সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই ‘ভুয়া’ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে এক নবজাতক প্রসবের চেষ্টার পর মৃত নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক পৌঁছানোর আগেই শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুর স্বজনদের দাবি, নার্সদের কারণেই শিশুটির মৃত্যু ঘটেছে।
আজ রোববার দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নাগরিক হাসপাতালে ওই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন ফারহানা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত সন্তান প্রসব করান উপস্থিত নার্স ও আয়া। এর আগে ভর্তি হয়েই এই হাসপাতালেই আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গিয়েছিল যে বাচ্চা সুস্থ ও সবল ছিল।
ফারহানার মা বিবি ফাতেমা বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি ডাক্তারকে খবর দেন তবুও কোনো ডাক্তার আসেনি। দুজন নার্স ও একজন আয়া মিলে চেষ্টা করতে থাকে বাচ্চা প্রসবের। এর আগে আমরা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসব করতে চেয়েছিলাম। সেই হিসেবে আমার মেয়েকে ভর্তিও করাই। পরে নার্স ও আয়া মিলে আমার মেয়েকে নরমাল পদ্ধতিতে বাচ্চা ডেলিভারি করে। অপারেশন থিয়েটারে কোনো ডাক্তার ছিল না। দুই নার্স মিলে টেবিলের ওপর উঠে আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে ধরে। চাপাচাপির কারণেই এই বাচ্চাটা মারা গেছে। ডাক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলেই তারা বলে, ‘‘এই ৫ মিনিট, এই ১০ মিনিট, এই তো হয়ে গেছে।’ ’ সকাল থেকে এসে আল্ট্রার ডাক্তার ছাড়া আর কোনো ডাক্তার আমরা পাইনি।’
সে সময় উপস্থিত নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারওরই এ বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ বা সনদ নেই। সনদ ছাড়াই এই হাসপাতালে তারা নার্সের পদে চাকরি করে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী ফারহানা বলেন, ‘আমার বাচ্চাটাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
নার্স পরিচয়দানকারী ফারজানা বলেন, ‘আমরা সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন বাচ্চাটা বেরিয়ে গেছে, আমরা শুধু ধরেছি। আমি এসএসসি পাস করেছি, আমার নার্সিং কোনো সার্টিফিকেট নেই।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি এই হাসপাতালের আরএমও পদে আছি। সকালে আমি রোগী ভর্তি করতে বলি। আল্ট্রাতেও শিশুকে সুস্থ দেখা গেছে। তবে শিশুটি কেন মারা গেল আমি জানি না। বাচ্চা প্রসবের পর আমাকে নার্সরা জানিয়েছে যে বাচ্চাটির মৃত প্রসব হয়েছে। আমাকে কেউ ডাকেনি। আমি নিচেই অন্য রোগী দেখছিলাম। সার্জনকে খবর দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি এসে পৌঁছাতে পারেননি।’
স্থানীয় শ্রমিক নেতা অরবিন্দু ব্যাপারী বলেন, ‘এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এ রকম অনেক অভিযোগ শুনেছি আগে। আমরা শুনতে পেরেছি এখানে নার্স হিসেবে যারা আছে তাদের নার্সিং কোনো সনদ নাই। কেন এমন নার্স নিয়োগ দেওয়া হলো এমন গাফিলতি করা হলো তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্ত করে দেখা উচিত। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি সঠিকভাবে তদারকি করত, তাহলে এমন অযোগ্য কেউ এখানে থাকত না বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক মালেক হোসেন বলেন, ‘নার্সদের অভিজ্ঞতা সনদ রয়েছে। রোগীর প্রসব বেদনা উঠেছে গত কালকে, উনি আসছে আজকে সকালে। উনাকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে সিজার করার। সার্জন আসার আগেই ডেলিভারি হয়ে গেছে। এখানে তো আমাদের কারও হাত নাই।’
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হূদা বলেন, ‘রোগী যদি অভিযোগ নাও করে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
সাভারের আশুলিয়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই ‘ভুয়া’ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে এক নবজাতক প্রসবের চেষ্টার পর মৃত নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক পৌঁছানোর আগেই শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুর স্বজনদের দাবি, নার্সদের কারণেই শিশুটির মৃত্যু ঘটেছে।
আজ রোববার দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নাগরিক হাসপাতালে ওই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন ফারহানা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত সন্তান প্রসব করান উপস্থিত নার্স ও আয়া। এর আগে ভর্তি হয়েই এই হাসপাতালেই আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গিয়েছিল যে বাচ্চা সুস্থ ও সবল ছিল।
ফারহানার মা বিবি ফাতেমা বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি ডাক্তারকে খবর দেন তবুও কোনো ডাক্তার আসেনি। দুজন নার্স ও একজন আয়া মিলে চেষ্টা করতে থাকে বাচ্চা প্রসবের। এর আগে আমরা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসব করতে চেয়েছিলাম। সেই হিসেবে আমার মেয়েকে ভর্তিও করাই। পরে নার্স ও আয়া মিলে আমার মেয়েকে নরমাল পদ্ধতিতে বাচ্চা ডেলিভারি করে। অপারেশন থিয়েটারে কোনো ডাক্তার ছিল না। দুই নার্স মিলে টেবিলের ওপর উঠে আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে ধরে। চাপাচাপির কারণেই এই বাচ্চাটা মারা গেছে। ডাক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলেই তারা বলে, ‘‘এই ৫ মিনিট, এই ১০ মিনিট, এই তো হয়ে গেছে।’ ’ সকাল থেকে এসে আল্ট্রার ডাক্তার ছাড়া আর কোনো ডাক্তার আমরা পাইনি।’
সে সময় উপস্থিত নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারওরই এ বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ বা সনদ নেই। সনদ ছাড়াই এই হাসপাতালে তারা নার্সের পদে চাকরি করে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী ফারহানা বলেন, ‘আমার বাচ্চাটাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
নার্স পরিচয়দানকারী ফারজানা বলেন, ‘আমরা সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন বাচ্চাটা বেরিয়ে গেছে, আমরা শুধু ধরেছি। আমি এসএসসি পাস করেছি, আমার নার্সিং কোনো সার্টিফিকেট নেই।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি এই হাসপাতালের আরএমও পদে আছি। সকালে আমি রোগী ভর্তি করতে বলি। আল্ট্রাতেও শিশুকে সুস্থ দেখা গেছে। তবে শিশুটি কেন মারা গেল আমি জানি না। বাচ্চা প্রসবের পর আমাকে নার্সরা জানিয়েছে যে বাচ্চাটির মৃত প্রসব হয়েছে। আমাকে কেউ ডাকেনি। আমি নিচেই অন্য রোগী দেখছিলাম। সার্জনকে খবর দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি এসে পৌঁছাতে পারেননি।’
স্থানীয় শ্রমিক নেতা অরবিন্দু ব্যাপারী বলেন, ‘এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এ রকম অনেক অভিযোগ শুনেছি আগে। আমরা শুনতে পেরেছি এখানে নার্স হিসেবে যারা আছে তাদের নার্সিং কোনো সনদ নাই। কেন এমন নার্স নিয়োগ দেওয়া হলো এমন গাফিলতি করা হলো তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্ত করে দেখা উচিত। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি সঠিকভাবে তদারকি করত, তাহলে এমন অযোগ্য কেউ এখানে থাকত না বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক মালেক হোসেন বলেন, ‘নার্সদের অভিজ্ঞতা সনদ রয়েছে। রোগীর প্রসব বেদনা উঠেছে গত কালকে, উনি আসছে আজকে সকালে। উনাকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে সিজার করার। সার্জন আসার আগেই ডেলিভারি হয়ে গেছে। এখানে তো আমাদের কারও হাত নাই।’
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হূদা বলেন, ‘রোগী যদি অভিযোগ নাও করে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
৫ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
১২ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
৩৯ মিনিট আগে