কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামীম ইয়াসার আফফান নামের সাড়ে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের দেওয়ানি আদালত ভবনে শিশুটির পরিবারের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন কিশোরগঞ্জ শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট মো. আবু তাহের মিয়া। অন্যদিকে শিশু সামীম ইয়াসার আফফান জেলা শহরের গাইটাল রাকুয়াইল এলাকার সারোয়ার জাহান উপলের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন শিশুটির বাবা সারোয়ার জাহান উপল। তিনি বলেন, শিশু সামীম ইয়াসার আফফান গলাব্যথা ও ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছিল। গত ২৪ এপ্রিল তাকে জেলা শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন তাকে কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেন। পরদিন রাতে চিকিৎসক তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট আবু তাহের মিঞার অধীনে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে আফফানের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। পরে তাকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, আফফান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা ঠিক হয়নি। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর ১৭ মে সন্ধ্যায় মারা যায় আফফান।
শিশু আফফানের বাবা বলেন, ‘মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের নাক, কান, গলা চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট মো. আবু তাহের মিয়ার ভুল এবং ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন আমার সন্তানের মৃত্যুর কারণ। যা হত্যার শামিল। আমার মতো আর কোনো পিতা-মাতা যেন সন্তান হারা না হন, সে জন্য সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হিসেবে দুই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৩ মে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দাখিল করি।’
সারোয়ার জাহান উপল আরও বলেন, ‘কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাত কর্মদিবস অতিক্রম হলেও সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আমাদের কোনো কিছুই জানানো হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুন এলাকাবাসী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা জজ কোর্টের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিশুটির দাদা হোসেন সারোয়ার লিটন, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি মায়া ভৌমিক, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ইদু প্রমুখ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ১১ জুন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. হেলাল উদ্দিনকে ঘটনা তদন্ত করতে চিঠি দেয়। তিনি বলেন, ‘নাক, কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন চিকিৎসকের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক আবু তাহের মিয়া হজে গিয়েছেন। এ কারণে তদন্ত কার্যক্রমের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গত ১৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। অভিযুক্ত দেশে এলেই তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পদবি উল্লেখ করে যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে, তারা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামীম ইয়াসার আফফান নামের সাড়ে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের দেওয়ানি আদালত ভবনে শিশুটির পরিবারের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন কিশোরগঞ্জ শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট মো. আবু তাহের মিয়া। অন্যদিকে শিশু সামীম ইয়াসার আফফান জেলা শহরের গাইটাল রাকুয়াইল এলাকার সারোয়ার জাহান উপলের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন শিশুটির বাবা সারোয়ার জাহান উপল। তিনি বলেন, শিশু সামীম ইয়াসার আফফান গলাব্যথা ও ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছিল। গত ২৪ এপ্রিল তাকে জেলা শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন তাকে কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেন। পরদিন রাতে চিকিৎসক তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট আবু তাহের মিঞার অধীনে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে আফফানের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। পরে তাকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, আফফান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা ঠিক হয়নি। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর ১৭ মে সন্ধ্যায় মারা যায় আফফান।
শিশু আফফানের বাবা বলেন, ‘মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের নাক, কান, গলা চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট মো. আবু তাহের মিয়ার ভুল এবং ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন আমার সন্তানের মৃত্যুর কারণ। যা হত্যার শামিল। আমার মতো আর কোনো পিতা-মাতা যেন সন্তান হারা না হন, সে জন্য সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হিসেবে দুই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৩ মে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দাখিল করি।’
সারোয়ার জাহান উপল আরও বলেন, ‘কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাত কর্মদিবস অতিক্রম হলেও সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আমাদের কোনো কিছুই জানানো হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুন এলাকাবাসী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা জজ কোর্টের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিশুটির দাদা হোসেন সারোয়ার লিটন, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি মায়া ভৌমিক, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ইদু প্রমুখ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ১১ জুন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. হেলাল উদ্দিনকে ঘটনা তদন্ত করতে চিঠি দেয়। তিনি বলেন, ‘নাক, কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন চিকিৎসকের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক আবু তাহের মিয়া হজে গিয়েছেন। এ কারণে তদন্ত কার্যক্রমের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গত ১৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। অভিযুক্ত দেশে এলেই তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পদবি উল্লেখ করে যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে, তারা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
২২ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৮ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে