Ajker Patrika

বিএনপি নেতা আলাল ৫ দিনের রিমান্ডে  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ০৩
বিএনপি নেতা আলাল ৫ দিনের রিমান্ডে  

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পল্টন থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় এই রিমান্ড দেওয়া হয়।

সন্ধ্যার কিছু সময় আগে আলালকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আইনজীবী খুরশিদ মিয়া রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকা থেকে আলালকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আটকের পর পল্টন থানায় আজ বুধবার দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশের দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ক্যান্টিনে ভাঙচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের উপস্থিতিতে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া  ইকবাল হোসেন, খুরশিদ মিয়া আলম, মোসলেহ উদ্দিন জসিম প্রমুখ শুনানি করেন। তারা আদালতকে বলেন, এই মামলার যে ঘটনা সেই ঘটনার সঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জড়িত ছিলেন না। মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিল। সমাবেশ চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা। আলাল তখন মঞ্চে ছিলেন। তিনি মামলার ঘটনাস্থলে যাননি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমি সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি একজন আইনজীবী। একজন কোর্ট অফিসার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৬৮ বছর। আমার একটি কিডনি নষ্ট। মাত্র এক বছর আগে অপারেশন হয়েছে। আমি আইন অনুযায়ী জামিন পেতে পারি। একজন অসুস্থ সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে, একজন কোর্ট অফিসার হিসেবে আমি জামিন পেতে পারি। আমি আশা করব বিজ্ঞ আদালত আইন অনুযায়ী একটি আদেশ দেবেন।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পুলিশ কমিশনার মুত্তাকিন রিমান্ডে নেওয়ার সমর্থনে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ভাঙচুর নাশকতা ছাড়াও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মামলা। পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার ও এই ঘটনার সঙ্গে আর যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার এবং চিহ্নিত করার জন্য রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন। এরপরে আদালত আদেশ দেন।

পরে আলালের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, ওপরের চাপিয়ে দেওয়া আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একজন আইনজীবীকে রিমান্ডে দেওয়ার আগে আইনি বিষয়টি বিবেচনা করেননি আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত