Ajker Patrika

ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ফার্মগেটের বাসিন্দা মো. মাসুদ মিয়ার (৪৮) বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে মাসুদ ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেওয়া একটি চক্রের ২ সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে একটি চক্রের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন মাসুদ। পল্টন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পল্টন মডেল থানায় অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পল্টন থানায় মাসুদ মিয়ার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটির আবেদন আসার পর তা নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য সংযুক্ত করা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্রের স্বাক্ষর ও সত্যায়নকারী চিকিৎসকের স্বাক্ষর ভুয়া। 

এরই সূত্র ধরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনটি তদন্তে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রদানের একটি চক্রের সন্ধান পায় পল্টন থানা-পুলিশ। মো. মাসুদ মিয়াসহ এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চক্রের অন্য দুই সদস্য হলেন—মো. গোলাম কিবরিয়া (৫৩) ও মো. কামাল হোসেন (৪৮)।

বুধবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ। 

মো. আ. আহাদ বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল আসামি মাসুদ মিয়া পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যার রেফারেন্স নম্বর-২২০৪১৯৩২৬৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি তদন্তকালে আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত অনলাইন ডকুমেন্ট সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্ত পরিচালনা করা হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় বলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিখিতভাবে জানান। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মো. মাসুদ মিয়াকে ফার্মগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. কামাল হোসেনকে খিলক্ষেত এলাকা থেকে এবং তাঁর দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে মো. গোলাম কিবরিয়াকে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মো. আ. আহাদ জানান, আসামি মাসুদ মিয়ার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা থাকায় সে বিদেশ যাওয়ার জন্য পল্টন মডেল থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। পল্টন মডেল থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য কামাল হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করে। এরপর কামাল হোসেন ২৮ হাজার টাকার চুক্তিতে গোলাম কিবরিয়াকে পাসপোর্ট প্রদান করে। 

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা কম্পিউটারের মাধ্যমে এডিট করে পল্টন মডেল থানার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। পাসপোর্ট ধারীর ঠিকানা পরিবর্তন ও এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সিল ও জাল স্বাক্ষর করে সত্যায়নকারী চিকিৎসকের সিল ও স্বাক্ষর ভুয়া তৈরি করে সত্যায়নপূর্বক পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে।’ 

চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করে টাকার বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি করে দেবে বলে প্রতারণা করছিল। চক্রটি কিছুদিন আগে ছয়টি ভুয়া আবেদন করেছিল যা পল্টন থানা কর্তৃক রিজেক্ট হয় বলেও জানান মো. আ. আহাদ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দনবাস চান পুতিন—ন্যাটো তো নয়ই, পশ্চিমা সেনাও থাকবে না ইউক্রেনে

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত