নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীর পিতার জন্মবার্ষিকীতে দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় বিবাদে জড়িয়েছেন জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব। এ সময় প্রকাশ্যে সদস্যসচিব শাহ জামাল খোকনের হাত–পা ভেঙে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর। তিনি নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিতে আসেন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময়
মুর্যালের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে প্রতিযোগীতা শুরু হয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে। সদস্য সচিবকে সরিয়ে দিয়ে আহ্বায়কের অনুসারীরা উঠতে চাইলে তাতে বাঁধা দেন সদস্য সচিবের অনুসারীরা। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন।
প্রকাশিত ভিডিওতে শাহ জামাল ও তাঁর অনুসারী করিমকে উদ্দেশ্য করে ওয়াজেদ আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘৩০ বছরে ৩০টা লোক জোগাড় করতে পারেনাই। বাইরাইয়া হাড্ডি ভাইঙ্গা লামু। নারায়ণগঞ্জে বাইন্ধা রাখমু। একদম হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা লামু মা**। হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা শীতলক্ষ্যায় হালায়া দিমু। আমার মুখের ওপর কথা কয়। চোপ মা***। খা** যা এখানতে। সব বেয়াদব। শামীম ওসমানের ছবি নামায় ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন, ভিডিও ফুটেজ আছে। চিন্তা করেন কত বড় সাহস। আজেবাজে মন্তব্য করে।’
ওয়াজেদ আলী তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি আর কোনদিন ওরে (সদস্য সচিব) সোনারগাঁয়ে পান, আমি অর্ডার দিয়ে দিলাম। বাইরাইয়া হাড্ডি ভাইঙ্গা আমারে খবর দিবেন। ওরা কিয়ের কৃষকলীগ করে? ওরা খোকা লীগ করে।’ (নারায়ণগঞ্জ–৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা)
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকির এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কৃষকলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা জানায়, ‘গত বছর কৃষকলীগের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে আলাদা বলয় গড়ে উঠে। উভয়েই নিজ নিজ ক্ষমতা ব্যবহার করে একই উপজেলায় একাধিক কমিটি দিয়েছেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজ রোববার তাঁরা মুখোমুখী হতেই এ ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে শাহ জামাল খোকন বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মদিনে সবাই একত্রিত হয়ে পালন করে। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় আহ্বায়কের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে চেয়েছি। কিন্তু ওয়াজেদ আলী খোকন তাঁর লোকদের নিয়ে ফুল দিতে চেয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ করেছেন। আমার হাত–পা ভেঙ্গে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কোনো সভ্য নেতা এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারে না। আপনারা সবাই সবকিছু দেখেছেন, একজন সিনিয়র নেতাকে কিভাবে অপদস্ত করেছে সে। এর বিচার কেন্দ্রীয় নেতারা করবে।’
তবে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে দাবী করে ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম কর্মীদের নিয়ে ফুল দিতে। আমি ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কর্মীদের ডেকে এনেছি। তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছিল তারা। আমি এজন্য রাগ হয়ে একটু উচ্চবাচ্য করেছি। আসলে কর্মীদের খুশি রাখতে এটুকু করতে হয়। পরে আমি সদস্য সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছি বিষয়টি মনে না রাখতে। এটা না করলে কর্মীরা আমাদের সঙ্গে থাকবে না। বিষয়টি ওভাবেই দেখবেন আপনারা।’
জাতীর পিতার জন্মবার্ষিকীতে দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় বিবাদে জড়িয়েছেন জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব। এ সময় প্রকাশ্যে সদস্যসচিব শাহ জামাল খোকনের হাত–পা ভেঙে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর। তিনি নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিতে আসেন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময়
মুর্যালের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে প্রতিযোগীতা শুরু হয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে। সদস্য সচিবকে সরিয়ে দিয়ে আহ্বায়কের অনুসারীরা উঠতে চাইলে তাতে বাঁধা দেন সদস্য সচিবের অনুসারীরা। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী খোকন।
প্রকাশিত ভিডিওতে শাহ জামাল ও তাঁর অনুসারী করিমকে উদ্দেশ্য করে ওয়াজেদ আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘৩০ বছরে ৩০টা লোক জোগাড় করতে পারেনাই। বাইরাইয়া হাড্ডি ভাইঙ্গা লামু। নারায়ণগঞ্জে বাইন্ধা রাখমু। একদম হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা লামু মা**। হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা শীতলক্ষ্যায় হালায়া দিমু। আমার মুখের ওপর কথা কয়। চোপ মা***। খা** যা এখানতে। সব বেয়াদব। শামীম ওসমানের ছবি নামায় ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন, ভিডিও ফুটেজ আছে। চিন্তা করেন কত বড় সাহস। আজেবাজে মন্তব্য করে।’
ওয়াজেদ আলী তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি আর কোনদিন ওরে (সদস্য সচিব) সোনারগাঁয়ে পান, আমি অর্ডার দিয়ে দিলাম। বাইরাইয়া হাড্ডি ভাইঙ্গা আমারে খবর দিবেন। ওরা কিয়ের কৃষকলীগ করে? ওরা খোকা লীগ করে।’ (নারায়ণগঞ্জ–৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা)
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকির এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কৃষকলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা জানায়, ‘গত বছর কৃষকলীগের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে আলাদা বলয় গড়ে উঠে। উভয়েই নিজ নিজ ক্ষমতা ব্যবহার করে একই উপজেলায় একাধিক কমিটি দিয়েছেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজ রোববার তাঁরা মুখোমুখী হতেই এ ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে শাহ জামাল খোকন বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মদিনে সবাই একত্রিত হয়ে পালন করে। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় আহ্বায়কের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে চেয়েছি। কিন্তু ওয়াজেদ আলী খোকন তাঁর লোকদের নিয়ে ফুল দিতে চেয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ করেছেন। আমার হাত–পা ভেঙ্গে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কোনো সভ্য নেতা এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারে না। আপনারা সবাই সবকিছু দেখেছেন, একজন সিনিয়র নেতাকে কিভাবে অপদস্ত করেছে সে। এর বিচার কেন্দ্রীয় নেতারা করবে।’
তবে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে দাবী করে ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম কর্মীদের নিয়ে ফুল দিতে। আমি ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কর্মীদের ডেকে এনেছি। তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছিল তারা। আমি এজন্য রাগ হয়ে একটু উচ্চবাচ্য করেছি। আসলে কর্মীদের খুশি রাখতে এটুকু করতে হয়। পরে আমি সদস্য সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছি বিষয়টি মনে না রাখতে। এটা না করলে কর্মীরা আমাদের সঙ্গে থাকবে না। বিষয়টি ওভাবেই দেখবেন আপনারা।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে