Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: তথ্য গোপন করায় মুক্তির জামিন বাতিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫১
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: তথ্য গোপন করায় মুক্তির জামিন বাতিল 

টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে দেওয়া জামিন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আজ রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 
এ ছাড়া ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত রুল শুনানি করা যাবে না মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত।    

গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন একই বেঞ্চ। তবে তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টে করা জামিন আবেদনে আপিল বিভাগের আদেশ গোপন করা হয়েছে। আবেদনে নাম পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে সহিদুল রহমান খান। জেলা দেখানো হয়েছে ঢাকা। এছাড়া দেওয়া হয়নি টেন্ডার নম্বরও। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট স্বপ্রনোদিত হয়ে বিষয়টি পুনরায় কার্যতালিকায় এনে জামিন বাতিল করেছেন। 

এ ছাড়া মুক্তির পক্ষে থাকা আইনজীবী এম এ মুস্তাকিম ও মো. জাকারিয়া হাবিবকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।  

তথ্য গোপন করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধে। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। 

গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।  

এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। 

পরে গত ২৭ আগস্ট ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। 

এদিকে আপিল বিভাগের নির্দেশনা গোপন করে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌছালে বুধবারই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। 

সহিদুর রহমান এ মামলার অন্য আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তাঁর বাবা আতাউর রহমান খান এই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তাঁর অন্য তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত