খায়রুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন গণহত্যা শুরু হয় তখন থেকেই চিকিৎসকেরা চিকিৎসা যুদ্ধের সূচনা করেছিল। বইটিতে ১১টি অধ্যায় আছে। এসব অধ্যায়ে চিকিৎসা যুদ্ধের শুরু, বাংলাদেশ হাসপাতাল, জিঞ্জিরা গণহত্যা ও পল্লি চিকিৎসকদের ভূমিকা, ঢাকার বাইরের চিকিৎসা যুদ্ধ, নারীরা কীভাবে এগিয়ে এসেছেন সেসব তুলে ধরা হয়েছে। ডাক্তার, মেডিকেল ছাত্ররা কীভাবে বিভিন্ন সেক্টরে, যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছে, খালেদ মোশাররফের সার্জারি, শরণার্থীশিবিরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য-পুষ্টির যুদ্ধ, পরিবেশগত বিপর্যয়, শরণার্থী ব্যবস্থাপনা, ওষুধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছেন সরকারিভাবে তাদের তালিকা তৈরির আহ্বান জানান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিকিৎসা ইতিহাস নিয়ে একটি তথ্যবহুল বই তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময়ে বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সকল চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বইটি পাঠ্য হওয়া উচিত। যুদ্ধের ইতিহাস এভাবে তুলে আনাটা খুব কঠিন কাজ। লেখকদ্বয় কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন।
তবে বইটি এখনো কিছুটা অসম্পূর্ণ জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের এম এন নন্দী, জোহরা কাজী, ওমর জামাল, সিরাজুল্লাহসহ ভারতীয় অনেক ডাক্তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান আছে। তারা সেসময় যেভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন তা অকল্পনীয়। দ্বিতীয় মুদ্রণে বইটি আরও সম্পূর্ণ করার অনুরোধ রইল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, দুজন ডাক্তার মুক্তিযুদ্ধে ডাক্তারদের অবদান এবং সেই সময়কার চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে ধরেছেন।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য বই বাজারে আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই বইটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। ঐতিহাসিক বই লেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে বইটি লেখা হয়েছে। এটা একটা গবেষণামূলক গ্রন্থ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এগুলো খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। বইটির সাহিত্যমান অত্যন্ত চমৎকার। বইটির আরও সংশোধন হতেই পারে।
প্রথম আলোর সম্পাদক আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। মুক্তিযুদ্ধকে নানা আঙ্গিকে দেখার, তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ, বইটির কয়েকটি নিবন্ধ ২০২০ ও ২০২১ সালে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। নিবন্ধগুলোর জন্য লেখকদ্বয় বজলুর রহমান স্মৃতিপদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বইটির মূল্য ৬৫০ টাকা।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ আটকাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা আগামী একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে...
৩৭ মিনিট আগেহবিগঞ্জের মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে আটক মাধবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জামিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার বাদী অরূপ চৌধুরীকে মাদক ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অরূপ চৌধুরীকে শায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি ডাকাতি মামলায় মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে...
১ ঘণ্টা আগেঅনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মো. রউফুল মুনশি নামের এক ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. শোয়েব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু থেকে অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুরা উচ্চগতিতে মহাসড়কে নিজেদের মধ্যে রেস করছিলেন। এ সময় একসঙ্গে থাকা দুই বন্ধু মাহিন ও সিয়ামের মোটরসাইকেলটি বারোমাইল এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সিয়ামকে হাসপাতালে নে
১ ঘণ্টা আগে