নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভাড়াটে খুনি জালাল গাজী ওরফে দাঁতভাঙা পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজনকে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যায় জড়িত তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৪ সালে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দাঁতভাঙা পলাশের সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে পলাশসহ ছয় সন্ত্রাসী সুলতান আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দুই নাতনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। মূলত জমিজমার বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
কমান্ডার মঈন বলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী এলাকায় জমিজমার বিরোধ নিয়ে ছোট ভাই সুলতানকে হত্যা করতে দাঁতভাঙা পলাশের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে চুক্তি করেন মমতাজ। এরপর পলাশের নেতৃত্বে নজরুল ওরফে মনজু, আমির, জাকির, জালাল ওরফে পলাশ, হাসমত ও মমতাজ মিলে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে ভূরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গায় মমতাজের বাড়িতে বসে সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন ১৪ জানুয়ারি রাতে পলাশসহ ছয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুলতানকে কুপিয়ে হত্যা করে। সুলতানকে এলোপাতাড়ি কোপানোর শব্দে তাঁর স্ত্রী হাজেরা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর পাশের ঘরে থাকা তাঁদের দুই নাতনি রুমানা ও আনিকাকেও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
পরে নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় কিছুদিন পর ভূরুঙ্গামারীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্য একটি হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলেে সপরিবারে সুলতান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। এরপর এ ঘটনায় একে একে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলেও আত্মগোপনে ছিলেন দাঁতভাঙা পলাশ।
ওই মামলায় বিচারিক আদালত ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পলাতক আসামি দাঁতভাঙা পলাশসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় মাইক্রোবাসের চালক নুরুল হককে হত্যা করেন পলাশ গাজী ও তাঁর সহযোগীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের মামলায় এ বছরের নভেম্বরে আদালত পলাশ গাজীসহ ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, পলাশের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে একটি গ্যারেজে কাজ করতেন। ১৯৯৫ সালে লাইসেন্স ছাড়া কাভার্ড ভ্যান চালানো শুরু করেন। ২০০৯ সাল থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় একটি ডাকাত দল গঠন করেন। পুরাতন মাইক্রোবাস নিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি ও ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে দলটি। তারা রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতি, খুন, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাতেন।
কুড়িগ্রামের চার খুন ছাড়াও পলাশ গাজীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর বাউফল থানায় ২০১৫ সালে হত্যাচেষ্টার মামলা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সড়কে ২০১৫ সালে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা, রাজধানীর মতিঝিল এলাকার সড়কে ২০১৬ সালের ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ১টি ডাকাতি ও ১টি অস্ত্র মামলা, ২০১৭ সালে চুরি ও ভাঙচুরের দুটি মামলা এবং রাজধানীর চকবাজার থানায় ২০১৯ সালে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে একটি হত্যা মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভাড়াটে খুনি জালাল গাজী ওরফে দাঁতভাঙা পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজনকে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যায় জড়িত তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৪ সালে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দাঁতভাঙা পলাশের সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে পলাশসহ ছয় সন্ত্রাসী সুলতান আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দুই নাতনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। মূলত জমিজমার বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
কমান্ডার মঈন বলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী এলাকায় জমিজমার বিরোধ নিয়ে ছোট ভাই সুলতানকে হত্যা করতে দাঁতভাঙা পলাশের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে চুক্তি করেন মমতাজ। এরপর পলাশের নেতৃত্বে নজরুল ওরফে মনজু, আমির, জাকির, জালাল ওরফে পলাশ, হাসমত ও মমতাজ মিলে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে ভূরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গায় মমতাজের বাড়িতে বসে সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন ১৪ জানুয়ারি রাতে পলাশসহ ছয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুলতানকে কুপিয়ে হত্যা করে। সুলতানকে এলোপাতাড়ি কোপানোর শব্দে তাঁর স্ত্রী হাজেরা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর পাশের ঘরে থাকা তাঁদের দুই নাতনি রুমানা ও আনিকাকেও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
পরে নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় কিছুদিন পর ভূরুঙ্গামারীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্য একটি হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলেে সপরিবারে সুলতান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। এরপর এ ঘটনায় একে একে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলেও আত্মগোপনে ছিলেন দাঁতভাঙা পলাশ।
ওই মামলায় বিচারিক আদালত ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পলাতক আসামি দাঁতভাঙা পলাশসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় মাইক্রোবাসের চালক নুরুল হককে হত্যা করেন পলাশ গাজী ও তাঁর সহযোগীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের মামলায় এ বছরের নভেম্বরে আদালত পলাশ গাজীসহ ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, পলাশের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে একটি গ্যারেজে কাজ করতেন। ১৯৯৫ সালে লাইসেন্স ছাড়া কাভার্ড ভ্যান চালানো শুরু করেন। ২০০৯ সাল থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় একটি ডাকাত দল গঠন করেন। পুরাতন মাইক্রোবাস নিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি ও ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে দলটি। তারা রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতি, খুন, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাতেন।
কুড়িগ্রামের চার খুন ছাড়াও পলাশ গাজীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর বাউফল থানায় ২০১৫ সালে হত্যাচেষ্টার মামলা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সড়কে ২০১৫ সালে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা, রাজধানীর মতিঝিল এলাকার সড়কে ২০১৬ সালের ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ১টি ডাকাতি ও ১টি অস্ত্র মামলা, ২০১৭ সালে চুরি ও ভাঙচুরের দুটি মামলা এবং রাজধানীর চকবাজার থানায় ২০১৯ সালে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে একটি হত্যা মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ‘এম ইলিয়াস আলীর গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, যদি আপনারা বিচার করতে সমর্থ না হন, ছাত্রদল নিজ হাতে এর প্রতিশোধ নেবে। আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্তের প্রতিশোধ নেব। এম ইলিয়াস আলীকে যে বা যারা গুম করেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব।’
১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাতে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ মিরাজ হোসেনকে (৪০) আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
৯ মিনিট আগেবৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
৪০ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
১ ঘণ্টা আগে