নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের অবদান বড় হলেও তাঁদের পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী।
এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসক কনসালট্যান্টদের দেড় বছরেও পদায়ন হয় না। কেন তাদের পদায়নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে? এ রকম বৈষম্য থাকবে কেন?’
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ২১তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দয়া চাই না, দাক্ষিণ্য চাই না। আমাদের অধিকার দিতে হবে। যেখানে সংবিধানে বলা আছে ক্যাডার বৈষম্য থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীও আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে বলেছেন। কিন্তু যাঁরা করবে তাঁরা তেলে তৈলাক্ত হয়ে বসে আছেন।’
এহতেশামুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘ছুটির জন্য আবেদন করা হলে চিঠি দেওয়া হয় আপনি ছুটি চান কেন? এমনকি শোকজও করা হয়। এটা করবেন কোন শক্তিতে? আপনারা ছুটি দেবেন না ভালো কথা, কিন্তু শোকজ করা হবে কেন? যিনি চিকিৎসককে শোকজ করেছেন, সেই কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই দাবি করে এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে বন্দুকসহ নিরাপত্তা দিয়েছে, আর এদিকে চিকিৎসকদের কলার চেপে ধরে রোগীর স্বজনেরা। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আপনি আমলাদের প্রতিনিধি নন, আপনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি। আপনি আবারও মন্ত্রী হবেন, আমাদের দিকে তাকান।’
তবে ক্যাডার সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘আমার কথায় অনেকে হয়তো একমত হবেন না, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটাই সত্য যে, বৈষম্য দূর করতে এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পারব।’
স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনসহ নানা ধরনের উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। একের পর এক বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে। সর্বশেষ ৫০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল হয়েছে, যা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক সমালোচনার পরও শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। সমালোচকেরাও এখন প্রশংসা করছেন। তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের সমালোচনার কারণেই আমরা সতর্ক থেকেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এম এ আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসকদের মধ্যে থাকা বৈষম্য নিরসন করতে হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনেক নেতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।’
দেশে চিকিৎসাব্যবস্থায় চিকিৎসকের সংকট জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন কোনো নির্দেশনা দেবেন। চিকিৎসকদের প্রমোশনের বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের অবদান বড় হলেও তাঁদের পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী।
এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসক কনসালট্যান্টদের দেড় বছরেও পদায়ন হয় না। কেন তাদের পদায়নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে? এ রকম বৈষম্য থাকবে কেন?’
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ২১তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দয়া চাই না, দাক্ষিণ্য চাই না। আমাদের অধিকার দিতে হবে। যেখানে সংবিধানে বলা আছে ক্যাডার বৈষম্য থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীও আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে বলেছেন। কিন্তু যাঁরা করবে তাঁরা তেলে তৈলাক্ত হয়ে বসে আছেন।’
এহতেশামুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘ছুটির জন্য আবেদন করা হলে চিঠি দেওয়া হয় আপনি ছুটি চান কেন? এমনকি শোকজও করা হয়। এটা করবেন কোন শক্তিতে? আপনারা ছুটি দেবেন না ভালো কথা, কিন্তু শোকজ করা হবে কেন? যিনি চিকিৎসককে শোকজ করেছেন, সেই কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই দাবি করে এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে বন্দুকসহ নিরাপত্তা দিয়েছে, আর এদিকে চিকিৎসকদের কলার চেপে ধরে রোগীর স্বজনেরা। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আপনি আমলাদের প্রতিনিধি নন, আপনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি। আপনি আবারও মন্ত্রী হবেন, আমাদের দিকে তাকান।’
তবে ক্যাডার সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘আমার কথায় অনেকে হয়তো একমত হবেন না, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটাই সত্য যে, বৈষম্য দূর করতে এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পারব।’
স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনসহ নানা ধরনের উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। একের পর এক বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে। সর্বশেষ ৫০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল হয়েছে, যা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক সমালোচনার পরও শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। সমালোচকেরাও এখন প্রশংসা করছেন। তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের সমালোচনার কারণেই আমরা সতর্ক থেকেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এম এ আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসকদের মধ্যে থাকা বৈষম্য নিরসন করতে হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনেক নেতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।’
দেশে চিকিৎসাব্যবস্থায় চিকিৎসকের সংকট জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন কোনো নির্দেশনা দেবেন। চিকিৎসকদের প্রমোশনের বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
রাজধানীর ফকিরাপুলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মতিন মিয়া (৩৫) নামে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মারীখালী নদী থেকে অজ্ঞাত এক নারীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় মারীখালি নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১ ঘণ্টা আগে