নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রামীণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে (সামাজিক সুরক্ষা খাত) পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতি। আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় বাজেটে পেনশন চালু, কর্মসৃজন কর্মসূচি, বিধবা ভাতা, টিসিবি, স্বাস্থ্য, সন্তানের শিক্ষা এবং গ্রামীণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গরিব মানুষ দিশেহারা। তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও পরিবার-পরিজন নিয়ে তিন বেলা খেতে পারেন না। স্বাস্থ্য, সন্তানের শিক্ষা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। তাঁরা রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে সব গরিব মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপণ্য দেওয়া ও ষাটোর্ধ্ব মজুরদের জন্য বিনা জমায় মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশনের দাবি জানান।
খেতমজুর সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফজলুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা, সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, সহসাধারণ সম্পাদক কল্লোল বণিক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, মোতালেব হোসেন, রমেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, সুখেন্দ সূত্রধর, সদস্য ফিরোজ আলম মামুন প্রমুখ।
সমাবেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর লক্ষ কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু গরিব মানুষের দুঃখ যেন ঘোচে না। শোষণ-বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ গড়ার জন্যই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল, অথচ সেই আকাঙ্ক্ষা আজও পূরণ হয়নি।’ এ সময় তিনি গ্রাম-শহরে খেতমজুর সমিতির নেতৃত্বে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতে লাখ-কোটি বরাদ্দ হলেও তার মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি রয়ে গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দে বয়স্ক ভাতা-বিধবা ভাতা যেমন রয়েছে, তেমনি সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ইত্যাদি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যে বাজেট হয়, তার অল্পই গরিব মানুষের জন্য ব্যয় হয়। বয়স্ক ভাতা ৬০০ টাকা দেওয়া হয় এবং বর্তমানে তা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করার কথা শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষের মাসে এই টাকা দিয়ে কী হয়? আমরা দরিদ্রবান্ধব বাজেট দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা “শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ” কায়েমের উদ্যোগ ও লক্ষণ নেই।’ তিনি ধনী-গরিবের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার সংগ্রামকে অগ্রসর করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, খেতমজুরেরা এবার বঞ্চিত হলে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। গণ-আন্দোলন, গণসংগ্রামের মধ্য দিয়েই অধিকার আদায় করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকনেতা আব্দুল কাদের, সাদেকুর রহমান শামীম, আব্দুস সাত্তার, দীপক শীল প্রমুখ। একই দাবিতে আগামীকাল ৩১ মে (শনিবার) দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় খেতমজুর সমিতির উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় থাকা কয়েকটি খাত হলো—বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অনগ্রসর, বেদে জনগোষ্ঠী ও চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন।
গ্রামীণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে (সামাজিক সুরক্ষা খাত) পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতি। আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় বাজেটে পেনশন চালু, কর্মসৃজন কর্মসূচি, বিধবা ভাতা, টিসিবি, স্বাস্থ্য, সন্তানের শিক্ষা এবং গ্রামীণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গরিব মানুষ দিশেহারা। তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও পরিবার-পরিজন নিয়ে তিন বেলা খেতে পারেন না। স্বাস্থ্য, সন্তানের শিক্ষা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। তাঁরা রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে সব গরিব মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপণ্য দেওয়া ও ষাটোর্ধ্ব মজুরদের জন্য বিনা জমায় মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশনের দাবি জানান।
খেতমজুর সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফজলুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা, সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, সহসাধারণ সম্পাদক কল্লোল বণিক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, মোতালেব হোসেন, রমেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, সুখেন্দ সূত্রধর, সদস্য ফিরোজ আলম মামুন প্রমুখ।
সমাবেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর লক্ষ কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু গরিব মানুষের দুঃখ যেন ঘোচে না। শোষণ-বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ গড়ার জন্যই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল, অথচ সেই আকাঙ্ক্ষা আজও পূরণ হয়নি।’ এ সময় তিনি গ্রাম-শহরে খেতমজুর সমিতির নেতৃত্বে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতে লাখ-কোটি বরাদ্দ হলেও তার মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি রয়ে গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দে বয়স্ক ভাতা-বিধবা ভাতা যেমন রয়েছে, তেমনি সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ইত্যাদি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যে বাজেট হয়, তার অল্পই গরিব মানুষের জন্য ব্যয় হয়। বয়স্ক ভাতা ৬০০ টাকা দেওয়া হয় এবং বর্তমানে তা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করার কথা শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষের মাসে এই টাকা দিয়ে কী হয়? আমরা দরিদ্রবান্ধব বাজেট দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা “শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ” কায়েমের উদ্যোগ ও লক্ষণ নেই।’ তিনি ধনী-গরিবের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার সংগ্রামকে অগ্রসর করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, খেতমজুরেরা এবার বঞ্চিত হলে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। গণ-আন্দোলন, গণসংগ্রামের মধ্য দিয়েই অধিকার আদায় করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকনেতা আব্দুল কাদের, সাদেকুর রহমান শামীম, আব্দুস সাত্তার, দীপক শীল প্রমুখ। একই দাবিতে আগামীকাল ৩১ মে (শনিবার) দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় খেতমজুর সমিতির উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় থাকা কয়েকটি খাত হলো—বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অনগ্রসর, বেদে জনগোষ্ঠী ও চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে